সাতক্ষীরায় প্রাইভেটকার ও ফেন্সিডিলসহ চার মাদক ব্যবসায়ী আটক
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় প্রাইভেটকারের সিটের তলায় বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি প্রাইভেটকার জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় আটক করা হয়েছে ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারীসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে। সোমবার ভোর রাতে সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের শিকড়ী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে আসাদুল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার যোগরাজপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে জেলা ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারী সাদ্দাম হোসেন, একই উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু সাঈদ ও বৈকারী গ্রামের ইয়াসিন সরদারের ছেলে শাহিনুর রহমান। পুলিশ জানায়, ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী সাদ্দাম হোসেন বহুদিন যাবত সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অস্ত্র ও মাদকের মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও মাদক ছিনতাইয়ের অভিযোগও রয়েছে। ভোর রাতে সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের শিকড়ী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ভাবে উক্ত প্রাইভেটকারটি আটক করে তল্লাশী চালানো হয়। এ সময় প্রাইভেটকারের সিটের তলায় বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪২ বোতল ফেন্সিডিলসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক এবং প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তালায় নির্মান সড়কে আশার আলো দেখছে গ্রামবাসী
ইলিয়াস হোসেন, তালা
তালার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হচ্ছে নতুন সড়ক। আশার দেখছে গ্রাম বাসী। উপজেলার খেশরা ইউনিয়নে নির্মান করা হচ্ছে এ সড়কটি। বর্তমানে সড়টির ডব্লিউ.বি.এম এর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সড়কটির নাম করণ করা হয়েছে খেশরা ইউপি অফিস টু শালিখা বাজার ভায়া দক্ষিণ শাহজাতপুর বাজার এবং কেএসডি গার্স স্কুল। সূত্রে জানাযায়, অনলাইন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালার স্বনামধণ্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বসু ট্রেডার্স এর কর্তৃপক্ষ রাস্তাটির ঠিকাদার নির্বচিত হন। কার্যাদেশ পেয়ে সড়টির নির্মান কাজ শুরু করেন তারা। বর্তমান নির্মিতব্য সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটির প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে কার্পেটিং এর কাজ। অতিদ্রুত শেষ হবে বলে আশা করছে স্থানীয়রা।
দক্ষীণ শাহজাতপুর গ্রামের শাহবুদ্দিন মোড়ল জানান, জন্মলগ্ন থেকে এ রাস্তাটির বেহাল দাশায় আমাদের জনজীবন বেহাল ছিলো। বর্তমান সড়কটি নির্মান হওয়ায় আমদের মনে আশার সঞ্চর হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের রাস্তাটির কারণে কেউ অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না। তাছাড়া বর্তমান এই প্রত্যান্ত রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন করা খুবই কষ্টকর। আমার মনে হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের কর্তৃপক্ষের নিজ একলার কাজ ভেবেই এতো দ্রুত সময়ের মধ্যে সফল ভাবে কাজটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এখানে মালামাল বহন করা অত্যান্ত কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। খেশরা গ্রামের কামাল মোড়ল জানান, এখানে রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে এটায় আমদের বড় পাওয়া। এখনে জীবনে পিচের রাস্তা হবে এটা আমরা কল্পনাও করিনি। এব্যাপারে মেসার্স বসু ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারী কল্যান বসু এ প্রতিবেদক কে জানান, তালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলো দুরে অজোপাড়া গায়ে অবস্থিত সড়টির নির্মান কাজের প্রায় ৭৫শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছি। বাকি কাজ অতিদ্রুত শেষ করে দিবো। এখানে কাজ করতে যেয়ে হাজারো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। সকল চড়াই উতরায় পেরিয়ে আজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। তবুও কিছু মানুষ আমার ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে লেগে আছে। স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান রাজীব হোসেন জানান, রাস্তাটি নির্মানে স্থানীয় হাজারও মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। কিছু দিন আগে এখানকার কিছু ইট নিয়ে কথা উঠলেও আমি সরেজমিনে যেয়ে দেখি ইটের রং একটু খারপ থাকলেও ইটের স্ট্রেন্থ বা পোড় ভালো ছিলো। তারপরও স্থানীয় লোকজনের আপত্তির কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সে ইঠগুলো অপসারণ করে নতুন ইট এনে কাজ বাস্তবায়ন করছেন। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার জানান, গ্রামরে ভিতর সড়কাটি নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সড়টির নির্মান কাজ শেষ হলে অত্র এলাকার তথা খেশরা ইউনিয়নের হাজারো মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। তাছাড়া অত্র এলাকার মানুষ তাদের কৃষিজাত পণ্য অতি সহজে বাজারজাত করতে পারবে।
আইচগাতী ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক এক বৃদ্ধাকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ: জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার
রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান ও তার সহযোগিদের বিচার, জীবনের নিরাপত্তা ও পৈত্রিক জমি বুঝে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা মর্জিনা বেগম। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেয়াড়া গ্রামের স্বামী মৃত মুহাম্মদ সরদারের স্ত্রী মোসাম্মাদ মর্জিনা বেগম। সম্মেলনে তিনি বলেন, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২শত জমি আমার ভাই মো. ইউসুফ আলী শেখ আমাকে না জানিয়ে একই উপজেলার শিরগাতী গ্রামের মো.গফ্ফার মল্লিক ও মো. রহিম হাওলাদারের কাছে বিক্রি করে দেয়। স্বামীর মৃত্যুর পর ১পুত্র ও ২কন্যাকে নিয়ে বাবার ওয়রেশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে বসবাস করতে থাকি। আমাকে এই সম্পত্তি হতে উচ্ছেদ করার জন্য একটি চক্র ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এই ঘটনায় রূপসা সহকারী আদালতে বাদি হয়ে দেওয়ানী ৫০/৯৫ নং মামলা দায়ের করি। ২০১০সালের ৭জুলাই বিজ্ঞ আদালত থেকে রায় ডিগ্রী প্রাপ্ত হই। সেই থেকে বাবার ভিটায় সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছি। আদালত জারী ২/১৪নং মামলার ডিগ্রী করে সম্পত্তি বাদি মর্জিনা বেগমের অনুকূলে বুঝে দেওয়ার জন্য সার্ভেয়ারদের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। ২০১৬ সালের ২৪নভেম্বর বিকেল অনুমানিক ২টা ২০মিনিটে বাদির সম্পত্তি সার্ভেয়ার সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন। আসামীরা সম্পত্তির লোভ সামলাতে না পেরে ওই দিন বিকেল ৫টায় সশস্ত্র অবস্থায় লোহার রড,শাবল, বাঁশের লাঠি নিযে অতর্কিত হামলা করে আমার ঘর ভেঙ্গে দেয়। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। ঘরে আলমারীতে রক্ষিত ২লাখ টাকার অগ্রণী ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র নিয়ে যায় চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল। বিবাদি মো. রহিম হাওলাদারের স্ত্রী জাহানারা বেগম চেয়ারম্যানের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে। এজন্য ওরা যা বলে তাই করে চেয়ারম্যান। এই কারণে বিবাদি পক্ষ আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। আসামীরা আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানি করছে। আমি অনেক দপ্তরে গিয়ে কোন সহযোগিতা পায়নি।
