খুলনায় প্রভাষক চিত্তরঞ্জন বাইন হত্যা মামলার রায় ৯ ফেব্রুয়ারি

2
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার::


শহীদ শেখ আবুল কাশেম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক চিত্তরঞ্জন বাইন (৪৫) হত্যা মামলার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে এ দিন ধার্য করেছেন জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো।


আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ছায়েদুল হক শাহীন জানান, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। ২৫ জানুয়ারী ও ২ ফেব্রুয়ারী উভয়পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আরিফ মাহমুদ লিটন। আসামী পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট খান মো. লিয়াকত আলী, অ্যাডভোকেট শফিউল আলম সুজন ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ আরও অনেকে। তিনি আরও জানান, চার্জশীটভক্ত ১০ আসামীর মধ্যে রাজু মুন্সি পলাতক রয়েছে। ৩জন আসামী জেলহাজতে রয়েছে ও ৬জন আসামী জামিনে রয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন, রাজু মুন্সি ওরফে গালকাটা রাজু, মো. তুহিন গাজী, মো. আজিজুল ইসলাম, মো. মাহফুজ হাওলাদার, রাসেল, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মো. শাওন শেখ, বাবু শেখ, আব্দুল্লাহ ও মো. সুলতান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চিত্তরঞ্জন বাইন শহীদ শেখ আবুল কাশেম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি খুলনা থানাধীন ৫৯ শেরেবাংলা রোডস্থ আমতলা মোড়ে স্বপরিবারে বসবাস করতেন। ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি সকাল ১১টায় চিত্তরঞ্জনের স্ত্রী লাকী গোলদার তার দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে বটিয়াঘাটায় পিত্রালয়ে যান। প্রতিদিনের ন্যায় পিটিআই মোড়স্থ নিজ নামীয় (চিত্ত স্যারের ব্যাচ) শেষ করে তিনি রাত সাড়ে ১০টায় আমতলা মোড়স্থ বাসায় ফেরেন। ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১৫ জানুয়ারি সকাল সোয়া ১১টার মধ্যে যেকোন সময়ে ডাকাতির উদ্যেশ্যে ওই বাসার জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে আসামীরা। এরপর তাকে হত্যা করে হাত পা মুখ বাধা অবস্থায় তার লাশটি খাটের উপর ফেলে রাখে। ওই সময় ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য মালামাল (যার মূল্য দুই লাখ টাকা) লুণ্ঠন করে নিয়ে যায় আসামীরা। এঘটনায় নিহতের ভাই সুবোল বাইন বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং- ১৩ । ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল উদ্দিন ১০জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাজশীট দাখিল করেন।