যশোরের বাঁধাকপি যাচ্ছে সিঙ্গাপুর

4
Spread the love

যশোর অফিস:

যশোরে উৎপাদিত বিষমুক্ত বাঁধাকপির নতুন ঠিকানা এখন সিঙ্গাপুর। প্রথম দফায় ৭০ টন বাঁধাকপি রপ্তানি করা হচ্ছে দেশটিতে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসেই সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের মাঠ থেকে প্রথম চালানে গেছে ২০ হাজার কেজি বাঁধাকপি। সিঙ্গাপুর ছাড়াও চলতি মৌসুমে এক লাখ দশ হাজার ডলার মূল্যের পাঁচশ টন বাঁধাকপি বিভিন্ন দেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সদর উপজেলার বড় হৈবৎপুর গ্রামের কৃষক শামসুল ইসলাম জানান, সাত বিঘা জমিতে আবাদ করে রপ্তানির জন্য তিন হাজার বাঁধাকপি বিক্রি করেছেন। ভালো দাম পাওয়া গেছে। বিদেশের বাজারে যশোরের সবজি রপ্তানি শুরু হয় ২০১৭ সালে। ওই বছর মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হয় ২২৫ টন বাঁধাকপি। যশোর থেকে ২০২১ সালে ৬১ টন বাঁধাকপি রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৫৯০.৭২৪ টন সবজি রপ্তানি হয়েছে। যার মূল্য ৯৫ লাখ হাজার ৩০৯ টাকা। দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, ইউরোপের যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্সে পাঠানো হয় এসব সবজি। করোনার প্রভাবে গত বছর সবজি রপ্তানি কিছুটা কমে গেলেও আবার তা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের মোট চাহিদার ৬৫ ভাগ সবজির জোগান দেয় যশোর। প্রতি বছর জেলা থেকে ছয় লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়। বছর ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সবজি চাষ লাভজনক করতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া কাজ শুরু করেছে যশোর অঞ্চলে। সংস্থা দুটির তত্ত্বাবধানে ‘সফল’ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রপ্তানিকারকদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কাজ করা হচ্ছে। সফল প্রকল্পের পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষকের মাঠের সঙ্গে রপ্তানিকারকের সংযোগ স্থাপন হওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমেছে। বাজারে পণ্য তোলার পরে হাটমালিককে খাজনা দিতে হচ্ছে না। এতে সরাসরি কৃষক রপ্তানিকারক লাভবান হচ্ছেন। ছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।