স্টাফ রিপোর্টার
ডুমুরিয়া থানাধীন চুকনগর বাজার এলাকায় ৪৫ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতারের মাদক মামলার ৩আসামীকে ভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) দুপুরে খুলনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেছেন।
রায়ে যশোর জেলার কেশবপুর থানার ভেরচি গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে রিপন শেখকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদ-, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আটালিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবহান মোড়লের ছেলে শাহিন মোড়ল ও সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার দেবহাটা গ্রামের নুর মোহাম্মাদ মোল্লার ছেলে মহিউদ্দিন মোল্লাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদ-, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে আসামী শাহিন মোড়ল আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং রিপন শেখ ও মহিউদ্দিন মোল্লা পলাতক রয়েছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মনসুর আহমেদ মেহেদী নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে র্যাব-৬ এর একটি দল ডুমুরিয়া থানাধীন চুকনগর বাজারের পাশে মেসার্স সুজন ট্রেডার্সের সামনে পৌঁছালে কতিপয় যুবক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। র্যাব সদস্যরা সেখান থেকে রিপন শেখ, শাহিন মোড়ল, ও মহিউদ্দিন মোল্লাকে আটক করে। এ সময় তারা রিপন শেখের প্যান্টের পকেট থেকে ৪৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। যার বর্তমান বাজার মূল্য আট লাখ টাকা। জিঞ্জাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা আরো তিন আসামির নাম উল্লেখ করে বলে পুলিশের দাবি। এ মামলায় তাদেরকে সহযোগী আসামি করা হয়। তারা হলো মিজানুর রহমান, আব্দুস ছালাম ও মো. কামাল। ওই দিনে র্যাবের ডিএডি মো. অহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং- ৬। ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ডুমুরিয়া থানার এসআই মো. আশিকুল আলম তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ১১জন স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন। রাস্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক ও এপিপি এম ইলিয়াস খান।
মহানগর দায়রা জজ আদালতে মাদক মামলায় এক আসামির ৮ বছরের কারাদন্ড
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা সদর থানার মাদক মামলার এক আসামিকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদ-, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-াদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহীদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেছেন। দ-প্রাপ্ত আসামী হলেন নগরীর টুটপাড়া মওলা বাড়ি মোড়ের প্রণব রায়ের বাড়ির ভাড়াটিয়া পার্থ প্রতিম রায় (৪০)। সে খুলনা জেলার রূপসা থানার নন্দনপুর গ্রামের মৃত. টুলু রায়ের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আসামী পলাতক ছিলেন।
আদালতের স্টোনোগ্রাফার মো. হাদিউজ্জামান হাদি নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর বাইতিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় ছবি ভ্যারাইটি স্টোরের সামনে থেকে ৮৫ পিস ইয়াবাসহ পার্থ প্রতিম রায়কে গ্রেফতার করা হয়। এঘটনায় এসআই সুব্রত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে পার্থ প্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন যার নং- ১৮। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোল্যা জুয়েল রানা আদালতে পার্থ প্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। রাস্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেন ও এপিপি অ্যাডভোকেট মো. কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার।
নগরীতে কেএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ৫
স্টাফ রিপোর্টার
মহানগর পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকা হতে ১৫২ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ, ৮৪০ পিস ইয়াবা ও নগদ ২৬৫০০ টাকাসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন নগরীর ৫নং মাছঘাট গ্রীণল্যান্ড আবাসনের নতুন বস্তির সেকেন্দার মাঝির ছেলে মোস্তফা মাঝি (৪৮), আড়ংঘাটা গাইকুড়ের ইয়াছিন শেখ এর ছেলে মো. রাজীব শেখ (২৮), ছোট বয়রা মার্কেট রোডের কামরুল হক চৌধুরীর ইয়ারুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে পিল্টু (৪২), ছোট বয়রা গোলদার পাড়ার মাসুদুর রহমান এর ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (৩০) ও করিম নগর রওশনারা ক্লিনিকের পাশের মজিদ সরদার ওরফে মজিবর রহমান এর ছেলে মো. মামুন সরদার (২১)।
কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় ১৫২ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ, ৮৪০ পিস ইয়াবা ও নগদ ২৬৫০০ টাকাসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।