খুলনাঞ্চল ডেস্ক::
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর একদিনের গণঅনশন করছেন ভারতের আন্দোলনরত কৃষকরা। শনিবার (৩০ জানুঢারি) দিল্লি সীমান্তে অবস্থানরত কৃষকেরা এক দিনের গণঅনশন কর্মসূচি পালন শুরু করে। স্থানীয় সময় শনিবার বেলা এগারোটা থেকে রোববার একই সময় পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
ভারতের স্বাধীনতার মহান নেতা মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শান্তিপূর্ণভাবে গণঅনশন পালন করা হবে বলে কৃষক নেতারা জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ আয়োজনকারী গ্রুপ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা দর্শন পাল বলেন, সত্য ও অহিংসার মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে ৩০ জানুয়ারির কর্মসূচি পালন করা হবে। কৃষকদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিলো আর শান্তিপূর্ণ থাকবে।
বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি-পাঞ্জাব, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক হাজার কৃষক।
কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণভাবে আইনগুলো প্রত্যাহার করা না পর্যন্ত অবস্থান উঠবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকরা রাজধানী দিল্লিতে ঢুকে পড়েন। পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই দিন এক কৃষকের মৃত্যুসহ আহত হয়েছেন শতাধিক কৃষক।
এরপর ঝিমিয়ে পড়া কৃষক আন্দোলন ফের চাঙা হয়ে উঠেছে। পুলিশ-বিজেপি-কৃষক সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে দিল্লি সীমান্ত।
বৃহস্পতিবার রাতে গাজিপুর সীমান্ত, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিঙ্ঘু সীমানায় দফায় দফায় চলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ।
একপর্যায়ে কৃষকদের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনার পরপরই সীমান্তে আরও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে দিল্লি। শক্তি বাড়াচ্ছে কৃষকরাও। এতদিন যাদের নীরব সমর্থন ছিল তারাও জড়ো হচ্ছেন দিল্লির বিক্ষোভস্থলে।