শিশু অঙ্কিতা হত্যা : ভিডিও ফুটেজ দেখে ক্লু উদ্ধারে তৎপর পুলিশ

23
Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার::

খুলনার দৌলতপুরে শিশু অঙ্কিতা দে ছোঁয়া (৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে। শিশুর পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা ছোঁয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করতে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। গ্রেফতার এক দম্পতি এবং আটক সন্দেহভাজন আরও ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

গত ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে দৌলতপুর থানার পাবলা বণিকপাড়ার মৌচাক টাওয়ারের সামনে থেকে নিখোঁজ হয় শিশু ছোঁয়া। ওইদিনই থানায় জিডি করেছিলেন শিশুর বাবা সুশান্ত দে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বণিকপাড়া কালীমন্দিরের পাশে বীণাপানি ভবনের নিচতলার টয়লেট থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরে ছোঁয়ার বাবা সুশান্ত দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর পুলিশ একই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তাকে গ্রেফতার করে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বীণাপানি ভবনের মালিক প্রভাত রুদ্র, পার্লারের মালিক মুক্তিসহ ছয়জনকে আটক করেছে। তাদেরকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অঙ্কিতার বাবা সুশান্ত দে বলেন, ‘গত ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বণিকপাড়ার মৌচাক টাওয়ারের সামনে থেকে ছোঁয়া হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে থানায় জিডি করি। বৃহস্পতিবার ছোঁয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আমার মেয়ের হাত বাঁধা ছিল। তার গলায় দাগ ছিল। তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে ওর (ছোঁয়া) মরদেহ পাওয়া গেছে। ছোঁয়া খুব চঞ্চল ও খেলা প্রিয় ছিল। সারাদিন ছোটাছুটি করত। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ‘ছোঁয়া নিখোঁজের পর তার বাবা থানায় জিডি করেছিলেন। সেই জিডির সূত্র ধরে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ছোঁয়ার মরদেহ পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বীণাপানি ভবনের মালিক, পার্লার মালিকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।’

ওসি আরও বলেন, ‘কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই ছোঁয়া হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে। ’ছোঁয়ার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।