তিনি বলেন, নতুন ঘর নির্মাণ করার জন্য ২হাজার ইট যার মূল্য ১৪হাজার টাকা, কানের দুল যার মূল্য ২৫হাজার টাকা আটিং যার মুল্য্য ১২হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় আসামীরা। এ সময় বন্দুক দিয়ে ফাঁকাগুলি ছোড়ে বাবুল চেয়ারম্যানের হুকুমে খুরে সাঈদ। এ সময় ১নং আসামী অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল হুমকি দিয়ে বলেন,মর্জিনাকে যেখানে পাবি খুন করে ফেলবি। আশরাফুজ্জামান বাবুলের দেহরক্ষি চরমপন্থী ক্যাডার খুরে সাইদ ও তার সহযোগিরা আমাদের টেনে হিচড়ে খানমোহাম্মদপুর মসজিদের সামনে ফেলে রেখে যায়। আসামীরা আমাকে ও আমার ৩সন্তানকে মারপিট করে আহত করে। এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ‘এ’ অঞ্চল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, মো. ইউসুফ শেখ, মো. গফ্ফার মল্লিক, মো. সাজ্জাদ শেখ, মো. রহিম হাওলাদার ও সাইদ শেখকে আসামী করে আমি বাদি হয়ে মামলা করি। আমাকে হত্যার জন্য চেয়ারম্যান ঘোষনা দেয়। আমাকে যে হত্যা করতে পারবে তাকে ৫০হাজার টাকা দেয়া হবে। আমার ২শতক সম্পত্তি ক্রয়কারী মো. গফ্ফার মল্লিক ও মো. রহিম হাওলাদার এর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে। এই টাকা নিয়ে আমাকে আমার সম্পত্তি হতে উচ্ছেদ করছে। আমার কাছে চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। আমি গরীব লোক ও বিধাবা এতো টাকা দেয়ার সামর্থ নেই আমার। আমি দীর্ঘ ৫বছর বাড়ি ছাড়া। জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সন্তানদের মুখ দেখতে পারছিনা। আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়েছেন।
সম্মেলনে তিনি আইচগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল ও তার সহযোগিদের বিচার, সম্পত্তি বুঝে পাওয়া ও জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃক্ষের কাছে।
পাইকগাছায় লীজ ঘেরে বাঁধ, গাছপালা কর্তন, মাছ তছরুপ করে ২ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লীজ ঘেরে প্রবেশ করে বাঁধ দেওয়া, গাছপালা কর্তন, মাছ তছরুপ করে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ। ঘটনাটি উপজেলার বাইনচাপড়া গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার লতা ইউপির বাইনচাপড়া গ্রামের মৃত আঃ মালেকের ছেলে নূরুল ইসলামের আনুমানিক ২১ বিঘার একটি সাদা ও গলদা মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। যার চারপাশ দিয়ে কুলগাছ রয়েছে। প্রতিপক্ষ একই এলাকার লালু মীরের ছেলে হানিফ মীর ও তার ছেলে রুবেল মীর সহ ১৫/২০ জন রবিবার সকালে ঘেরের ভিতর জোর পূর্বক প্রবেশ করে গাছপালা কর্তন করে বাঁধ ও ঘেরের মধ্যে পুকুর থেকে মাছ ধরতে থাকে। এ সময় পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাঁধ বন্ধ করে দেয় বলে নূরুল ইসলাম জানান। পুলিশের কথা অমান্য করে সোমবার আবারো বাঁধের কাজ করে। এ ঘটনায় নূরুল বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করে। প্রতিপক্ষ হানিফ মীর জানান, নূরুল গংরা ঘেরের ভিতরে আমাদের জমি দখল করে রেখেছে। সে জমি আমরা বের করে নিয়েছি। গাছপালা কর্তন মাছ ধরার কোন ঘটনা ঘটেনি।
পাইকগাছা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সাথে প্রশাসনের দিক-নির্দেশনামূলক সভা
পাইকগাছা প্রতিনিধি
আগামী ৩০ জানুয়ারি পাইকগাছা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে আইনশৃংখলা ও নির্বাচনী আচরণবিধিমালা বিষয়ে দিক-নির্দেশনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় পাইকগাছা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে ভোটগ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে অনুষ্ঠিত পৃথক সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্ণিং অফিসার এম. মাজহারুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, পাইকগাছা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরন মন্ডল, ওসি এজাজ শফী, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ কামাল উদ্দীন আহমেদ। নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ভোট গ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়। কোন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রত্যেক প্রার্থীদের আচরণ বিধির মধ্যে থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য নির্দেশনা দেন।
দুই বছরেও শেষ হয়নি মণিরামপুর-কুলটিয়া সড়কের সংস্কার কাজ
আনোয়ার হোসেন,মণিরামপুর
যশোরের মণিরামপুর বাজার-কুলটিয়া সড়কটির সংস্কার কাজ দুই বছর আগে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। ইটের খোয়া দেওয়ার পর পিচ না দিয়ে কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। দীর্ঘদিন এভাবে রাস্তা পড়ে থাকায় বড়বড় খোয়া উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তা ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে কয়েক জায়গায়। খোয়া ভেঙে ধুলোয় পরিনত হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তার দুইধার। দুইবছর ধরে রাস্তাটির বেহাল দশা হলেও সেদিকে নজর নেই সংশ্লিষ্টদের।
মণিরামপুর-কুলটিয়া ভায়া মাছনা সড়কটির দৈর্ঘ্য ১২ কি.মি.। পূর্বের পিচ নষ্ট হওয়ায় পুননির্মানের জন্য রাস্তাটি দুইভাগে বিভক্ত করে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কার্যাদেশ জারি করেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী। ৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মণিরামপুর থেকে বাগডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৭ কি.মি. রাস্তা পুননির্মাণের কাজ পান যশোরের ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম। সেখান থেকে মশিয়াহাটী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের কাজ পান অন্য ঠিকাদার। ওই সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হয়ে চারমাস সময় নিয়ে ২৮ জুন শেষ করার কথা ছিল। বাগডাঙা স্কুল থেকে মশিয়াহাটী পর্যন্ত রাস্তার কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হলেও বিপত্তি ঘটে মণিরামপুর থেকে বাগডাঙা স্কুল পর্যন্ত ৭ কি.মি. সড়কের কাজে। ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম কাজ শেষ না করে ফেলে রেখেছেন দুই বছর। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কটিতে চলাচলকারী পথচারীরা।
আটপাখিয়া গ্রামের থ্রি হুইলার চালক আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমি এই রাস্তায় গাড়ি চালাই। বড়বড় খোয়া উঠায় চলাচল করা যাচ্ছে না। গাড়ির টায়ার ও বডি নষ্ট হচ্ছে। প্রায়ই গাড়ি গ্যারেজে নিতে হচ্ছে। যা আয় হয় গাড়ির পিছনে খরচ করে বাড়ি নেওয়া যায় না। কারো নজর এদিকে নেই।
বেগমপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান বলেন, রাস্তা কয়েক জায়গায় ভেঙে গেছে। ট্রাক চলাচল করলে ইটের ধুলোয় আশপাশের বাড়ি ভরে যাচ্ছে। রাস্তার পাশের বাড়ির মানুষ খুব কষ্টে আছেন। ইটের ধুলো থেকে বাঁচতে দিনে দুইবার রাস্তায় পানি দিতে হচ্ছে। তাতেও রক্ষা হচ্ছে না।
রাস্তার কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাউসুল আজম বলেন, বারবার ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কাজ ধরবে বলে ঠিকাদার প্রতিবার কথা দিচ্ছেন। কিন্তু কাজ করছেন না। জানতে চাইলে ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম বলেন, আর্থিক সমস্যা ছিল। করোনার জন্য একবছর কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। একমাসের মধ্যে কাজ শুরু করব। মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক বলেন, আমি নতুন এসেছি। এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
শরণখোলার লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও এনজিও পরিচালক আকাশ!
শরনখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেহাটের শরনখোলায় স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া এবং সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জ ঘেঁষে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আকাশ নীহা নামে ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মান করে বিভিন্ন পদে চাকুরী সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও হয়ে গেছে এনজিও জোয়ারের নির্বাহী পরিচালক আঃ রহমান আকাশ নামের এক প্রতারক। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল আকাশের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করে সকল তার অপকর্মের সহযোগীতা করায় হাতানো অর্থ নিয়ে খুব সহজেই পালাতে সক্ষম হয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা আঃ রহমান আকাশ নামের এক যুবক বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলা প্রশাসন পাড়া সংলগ্ন মোঃ মোস্তফা তালুকদারের মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) জোয়ার নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে সল্প সুদে ঋণ দেয়ার কথা বলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৬/৭জন কর্মী নিয়োগ করে সঞ্চয় আদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদী ডিপিএস সহ বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতানো শুরু করেন। কিছুদিন পর আমানতকারীরা ঋন দাবী করলে তালবাহানা শুরু করেন আকাশ। গ্রাহকদের ঋন প্রদান করার জন্য এনজিও জোয়ারের কর্মী মারুফা আক্তার, জোসনা রানী ও আসাদুল ইসলাম সুপারিশ করলে আকাশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন এবং তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মুল সনদ আটকে রেখে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। এ ঘটনায় মারুফা, জোসনা রানী ও আসাদুল প্রতারক আকাশের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি সহ অসদাচরনের বিষয় উত্থাপন করে ২০২০ সালের ৯ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আকাশ ও তার ৩/৪ জন সহযোগী একই বছরের ১ মে জোয়ারের মাঠকর্মী গৃহবধু মারুফা আক্তার (২২) এর বাসায় যায় এবং তার বিরুদ্ধে কেন ইউএনওর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে তার কৈফিয়ত চান। এ সময় বাসায় মারুফাকে একা পেয়ে আকাশ ও তার সহযোগীরা লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। এক পর্যায়ে মারুফা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে সুকৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর প্রতারক আকাশ সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা মারুফা মামলা দায়ের করতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের চাপে তা নিতে গড়িমসি শুরু করেন শরনখোলা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে, গৃহবধুকে নির্যাতন ও তার শীল্লতাহানীর ঘটনা নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে ঘটনার ৬দিন পর আ. রহমান আকাশ (৩৫) ও তার সহযোগী উপজেলার দক্ষিন আমড়াগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী সোহাগ মৃধার স্ত্রী মিসেস সুমি বেগম (২৫) এবং দক্ষিন তাফালবাড়ী এলাকার বাসিন্দা তুষার মিত্রের মেয়ে সুবর্না মিত্র (৩৫) এর বিরুদ্ধে মারুফার দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে পুলিশ। অন্যদিকে, ঘটনার প্রায় একমাস পর প্রভাবশালী চক্রের সহযোগীতায় আকাশের সহযোগী সুমি বেগম বাদী হয়ে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে মারুফা আক্তার (২২) ও তার স্বামী জিহাদুল ইসলাম সাব্বির (২৬) সহ জোয়ারের আরেক মাঠকর্মী আসাদুল ইসলাম (২৮) এর বিরুদ্ধে একই থানায় একটি পাল্টা মামলা দায়ের করে। জোয়ার এনজিওর সাবেক কর্মী মারুফা আক্তার বলেন, আমি ও আসাদুল আকাশের বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় আমাদের তিন মাসের বেতন না দিয়ে চাকুরী হতে বাদ দিয়ে দেন। পরে আকাশ তার দল নিয়ে আমার বাসায় গিয়ে হামলা চালায়। চিকিৎসা শেষে শরনখোলা থানায় আমি মামলা করতে গেলে স্থানীয় একটি চক্র আমার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ওই সময় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরায় প্রতারক আকাশের আসল চরিত্র সবাই জানতে পারে। পরে আমার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন শরনখোলা থানা পুলিশ। আমাদের হয়রানি করতে ঘটনার একমাস পর আমি ও আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আকাশের সহযোগী সুমি স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের একটি কাল্পনিক অভিযোগে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে একটি পাল্টা মামলা দায়ের করায়।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের শরণখোলা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সেলিম খাঁন বলেন, জোয়ারের পরিচালক আকাশ একজন বড় মাপের প্রতারক। সে শরনখোলা ছাড়াও সাতক্ষীরা, মুন্সিগঞ্জ ও মনিরামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় একইভাবে প্রতারনার ফাঁদ পেতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন। তার নামে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মামলা রয়েছে। আকাশ শরনখোলায় এসে স্থানীয় কয়েকজন লোভী ব্যক্তিকে ভাড়া করে ও তার ব্যবসার অংশিদার করার লোভ দেখিয়ে প্রতারনার জাল বুুনতে শুরু করেন। এছাড়া আকাশ নীহা নামে আধুনিক মানের ইকো পার্ক নির্মাণ করার জন্য আমার মালিকানাধীন পাঁচ বিঘা জমি ২০ বছরের জন্য লীজ নেয়ার কথা বলে একটি ষ্ট্যাম্পে চুক্তি করেন। পরে দুই বছরের ভাড়ার টাকা হিসেবে ট্রাষ্ট ব্যাংক মুন্সীগঞ্জ শাখার অনুকুলে আমার নামে ৬৬ হাজার টাকার একটি ভুয়া চেক প্রদান করেন। পরে দেখি ওই একাউন্টে কোন টাকা নাই। আমি শ্রীগ্রই প্রতারক আকাশের বিরুদ্ধে মামলা করব। এ ব্যাপারে শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, আকাশের প্রতারনার বিষয়টি আমি শুনেছি। তাছাড়া তার ব্যাপারে সাতক্ষীরার কিছু ক্ষতিগ্রস্থ লোক আমার কাছে ফোন করে জানতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য এনজিও জোয়ারের নির্বাহী পরিচালক আ. রহমান আকাশের (০১৭৪২২৮৯৭৩২) মুঠো ফোনে একাধিক বার কল করা হলে তা বন্ধ থাকার কারনে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সীমান্তে ১, ১৯০ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিজিবি
বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা সীমান্তে ১,১৯০ বোতল ফেনসিডিল সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিজিবি। সোমবার দুপুরে শার্শার সালকোনা সীমান্ত থেকে ১,১৯০ বোতল ফেনসিডিল সহ মালিকবিহীন শাহীন হোসেন (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে বিজিবি। শাহীন রঘুনাথপুর গ্রামের ইয়ানুর রহমানের ছেলে। ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল সেলিম রেজা জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল এনে সালকোনা সীমান্তের নারকেল বাড়িয়া গ্রামে অব¯থ’ান করছে এমন ধরনের গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালিয়ে বস্তা ভর্তি ১১৯০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয়। পরে ফেনসিডিলের মালিক শাহীন হোসেনকে আটক করা হয়। আটক ফেনিসিডিলের মূল্য ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বলে বিজিবি জানায়। আটক শাহীনকে শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে । এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রী খুলনা আসছেন আজ
তথ্য বিবরণী
ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এক দিনের সফরে আজ খুলনা আসছেন। সফরসূচি অনুযায়ী মন্ত্রী ২৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবনী উদ্যোগ ‘টেকসই ডিজিটাল ভূমি তথ্য ব্যাংক’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। বিকালে মন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা ত্যাগ করবেন। অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন উপস্থিত থাকবেন।
বাঙালি সংস্কৃতিতে স্বদেশ প্রেম ও জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটিয়েছেন মধুসূধন দত্ত: ডিসি যশোর
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাঙালি রেনেসাঁর শ্রেষ্ট কবি মুধুুসূদন দত্ত। তারই ফলে বাঙালি সংস্কৃতিতে স্বদেশ প্রেম ও জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটেছে। বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা ভাষার যোগাযোগ ঘটিয়েছেন তিনি। তাঁর সাহিত্যে কি কবিতায় কি নাটকে বাঙালী জাতীয়তাবোধকে জাগ্রত করেছেন।
মহাকবির জন্মজয়ন্তি উপলক্ষে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে সোমবার মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কোভিড-১৯ মহামারির কারনে এবছর সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় জন্মবার্ষিকী পালন।
মধুমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দীন, সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো, মধু গবেষক কবি খসরু পারভেজ, প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাসুদুর রহমান ও উজ্জ্বল ব্যানার্জী। আলোচনা শেষে ওই মঞ্চে যশোর ও কেশবপুরের শিল্পিরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন। আলোচনা সভার পূর্বে মধুপল্লীতে মাইকেল মধুসূধন দত্তের আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞলি জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, কেশবপুর প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চারুপীট আর্ট স্কৃলসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ইউপি নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এ্যাডভোকেসী সভা
বাগেরহাট প্রতিনিধি
