খুলনায় বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় বক্তারা বলেছেন, দু:শাসন কবল থেকে দেশ জাতিকে মুক্ত করতে হলে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলন তথা ছাত্র-গণঅভ্যূত্থান সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। মহান ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের পতন নিশ্চিত হয়েছিল ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই। শেখ হাসিনার অধীনে বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার নাগপাশ থেকে জাতিকে পরিত্রাণ পেতে হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। খুলনার নতুন আহবায়ক কমিটি দীর্ঘদিনের অচলবস্থা কাটিয়ে সংগঠনকে গতিশীল ও শক্তিশালী করবে এবং অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে রাজপথের আন্দোলনে বিজয় ছিনিয়ে আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুলনা মহানগর শাখার নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বরণ করে নেয়া ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে দলীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে তাথক্ষণিকভাবে এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে নতুন আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
এর আগে ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তিকে আহবায়ক এবং মো: তাজিম বিশ^াসকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট খুলনা মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল। সভায় বক্তারা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক দেশ থেকে গণতন্ত্র হঠিয়ে একনায়তন্ত্র কায়েম করেছিল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোসহীন নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তিত হয়েছিল। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছিল বাংলাদেশ। কিন্ত দেশি বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে ওয়ান-ইলেভেনের সরকার দেশকে তছনছ করে দিয়েছে। একটি তাবেদার সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে যাদের অধীনে দেশে লুটেরাতন্ত্র কায়েম হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলার পাতানো রায়ে কারাগারে রেখে দেশ ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি, ফ্যাসিবাদী শাসন হঠানো, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদলকে রাজপথের আন্দোলনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তত থাকতে হবে।
সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা। বক্তব্য রাখেন শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলু, এহতেশামুল হক শাওন, আজিজা খানম এলিজা, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আব্দুল আজিজ সুমন, ইবাদুল হক রুবায়েদ, এস এম কামাল হোসেন, নিঘাত সীমা, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মুনতাসির আল মামুন, মোল্লা রিয়াজুল ইসলাম, শাহানাজ সরোয়ার, মিজানুর রহমান বাবু, জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু। আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ সময় দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা এবং সংবর্ধনার সময় মুর্হুমুর্হূ শ্লোগানে ও করতালিতে মুখরিত হতে থাকে কার্যালয়।
– খবর বিজ্ঞপ্তি