এই অর্জন ধরে রাখতে হবে

3
Spread the love

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে বাঙালি জাতি অনেক বড় এক অর্জনের কথা শুনলো। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। আগামী পাঁচ বছর উত্তরণের প্রস্তুতি পর্ব শেষে ২০২৪ সালে সংস্থাটির সাধারণ অধিবেশনে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি মিলবে। আমরা এরই মধ্যে জেনেছি, জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএন-সিডিপি) একদিন আগে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ইউএন-সিডিপির পাঁচ দিন ব্যাপী ত্রি-বার্ষিক পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই বাংলাদেশের এই কৃতিত্বের ঘোষণা আসে। সেই ১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা আছে বাংলাদেশ। দুই বছর আগে ২০১৮ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে। এবার দ্বিতীয় বারের মতোও সেসব শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ। তাতেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। সেই শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা, মাথাপিছু আয় এবং মানবসম্পদ সূচক।

এমনিতেই এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য বড় সাফল্যের প্রমাণ। তারপর আবার সেটা যদি হয়, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে- তাতে অর্জনটা আরও গৌরবান্বিত হয়। কেননা এই মহামারিতে বিশ্বের বড় বড় দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ধাক্বা লেগেছে। যা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের বহু বছর লাগবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সেই প্রভাব তেমনভাবে পড়েনি বললেই চলে।

এই ধরনের সাফল্যের পেছনে সরকারের বড় পরিকল্পনা, পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা থাকে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ এই অর্জনের কৃতিত্ব দিয়েছেন দেশের জনগণকে আর তা উৎসর্গ করেছেন নতুন প্রজন্মকে। তিনি বলেছেন, ‘এই কৃতিত্ব অর্জন আপামর জনসাধারণের। এটা উৎসর্গ করছি নতুন প্রজন্মকে।’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল বাংলাদেশের স্বীকৃতি ধরে রাখতে দক্ষ ও উপযুক্ত নাগরিক গড়ে তোলারও আহ্বান জানিয়েছেন।

আমরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মত পোষণ করি। এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। আর সেই দায়িত্ব দেশের জনগণেরই। আমাদের বিশ্বাস, উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে বাংলাদেশ একদিন অবশ্যই উন্নত দেশের সারিতে অবস্থান করবে।