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নারীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগেরহাট সদর উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে সোমবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে বাগেরহাট ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ প্রঙ্গনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাগেরহাট সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রিজিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আ,ন,ম ফয়জুল হক। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসনা হেনা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খান রেজাউল ইসলাম, রুপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, ষাটগম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাগেরহাট সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, সাংবাদিকসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে নারীদের মনোনয়ন ও সমর্থন দেওয়ার জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গকে এগিয়ে আশার আহবান জানানো হয়।
খুলনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফটোজার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের ফুলেল শুভেচ্ছা
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন খুলনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে খুলনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন খুলনা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এসে ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লাসহ নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, ক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম ও ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন খুলনা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নির্বাহী সদস্য এস এম নজরুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক মোঃ মাকসুদুর রহমান (মাকসুদ), নির্বাহী সদস্য মোজাম্মেল হক হাওলাদার, ক্লাব সদস্য অরুণ সাহা, মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, শেখ তৌহিদুল ইসলাম তুহিনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক পাপ্পু, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী ফজলে রাব্বী শান্ত, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, কোষাধ্যক্ষ সাগর সরকার, দপ্তর সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা, সদস্য শেখ কামরুল আহসান, মামুন হাওলাদার, ফটোসাংবাদিক জায়েদ আকন, ওবায়দুল হক, সুমন প্রমুখ।
মরহুম এম পল্টু’র আত্মার শান্তি কামনায় নগর যুবলীগের দোয়া
খবর বিজ্ঞপ্তি
সাবেক যুবলীগ নেতা এম পল্টু’র মৃত্যুবার্ষিকীতে তার আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, খুলনা মহানগর শাখা। সোমবার বাদ আসর নগরীর শঙ্খ মার্কেটস্থ আজমেরী জামে মসজিদে এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নগর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, নগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, যুবলীগ নেতা মোস্তফা শিকদার, মশিউর রহমান সমুন, ইয়াসিন আরাফাত, ছাত্রলীগ নেতা জাহির আব্বাস, শেখ সাকিব, সোহান হোসেন শাওন, রাজেস মাহমুদ, এম এ হোসেন সবুজ, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা জিহাদুর রহমান জিহাদ, জামিল আহমেদ সোহাগ, মহিদুল হক শান্ত, সাগর মজুমদার, লাহরিয়ার রহমান রাহুল, মিরাজ হোসেন প্রমূখ। দোয়াই মরহুম এম পল্টু’র আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। দোয়া শেষে সকলের মাঝে তবারক বিতারণ করা হয়।
ব্যক্তিমালিকানা জুট মিল চালু ও চুড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিক জনসভা : ৪ দিনের কর্মসুচি ঘোষনা
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
বন্ধকৃত ব্যক্তিমালিকানাধীন সোনালি, এ্যাজাক্স, আফিল, মহসেন , জুট স্পিনার্স সহ সকল জুট মিল সহ কলকারখানা চালু , বকেয়া পাওনা পরিশোধ সহ ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে বেসরকারি পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের পুর্বঘোষিত কর্মসুচি অনুযায়ি সোমবার বিকাল ৪ টায় এ্যাজাক্স জুট মিল শ্রমিক ক্লাবে শ্রমিক নেতা শহিদুল্লাহ খান এর সভাপতিত্বে ও ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক সাইফুল্লাহ তারেক এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বেসরকারি পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন , সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, ওয়াহিদ মুরাদ, মোঃ বক্তিয়ার, আঃ ওহাব , নিজামউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্বারী আছহাবউদ্দিন , সাংবাদিক মিহির রঞ্জন বিশ্বাস, মোঃ ইমরান হোসেন প্রমুখ । শ্রমিক জনসভা থেকে শ্রমিকদের ন্যায় সঙ্গত দাবি আদায়ের লক্ষে ৪ দিনের কর্মসুচি ঘোষনা করা হয় । কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে আগামি ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১১ টায় পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন, ২৭ জানুয়ারি বুধবার আফিল মিল শ্রমিক ইউনিয়ন , ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার মহসেন জুট মিল শ্রমিক ইউনিয়ন , ৩০ জানুয়ারি শনিবার সোনালি জুট মিল শ্রমিক ইউনিয়নে মানববন্ধন সফল করার লক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে ।
দাবী আদায়ে রাজপথে পটকল শ্রমিকদের ভূখা মিছিল, বৃহস্পতিবার সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
খুলনার আটরা শিল্পাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ব আলীম জুট মিলের অবসায়ন, অবসরকৃত ও বদলী শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা আইনী জটিলতায় আটকে আছে। খুলনাসহ দেশের ২৪টি রাষ্ট্রায়ত্ব জুট মিলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ চলমান থাকলেও একমাত্র খুলনার আটরা শিল্পাঞ্চলের আলীম জুট মিলের শ্রমিকদের কোন পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন কর্মসুচি পালন করে যাচ্ছে মিলটির শ্রমিক-কর্মচারী। খানজাহান আলী থানা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা চতুর্থ দফার চলমান আন্দোলন কর্মসুচির অংশহিসাবে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় আটরা শিল্পাঞ্চলের রাজপথে ভূখা মিছিল বের করে। মিলের শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা থালাবাটি হাতে নিয়ে ভূখা মিছিলে অংশগ্রহন করে।
আলীম জুট মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম জাহাঙ্গীর কবির জানিয়েছেন, আইনী জটিলতায় মিলটির শ্রমিকদের সকল পাওনা আটকে আছে। মেসার্স শিল্পা প্রতিষ্ঠান মিলের ১৬% শেয়ার দাবী করে আইনের মারপ্যাচে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে হয়রানি করছে। তারা শেয়ারের অংশ হিসাবে মালিকানা দাবী করে আদালতে একাধিক কনডেম মামলা করে। আদালত তাদের তিনটি মামলা খারিজ করে দেওয়ায় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড়ের ইতিবাচক অনুমতি দেওয়ায় শ্রমিকরা তাদের পাওনা পাওয়ার বিষয়ে আশার আলো দেখছিল। কিন্তু পাওনা পরিশোধে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে ফাইলটি আটকে যাওয়ায়। তিনি আরো জানান গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের আওতায় দেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব জুট মিল ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রায়ত্ব এ মিল গুলোর মধ্যে একমাত্র খুলনার আলীম জুট মিলটির শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ আইনী জটিলতায় আটকে আছে।
এদিকে পুর্বঘোষিত কর্মসুচি অনুযায়ী গতকাল সোমবার সকাল ১০টার পর থেকে মিলের শ্রমিকরা আলীম জুট মিলের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকে। সকাল ১১টায় মিলের প্রধান ফটকের সামনে থেকে শ্রমিকরা থালাবাটি হাতে নিয়ে ভূখা মিছিল বের করে। মিছিলটি খুলনা যশোর মহাসড়কের পথের বাজার হয়ে আলীম ও ইষ্টার্ণ জুট মিল সংলগ্ন রাজপথ ঘুরে আলীম জুট মিলের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খানজাহান আলী থানা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের আহবায়ক সরদার আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়াকার্স পার্টি মহানগর সভাপতি কমরেড মফিদুল ইসলাম। বক্তৃতা করেন ইষ্টার্ণ জুট মিলের সভাপতি আলাউদ্দিন, থানা ওয়াকার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক আঃ সাত্তার মোল্যা, ইউপি সদস্য বখতিয়ার পারভেজ, আলীম জুট মিলের সাবেক সভাপতি আঃ সালাম জমাদ্দার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আঃ রশিদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন থানা কমিটির সদস্য জাকির সরদার, সদস্য সচিব আঃ রউফ মোড়ল, জহির উদ্দিন খান, হক হাওলাদার, ইকবাল হোসেন, শেখ মজিবার, কাসেম সরদার, কামরুজ্জামান, হাদিউজ্জিামান, অহিদুল ইসলাম, শেখ আমিরুল, রেদওয়ান বাহার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পূর্বকর্মসুচির অংশহিসাবে আগামী ২৮ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা দুই ঘন্টা আটরা শিল্পাঞ্চলের রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসুচি পালনের সিদ্ধান্ত রয়েছে।
ডুমুরিয়ায় পাউবো’র মাটি ইটভাটার গর্ভে : হুমকির মুখে ভেঁড়ীবাঁধ
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে স্লুইচ গেটের নিকটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেঁড়ীবাঁধের নিচে স্কেভেটর দিয়ে বিশাল গর্ত করে খননকৃত সরকারি মাটি চড়া মূল্যে স্থানীয় এক ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে দেদারছে।এতে একদিকে হুমকির মুখে পড়ছে ভেঁড়ীবাঁধ অন্যদিকে মাটি বহনকৃত ভারী যানবাহনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনবহুল কার্পেটিং সড়কটি।এ যেন দেখার কেউ নেই। আশু ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ভেঁড়ীবাঁধ ধ্বসে হুমকির মুখে পড়বে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি।তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,উপজেলার কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কে ১৭/১ পোল্ডারের কুলবাড়ীয়া স্লুইচ গেটের নিকটবর্তী এলাকায় স্থানীয় কুলবাড়ীয়া এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে আব্দুল হাই পাউবো’র প্রায় ১একর জমি অবৈধ ভাবে দখল করে দীর্ঘদিন যাবত চাষাবাদ করে আসছে।সম্প্রতি গত ২/৩ দিন ধরে ভেঁড়ীবাঁধের নীচে স্কেভেটর দিয়ে বিশাল গর্ত করে খননকৃত সরকারি মাটি চড়া মূল্যে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে দেদারছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন।এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয় একাধিক লোকজন ও ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম মুন্নার সাথে।তারা একই সুরে সুর মিলিয়ে জোরালো অভিযোগ করে বলেন,কুলবাড়ীয়া এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে আব্দুল হাই পাউবো’র প্রায় ১একর জমি অবৈধ ভাবে দখল করে দীর্ঘদিন যাবত চাষাবাদ করে আসছে।এরমধ্যে গত ২/৩ দিন ধরে স্কেভেটর দিয়ে স্লুইচ গেটের নিকটে পাউবো’র ভেঁড়ীবাঁধের নীচ থেকে মাটি খনন করে স্থানীয় আজিজুল ইসলামের ইটভাটায় ভারী যানবাহন দ্বারা চড়া দামে ওই মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে।এতে যে কোন সময় ধ্বস নেমে ভেঁড়ীবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পারে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি।তারা আরও অভিযোগ করে বলেন মাটি বহনকৃত ভারী যানবাহন ওঠা-নামায় ও চলাচলে কার্পেটিং সড়কে নেমেছে ধ্বস।এছাড়া সড়কে কাদামাটি পড়ায় ঝুঁকির মধ্যদিয়ে চলতে হচ্ছে প্রতিটি যানবাহন।বিষয়টি খুবই নেক্কারজনক উল্লেখ করে ওই ইউপি সদস্য আরও বলেন,আশু এটা বন্ধ ও এর সাথে যারা জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।এ প্রসঙ্গে মাটি খননের সত্যতা স্বীকার করে আব্দুল হাই বলেন,মাটি বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,ঘের খননের স্বার্থে আজিজুলের ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে।তবে এটা যে বে-আইনি তা আমার জানা ছিলনা।এ বিষয়ে পোল্ডারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাসনাতুজ্জামান বলেন,খবর পেয়েছি আশু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পাইকগাছার সোলাদানায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে এমপি বাবু
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অস্বচ্ছল, দুঃস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে সোলাদানা ইউনিয়নের বেতবুনিয়া এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু, বিশেষ অতিথি ছিলেন মেজর এ এস এম শামসুল আরেফিন, সোলাদানা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মহাসিনুর রহমানের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ও সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, আ’লীগ নেতা আনিসুর রহমান মুক্ত, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, মোঃ আবুল বাশার বাবুল সরদার, জেলা পরিষদের সদস্য আঃ মান্নান গাজী, প্রভাষক মঈনুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আফি আজাদ বান্টি, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবু, জেলা যুবলীগ নেতা শামীম সরকার, কাজল কান্তি বিশ্বাস, দীপক চন্দ্র মন্ডল, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজু, মোঃ আঃ হালিম সরদার, শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, এস এম শাহাবুদ্দিন শাহীন, শংকর দেবনাথ, তপন কুমার বাইন, এম এম আজিজুল হাকিম, বিএম আরেফিন বিশ্বাস, মোঃ আকরামুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী, মোঃ রায়হান পারভেজ রনি, রমজান সরদার, প্রদীপ দত্ত, ইনাম সরদার প্রমুখ।
৩৮ জন কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ
বেনাপোল প্রতিনিধি
ভারতে দু’বছর কারাভোগের পর সোমবার রাতে ৩৮ জন কিশোর -কিশোরীকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে হস্থান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। রাত ৭ টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে আনুষ্ঠানিকভাবে । তারা বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছে ২৮ জন কিশোরী ও ১০ জন কিশোর। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি ডেপুটি হাই কমিশনার শামীমা ইয়াসমিন তাদের সাথে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায় এরা অবৈধ পথে ভারতে যায়। তারা বিভিন্ন শহরে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। দুই থেকে চার বছর সাজাভোগের পর আজ তারা দেশে ফিরে এসেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, গত বছর তিনেক আগে ভালো কাজের আশায় দালালদের খপ্পরের পরে অবৈধ পথে তারা ভারতে যায়। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশ তাদের আটক করে। পরে আদালত তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২ বছর কারাদন্ড দিয়ে জেলে পাঠায়। সাজার মেয়াদ শেষে ভারতের রেসকিউ, লিলুয়া ও সুকন্যা ফাউন্ডেশন নামে এনজিও সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে।
সাজার মেয়াদ শেষে দু দেশের স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের হস্থক্ষেপে তাদের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা হয়। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে এনজিও সংস্থা ১৭ জন, মহিলা আইনজীবী সমিতি ৭ এবং মানবাধিকার সংস্থা রাইটস যশোর ১৪ জনকে নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যায়।
সুস্থ সবল দেহ গঠন এবং মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম: সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সুস্থ সবল দেহ গঠন এবং মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। এ জন্য লেখা পড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন বর্তমান সরকার খেলাধুলার জন্য নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করছে। যারা মাদকাসক্তি বা মোবাইল ফোনের নেতিবাচক আসক্তির কারণে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে তাদেরকে ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সিটি মেয়র সোমবার বিকেলে নগরীর করোনেশন কারিগরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ১ম মেয়র কাপ শট পিচ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কথা বলেন। বন্ধুমহল এ টুর্ণামেন্টের আয়োজন করে। টুর্ণামেন্টে ১২টি দল অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে বন্ধুমহল চ্যাম্পিয়ন ও মিরাজ স্মৃতি সংঘ রানার্স আপ হবার গৌরব অর্জন করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সমাজ সেবক ও ক্রীড়া সংগঠক মোঃ নজরুল ইসলাম, এনামুল হক ইনু, মোঃ শফিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম সুমন, মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বিজয়ী দলের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এর আগে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগরীর নতুন বাজারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। নতুন বাজার চিংড়ি বণিক সমিতির উদ্যোগে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। সিটি মেয়র সরকারের পাশাপাশি সেবার মনোভাব নিয়ে দুঃস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের প্রতি সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সমাজের সামর্থবান সকলের প্রতি আহবান জানান। শীতবস্ত্র বিতরণকালে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সাবেক কমিশনার মোঃ নূরুল ইসলাম মনু, নতুন বাজার চিংড়ি বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওহিদুজ্জামান মনজির, আ’লীগ নেতা মফিদুল ইসলাম টুটুল, মোঃ তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান মিডনাইট সরকারের আমলে দেশের সর্বত্র অন্যায় ও অবিচারের দোর্দন্ড প্রতাপ চলছে :মঞ্জু
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, সরকারের পায়ের নীচের মাটি সরে গেছে বলেই ক্ষমতা হারানোর অজানা আতঙ্কে তারা বিরোধী দলের যেকোন কর্মসূচি দেখলেই আঁতকে উঠছে। তাই দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের ওপর চালানো হচ্ছে অবর্ণনীয় নিপীড়ণ-নির্যাতন। দেশে রাজনীতি করার অধিকার কেবল আওয়ামী লীগের, অন্যকোন দল বা মতের অনুসারীদের জন্য নয়। দুর্নীতি দুঃশাসনের এক বিভিষিকাময় ভয়াল রুপ গোটা দেশকেই গ্রাস করে ফেলেছে।’ মঞ্জু আরও বলেন, বর্তমান মিড নাইট সরকারের আমলে দেশের সর্বত্র অন্যায় ও অবিচারের দোর্দন্ড প্রতাপ চলছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বাদ আছর সদর থানার ২৭নং ওয়ার্ডের পুর্ব বানিয়া খামার খাদেমুল মাদ্রাসা ও দক্ষিণ বায়তুন নাজাত মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের মাঝে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত সুধি সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, কোমলমতি শিশুরা আজ সাধারণ শিক্ষার পাশাপশি পবিত্র কোরআন শিক্ষায় হাফেজ হওয়ার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। এই শীত মৌসুমে তাদের যথেষ্ট শীতবস্ত্র নেই। সমাজের বিত্তশালীদের প্রতিটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শীতবস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, রেহেনা ঈসা, নাজির উদ্দিন নান্নু, ইশহাক তালুকদার, আব্দুল জব্বার, রবিউল ইসলাম রবি, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, জমশের আলী খান খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, মাজেদা খাতুন, মোহাম্মদ আলী, জাকারিয়া লিটন, মাসুদ খান, ডা. ফারুক হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন, ইউনুচ শেখ, বাবলু শেখ, ঈসা শেখ, জামির হোসেন দিপু, শাহাদাৎ হোসেন, কওসার শিকদার, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, মারুফ হোসেন, রাজিবুল আলম বাপ্পী, রবিউল আলম, শরিফুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনি, পান্না, রনি, সোহাগ সজল প্রমুখ।
যশোর পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান আ.লীগ ও বিএনপির ১০ পরিচিত মুখ
যশোর অফিস
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মেয়র প্রার্থী হতে চান প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১০ পরিচিত মুখ। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের ৬ জন ও বিএনপির ৪ জর নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে তারা প্রচারণাও শুরু করেছেন। আবার অনেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বর্তমান মেয়র জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর স্থলে প্রার্থী হতে চান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবীর কবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজামান মিঠু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হায়দার গণি খান পলাশ।
অপরদিকে, বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে চান সাবেক পৌরমেয়র ও নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক অ্যাড, আনিছুর রহমান মুকুল ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
বর্তমান মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকালাদার রেন্টু বলেন, দল যে আশা নিয়ে আমাকে নৌকা প্রতিক দিয়েছিল, তা আমি সফলভাবে পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। গত ৫ বছরের যশোর পৌরসভায় অভাবনীয় উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এখনও অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। পরীক্ষিত নেতা হিসেবে দলীয় নেত্রী যদি আবারো আমার হাতে নৌকা তুলে দেন, তাহলে যশোর পৌরসভাকে সারাদেশের মধ্যে মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো। সেইসাথে শতভাগ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে, সাবেক পৌরমেয়র মারুফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত যশোর পৌরসভায় উন্নয়ন কাজ শুরু হয় আমি দায়িত্বে থাকাকালে। আমার শুরু করা কাজই চলমান রয়েছে। যার ক্রেডিট নিচ্ছেন বর্তমান মেয়র। এখনও নানাভাবে অবহেলিত পৌরসভার সাধারণ মানুষ। তারা তাদের সুখ-দুঃখের কথা মেয়রকে বলার সুযোগ পান না। অথচ, তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো দেখভাল করাই পৌরপিতার কাজ। আমি নির্বাচিত হলে জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবো। একইসাথে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপাশি যশোর পৌরসভাকে নাগরিকদের জন্য আস্থার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবো।
এদিকে, মেয়র প্রার্থী গতে ইচ্ছুক মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের নিবেদিত কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। একজন পরীক্ষিত নেতা হিসেবে দলের কাছ থেকে আমি কিছুই পাইনি। আমি মনে করি দলের হাইকমান্ড বিবেচনা করে আমার হাতে নৌকা তুলে দিলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে যশোরবাসীকে সম্পৃক্ত করতে পারবো। সেইসাথে জনমনে এ সরকারের জন্য আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবো। এছাড়া পৌরবাসীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে শতভাগ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করবো।
যশোর পৌরসভার ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো নারী মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেছেন জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী। তিনি বলেন, ব্রিটিশ ভারতের দ্বিতীয় ও বাংলাদেশের প্রথম পৌরসভা যশোর পৌরসভা। এই পৌরসভায় কখনো নারীরা নেতৃত্ব দেয়নি। বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। দলের একজন পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে দলীয় প্রধান আমাকে মনোনয়ন দেবেন- এমনটা প্রত্যাশা করি। দলীয় মনোনয়ন পেলে ও নির্বাচিত হলে আমি যশোর পৌরসভার উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আসাদুজামান মিঠু বলেন, আমি দলের একজন পরীক্ষিত কর্মী। তাছাড়া, সামাজিক কাজকর্ম ও দেশের যুবসমাজকে মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে কাজ করছি। সবকিছু বিবেচনায় রেখে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে প্রত্যাশা করছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে ও নির্বাচিত হলে যশোরের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
হুমায়ূন কবীর কবু বলেন, আমি রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে মানুষের জন্য কাজ করি। সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমি তৃপ্ত হই। আমার প্রতিষ্ঠান কুইন্স হসপিটালে অসহায় মানুষের চিকিৎসা করাতে টাকার চিন্তা করি না। সমাজের একজন ছোটখাট সেবক ও দলের পরীক্ষিত একজন কর্মী হিসাবে আমাকেই মনোনয়ন দেওয়া উচিত। অবশ্যই দলের হাইকমান্ড সবকিছু বিবেচনায় রেখে আমাকেই মনোনয়ন দেবেন। নৌকার মাঝি হিসেবে সর্বদা মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, বিএনপি নেতা আনিছুর রহমান মুকুল ও রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে মুল্লূক চানের বক্তব্য প্রায় একই। তারা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কী নির্বাচন হবে সেটা সবার জানা। যদি নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং দল মনোনয়ন দেয় তাহলে নির্বাচন করতে আগ্রহী। মেয়র হিসাবে প্রথম কাজটি হবে নাগরিক সুবিধাগুলোর বাস্তবায়ন।
মাদ্রাসায় কন্যাশিশুকে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার
যশোর প্রতিনিধি
যশোরের বেনাপোলে ৫ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সালমান ফারসি (২৩) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার ইন্সপেক্টর রাসেল সরোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, শিশুটি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই শিশুর দাদি জানান, রবিবার (২৪ জানুয়ারি) শিশুটি বেনাপোলের দারুস সালাম কওমি মাদ্রাসায় যায়। বেলা ১২টার দিকে মাদ্রাসাশিক্ষক সালমান ফারসি অন্য শিশুদের ছুটি দিয়ে কেবল তাকে ক্লাসে রাখেন। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। এতে শিশুটির রক্তক্ষরণ হয়। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এরপর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আরিফ আহমেদ জানান, শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন তার অবস্থা ভাল। রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিস্তারিত জানা যাবে। ধর্ষণের ঘটনায় গত রাতেই বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে। ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত) রাসেল সরোয়ার বলেন, রাতেই মাদ্রাসাশিক্ষক সালমান ফারসিকে গ্রেফতার করা হয়। সালমান ফারসি বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ছোটআঁচড়া মাঠপাড়া এলাকার মাওলানা আবু হোসেনের ছেলে।
পার্ক থেকে তুলে নিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ১
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনায় কলেজিয়েট স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, মারধরসহ শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে সন্ত্রাসী চক্রের একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। র্যাব-৬ এর পরিচালক লে. কর্নেল রওশনুল ফিরোজ এ তথ্য জানিয়েছেন। র্যাব ৬ জানায়, শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কলেজিয়েট স্কুলের (এমসিএসকে) ওই দুই শিক্ষার্থী ঝিনাইদহের মহিষাকুন্ড এলাকায় পৌর পার্কে বেড়াতে যায়। সাড়ে ৫টার দিকে ৬/৭ জন সন্ত্রাসী যুবক তাদের পথরোধ করে জোরপূর্বক একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে জিম্মি করে রাখে। সেখানে তাদের মারধর করে। ছুরি দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিকাশের মাধ্যমে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। সন্ত্রাসীরা মেয়েটিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে। তাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা নিয়ে ছিনিয়ে নেয়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ওই রাতেই র্যাব-৬ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সকাল থেকে ঝিনাইদহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত রাকিবুল ইসলাম (২৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বাকিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ফকিরহাটে প্রাইভেটকার চাপায় চা দোকানী গুরুত্বর আহত
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রাইভেটকার চাপায় শফিয়া বেগম (৩০) নামের একজন হতদরিদ্র চা দোকানী গুরুত্বর আহত হয়ে খুমেকে মুত্যুর সাথে পঞ্জা লড়ছেন। রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের টাউন নওয়াপাড়া বাজারে এর্দুঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক প্রাইভেটকারটি আটক করেছেন। পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, টাউন নওয়াপাড়া বাজারের হতদরিদ্র মিঠুর স্ত্রী শফিয়া বেগম তার চা দোকানে বেচাকেনা করছিল। এসময় তিনি রাস্তার পার হয়ে দোকানের সামনে সাইড সোল্ডারে দাড়িয়ে এক ভ্যান চালকের সাথে কথা বলছিলেন। এমন সময় পিরোজপুর হতে খুলনাগামী একটি প্রাইভটকার (ঢাকা মেট্টো-গ-১১-৫৮৩০) তাঁকে সাইড সোল্ডারে দাড়িয়ে থাকা একটি ভ্যান সহ তাকে চাপা দিয়ে নিচেই ফেলে দেয়। এসময় স্থানীয় লোকজন এসে গাড়ীটি উচু করে শাফিয়া বেগম-কে উর্দ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি সেখানে মুত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। হতদরিদ্র চা দোকানীর ছোট ছোট ৪টি সন্তান রয়েছে। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ হয় যেতে পারে। কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রাইভেটকারটি আটক করেছেন।
তেরখাদা থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে
তেরখাদা প্রতিনিধিঃ
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় থানার মিলনায়নায়তনে অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মোস্তফা’র সভাপতিত্বে ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খুলনা উত্তর)মোঃ মামুন অর রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি নর্থ খুলনা কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ মনিরুল হক মন্টু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শারাফাত হোসেন মুক্তি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এফএম অহিদুজ্জামান ও সেক্রেটারী কেএম আলমগীর হোসেন, পুলিশিং কমিটির সভাপতি বদরুল আলম বাদশা, প্রেসক্লাবের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিফাত ও সেক্রেটারী বাছিতুল হাবিব প্রিন্স, সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম জুম্মান, সাংবাদিক মোল্যা সেলিম আহমেদ, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মহাসিন, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আল আমিন হোসেন ওপু, শারাফাত হোসেন, অরবিন্দ প্রসাদ সাহাসহ তেরখাদা থানা পুলিশ ও উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পের ইনচার্জগণ, গ্রামপুলিশ এবং স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরিষার চাষের বিকল্প নেই: কৃষিবীদ- ড. কামরুজ্জামান
শাহজাহান সিরাজ, কয়রা
মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. এমএম কামরুজ্জামান বলেন, ধানের উৎপাদন না কমিয়ে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করলে দেশের কৃষিখাত বিরাট উপকৃত হবে। আমরা বছরে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করি। এজন্য অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। সরিষা চাষ বাড়ালে দাম নিয়ে সমস্যা হবে না। কৃষকরাও লাভবান হবেন। দেশের টাকা দেশেই থাকবে। তেলের ঘাটতি পূরনের জন্য দেশে তেল ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। তাই ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষের বিকল্প নেই। সোমবার সকাল ১০ টায় খুলনা প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুনর রশিদের সভাপতিত্বে কয়রা উপজেলা বাগালী ইউনিয়নে উলা গ্রামে গোপালগঞ্জ জেলার বিএআরআই এর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় উপকুলীয় এলাকায় বিএআরআই উদ্বাবিত সরিষার বিভিন্ন জাতের উপযোগিতা যাচাই এর ্উপর মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুনর রশিদ বলেন, তেল জাতীয় ফসলের মধ্যে সরিষা অন্যতম। এক সময় দেশের শতভাগ মানুষ সরিষার তৈল দিয়েই বিভিন্ন খাবার রান্না করে খেত। সে সময় মানুষের শরিরে নানা প্রকার অজানা রোগও কম হত। কালের বিবর্তনে গত কয়েক বছর ধরে কৃষক পর্যায়ে সরিষার আবাদ হ্রাস পাওয়ায় ব্যবসায়িরা বিভিন্ন ধরনের তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে দেশের বাজার বাজার সয়লাভ করে দেশ থেকে প্রচুর পরিমানে অর্থের অপচয় করেছেন। এ কারনে দেশের কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। তাই বাংলাদেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য এবং সকল কৃষকের লাভজনক কৃষি উৎপাদনের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা বারি ১৪,১৫ ও ১৮। তিনি বলেন, বিশেষ করে বারি সরিষা ১৮ এর মধ্যে ইউরুসিক এসিড এর পরিমাণ একেবারেই কম থাকায় এটি মানব দেহের জন্য খুবই উৎকৃষ্ট মানের তেল। তাছাড়া অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডের পরিমান বেশী এবং খৈলে গ্লোকোসিনুলেটর পরিমাণও ক্ষণতিকর মাত্রার চেয়ে কম । এমএলটি সাইট কয়রার বৈজ্ঞানিক সহকারি জাহিদ হাসানের পরিচালনায় মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুস্তাফা কামাল শাহাদাৎ ও মুশফিকুর রহমান, কয়রা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম হারুন অর রশীদ ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সদরউদ্দীন আহমেদ, কৃষক ফজলুল সরদার, তপন মন্ডল ও বিচিত্রা রানী। এসময় মাঠ দিবসে ২ শতাধিক কৃষক কৃষানী উপস্থিত ছিলেন।
ইন্দুরকানীতে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা ৮ আসামী গ্রেফতার
ইন্দুরকানী(পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
ইন্দুরকানীতে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় ৮জনকে গ্রেফতার করেছে ইন্দরকানী থানা পুলিশ । সোমবার ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০৪টি জিআর এবং ০৪টি সিআর এর গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে ০৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করেন ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।
ইন্দুকানী থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা মুলে এক নারী সহ ৮জনকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি ।
৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আঃ রশিদের ইন্তেকাল: নেতৃবৃন্দের শোক
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
চ্যানেল ফোর টিভি’র ব্যবস্থাপক মাসুদ সরকারের পিতা ফুলবাড়ীগেট ঢাকা বই বিতাণের মালিক, ৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুর রশিদ সরকার গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২মেয়ে সহ অসংখ্য গুনোগ্রাহী রেখেগেছেন। মাগরিব বাদ ঢাকার টংগী সাতিশ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আঃ রশিদ সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, ৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী খলিফা, সাধারণ সম্পাদক মোড়ল হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা বাবলু, মিজানুর রহমান রুপম,খায়রুল ইসলাম, আলহাজ¦ রবিউল ইসলাম , শেখ ইমরান হোসেন, গোলাম রসুল, হানিফ রহমান, কাঞ্চন মহাজন, মাসুম খন্দকার, মাষ্টার আকবার হোসেন, সাবেক মেম্বর শহিদুল ইসলাম, কাজী শহিদুল ইসলাম পিটো, কামরুল ইসলাম, কাজী কাদের, রেজাউল ইসলাম, শেখ আনছার, আঃ সালাম মোড়লসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আঃ রশিদ সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন খানজাহান আলী থানা সাংবাদিক ইউনিটি’র সভাপতি শেখ বদর উদ্দিন সহ ইউনিটি’র সকল সদস্যবৃন্দ। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় ফুলবাড়ীগেট বাজার মসজিদে বাদ আছর দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক মুক্তি মাহমুদের পিতা ফজলুল হক গুরুতর অসুস্থ: দোয়া কামনা
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
দৈনিক আমার একুশের সহ-সম্পাদক ও খানজাহান আলী থানা সাংবাদিক ইউনিটি’র সহ-সাধারণ সম্পাদক মুক্তি মাহমুদের পিতা অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আলহাজ¦ এস এম ফজলুল হক শিকদার বার্ধক্যজনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে গতকাল সোমবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন। সাংবাদিক মুক্তি মাহমুদের পরিবারের পক্ষ থেকে এস এম ফজলুল হকের সুস্থতা কামনায় দোয়া প্রার্থনা করেছে। এদিকে খানজাহান আলী থানা সাংবাদিক মুক্তি মাহমুদের পিতার সুস্থতা কামনায় বিবৃতি জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিটি’র সভাপতি শেখ বদর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ সরকার, মোঃ শফিউদ্দিন শফি, রবিউল আলম, সাইফুল্লাহ তারেক, গাজী মাকুল উদ্দীন, শংকর কুমার বিষ্ণু, মোঃ হেলাল ফকির, মিহির রঞ্জন বিশ^াস, সোহেল হোসেনসহ ইউনিটি’র সকল সদস্যবৃন্দ।
আশাশুনি পুলিশের অভিযানে ২ অপহরণকারী আটক
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট থেকে ২ অপহরণকারীকে আটক করেছে। আটককৃতদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। দ্বিগরাজ গ্রামের মোশাররফ হালদারের পুত্র ইব্রাহিম ও কপিলমুনির (পিতা অজ্ঞাত) মালেক আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলায় স্কুল ভবন নির্মান কাজ করতে আসে। তাদের সাথে শ্রীউলা গ্রামের খোকন সরদারের একাধিক স্বামী পরিত্যাক্তা কন্যা আছফিয়ার পরিচয় হয়। তারা আছফিয়াকে বড় অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে স্থানীয় ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া একটি শিশু কন্যাকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। ১৫ জানুয়ারি আছফিয়া তার মাকে আনার কথা বলে মেয়েটিকে ফুসলিয়ে নিয়ে মটর সাইকেলে পাইকগাছায় নিয়ে যায়। সেখানে অপেক্ষমান ইব্রাহিম ও মালেক তাদেরকে পেয়ে বাসে করে বাগেরহাটে নিয়ে ইব্রাহিমের বোন ময়না ও বোন জামাই রণির বাড়িদে উঠায়। এরপর মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এ্যাফিডেভিটে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এব্যাপারে থানায় জিডি করার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশাশুনি থানা পুলিশ ২২ জানুয়ারি গভীর রাতে বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে রনির বাড়ি থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার এবং অহরণকারী ইব্রাহিম ও আছফিয়াকে গ্রেফতার করেন। মালেক পলাতক রয়েছে। এব্যাপারে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের ও গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আশাশুনি ধান্যহাটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি সদরের ধান্যহাটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ক্লিনিক পরিদর্শন করেন। ধান্যহাটি কমিউনিটি ক্লিনিক ধান্যহাটি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামেমর রোগী দেখা ও সরকারি ভাবে প্রাপ্ত ঔষধ পত্র প্রদান করে থাকে। ক্লিনিকের কার্যক্রম, রোগি দেখা, ব্যবস্থাপত্র ও ঔষধ প্রদানসহ সার্বিক অবস্থা দেখতে ক্লিনিকটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন, আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদেষ্ণা সরকার। এসময় স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাহবুর রহমার, ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি বজলুর রহমান বাবু, স্বাস্থ্য সহকারী চন্দ্র শেখর উপস্থিত ছিলেন। এসময় ক্লিনিকে আগত রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য পরামর্শ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করেন।
শ্রীউলায় ইউপি চেয়ারম্যানে কর্মী সমাবেশ
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের উদ্যোগে এক কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে চেয়ারম্যানের মৎস্য খামার চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আলহাজ্ব অজেদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল। মুজাহিদুর রহমান মিন্টুর সঞ্চালনায় সমাবেশে ইউপি সদস্য ইয়াছিন আলি, জি এম জালাল উদ্দীন, সাবেক ইউপি সদস্য কামরুল হুদা মিলন, উপজেলা ছাএলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়হান সাদ, ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বিআরডিপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সঞ্চয় মিশ্র, আ’লীগ নেতা আবু সাঈদ, ঠিকাদার আঃ সালাম, পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি দিপক মন্ডল, সম্পাদক সত্যজিৎ মন্ডল, ঢালিরচক দূর্গা মন্দির সভাপতি পিযুস কান্তি ঢালি, নাকতাড়া দূর্গা মন্দির সাঃ সম্পাদক দিপংকর মিশ্র, বিল বকচর কালি মন্দিরের সভাপতি সুধীর কৃষ্ণ মন্ডল, ইউনিয়ন ছাএলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, নাকতাড়া সার্বজনীন কালি মন্দিরে সম্পাদক তপন মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন।
আশাশুনিতে গ্রাম আদালত বিষয়ক সভা
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনিতে গ্রাম আদালত বিষয়ক মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরবৃন্দের অংশ গ্রহনে সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে মাসিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন ইউএনডিপি’র জেলা ফ্যাসিলিটেটর রাজু আহমেদ।
আনসার ভি ডি পি ও অগ্রযাত্রা যুব সংস্থার কম্বল বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি:
আনসার ভি ডি পি ও অগ্রযাত্রা যুব সংস্থা, খুলনার উদ্যোগে অসহায়, দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। সোমবার বিকাল ৪ টায় নগরীর প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কনফারেন্স রুমে খুলনা রেঞ্জ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক মোল্লা আমজাদ হোসেন প্রধান অতিথি থেকে প্রায় দেড় শতাধিক শীতার্তের মাঝে এ কম্বর বিতরণ করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বিতরণপূর্বে প্রধান অতিথি আনসার ভি ডি পি ও অগ্রযাত্রা যুব সংস্থার এ মহীত উদ্যোগকে স্বাধুবাদ জানিয়ে বলেন, কম্বল বিতরণ সময় উপযোগি একটি মহৎ কাজ। ভবিষ্যতে এধরনের কর্মকান্ড যেন আরও ব্যাপক পরিসরে করতে পারে সেই আশাবাদও তিনি ব্যাক্ত করেন।
যশোরে বাঘারপাড়া থেকে শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যশোর অফিস
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বারভাগ গ্রামে বারো বছর বয়সি জুথি নামে এক শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার ২৪ জানুয়ারী রাতের কোন এক সময় বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানের ভিতর ডুমুর গাছে গলায় ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যা করে। নিহত শিশু উপজেলার বারভাগ গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। পুলিশ ও স্থানিয়রা জানায়, শিশু জুথি দীর্ঘদিন থেকে পেটে ও মাথা ব্যথা, ব্রেন সমস্যায় ভুগছিলো এবং ডাক্তারের চিকিৎসাধীন ছিল। একারনে রোববার রাতের কোন এক সময় একই গ্রামের আজিজুল শিকদারের বাঁশ বাগানের ভিতর ডুমুর গাছের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে। স্থানিয় লোকজন ২৫ জানুয়ারী সোমবার সকালে ঝুলন্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয় করতে ময়না তদন্তর জন্য,যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বিভিন্ন আয়োজনে যবিপ্রবি দিবস পালিত
যশোর অফিস
নবীন বিশ^বিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা ও গবেষণায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অর্জন গর্ব করার মতো এবং ঈর্ষণীয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষক-গবেষকদের উদ্ভাবিত জ্ঞান জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
সোমবার ২৫ জানুয়ারী যবিপ্রবি দিবস-২০২১ উপলক্ষে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘রিসার্চ কন্ট্রিবিউশন অব জাস্ট ইন দ্য ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি বিশ^বিদ্যালয় প্রধানত: তিনটি লক্ষ্য স্থির করে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমটি হলো- যে জ্ঞানটি বর্তমানে আছে, সেটি অর্জন করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। দ্বিতীয়টি হলো- নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে শিক্ষার্থী এবং বিশে^র মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তৃতীয়টি হলো- সামাজিক দায়বদ্ধতা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় এ বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে। সেমিনারে যবিপ্রবির শিক্ষক-গবেষক ড. মোঃ জাবেদ হোসেন খান, ড. ইমরান খান ও ড. আমিনুল ইসলাম তাঁদের গবেষণার ক্ষেত্র এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. মোঃ তানভীর হাসান। সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারহানা ইয়াসমিন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ^বিদ্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ^বিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। এরপর বিশ^বিদ্যালয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কাটা হয় কেক। বিশ^বিদ্যালয়ের ১৪তম দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ভবনের সামনে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের ১৪টি চারা রোপণ করা হয়। বিশ^জুড়ে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের বিশ^বিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়।
বিশ^বিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মজিদ, ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ^াস, অধ্যাপক ড মোঃ জিয়াউল আমিন, ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, ড. মো. মেহেদী হাসান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মোঃ নাজমুল হাসান, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সহকারী প্রক্টর ড. মো. তানভীর ইসলাম, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রউফ, যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা আফিকুর রহমান অয়ন, সোহেল রানা, নাজমুস সাকিব, শিলা আক্তার ও কামরুল হাসান শিহাব, সাংবাদিক সমিতির নেতা মোসাব্বির হোসাইন, নাজমুল হোসাইন প্রমুখ। বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানগণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে এ বিশ^বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।
যশোরের মেধাবী এক শিক্ষার্থীর জীবন অন্ধকারে যেতে বসেছে
যশোর অফিস
তদবীর কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মেধাবী এক শিশু শিক্ষার্থীর তকদীরে। অর্থের অভাবে থমকে যাচ্ছে লেখাপড়া। নষ্ট হতে চলেছে আগামী দিনের একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ। আদালত থেকে শুরু করে সবখানেই চলছে তদবীরকারকের ব্যর্থ অপচেষ্টা। মাঝখানে সময়ের ব্যবধানে প্রতিকূল পরিবেশে জীবন অতিবাহিত করছে মেধাবী এই শিশু শিক্ষার্থী।
সালভিয়া আফরোজ জয়ী। আলমগীর হোসেন লিটন ও লায়লা পারভীনের একমাত্র কন্যা সন্তান। পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় একমাত্র সঙ্গী মায়ের সঙ্গে বসবাস তার। বাবা-মায়ের পরিচয় ছাড়াও শিশু জয়ীর নিজস্ব একটি পরিচিতি রয়েছে। সে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বৃত্তিপ্রাপ্ত একজন মেধাবী ছাত্রী। বর্তমানে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। ২০১৮ সালে চ্যানেল আই ‘গানের রাজা’ রিয়্যালীটি শোতে শীর্ষ ছয়-এ অবস্থান করে দেশবাসীর কাছে একজন ক্ষুদে তারকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ২০২০ সালে ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রতিযোগিতা ‘খ’ গ্রুপ সংগীত বিভাগে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম, জেলা পর্যায়ে প্রথম ও বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এবং জাতীয় পর্যায়ের জন্য অপেক্ষামান রয়েছে। এছাড়া আরো অনেক অর্জন রয়েছে এই ক্ষুদে শিল্পীর জীবনে। জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেখা মেলে এই ক্ষুদে শিল্পীর। আলোকিত এই শিশুটির জীবনে বর্তমানে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকারের ছায়া।
শিশুটির পিতা আলমগীর হোসেন লিটন দীর্ঘ তেরো বছর যাবৎ বিদেশ ছিলেন। কিন্তু স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি কোনো প্রকার দায়-দায়িত্ব পালন করতেন না। শিশুটির মাতা লায়লা পারভীন টিউশনি করে অনেক কষ্টে তিল তিল করে বড় করে তোলেন মেধাবী কন্যা সন্তানকে। ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন পিতা আলমগীর। দেশে ফিরে পূর্বের ন্যায় নানাবিধ অপকর্ম শুরু করে আলমগীর। এতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী লায়লা পারভীনের উপর যৌতুক দাবী, কন্যা সন্তানের লেখাপড়া, গান বাজনা বন্ধ, শারীরিক, মানসিক, আর্থিক নানাবিধ নির্যাতন শুরু করে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালতে ন্যায় বিচারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আদ্যাক্ষর ‘হ’ নামের এক তদবীরকারক। লায়লা পারভীনের মামলাগুলো মিস্গাইড করতে থাকে। এতে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হয় লায়লা পারভীনকে। ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক জজ আদালতে লায়লা পারভীন একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৩৬/১৮। ওই মামলাটির রায়-ডিক্রি প্রদান করা হয় ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট। রায়ে কন্যা সন্তান জয়ীর পক্ষে ৭ হাজার টাকা হারে মাসিক খোরপোস নির্ধারন করা হয়। পিতা আলমগীর উক্ত রায়-ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল করেন। যার নম্বর ৩২/২০। মামলার বাদী লায়লা পারভীনের অভিযোগ বর্তমানে তদবীরকারক আপীল মামলায় বাদীর সন্তানের খোরপোস কমানোর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তদবীরকারকের উস্কানীতে আলমগীর স্ত্রী লায়লা পারভীনকে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর তারিখে তালাক প্রদান করেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে কন্যা সন্তান জয়ী। অন্যদিকে লায়লা পারভীনের দায়ের করা সি আর ৮৯৯/১৭ নম্বর অপর একটি সুরক্ষা আইনের মামলায় ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর তারিখে আদালত একটি আদেশ প্রদান করেন। যার স্মারক নম্বর ১৩৭/২০। আদেশে উল্লেখ করা হয় পিতা আলমগীরের দায়ের করা আপীল মামলার রায়-ডিক্রি না হওয়া পর্যন্ত চলতি মাস সহ মাসিক ৩হাজার টাকা হারে বাদীর মারফত কন্যা সন্তানকে প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। আদেশের অনুলিপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নিকট ১ কপি প্রেরণ করা হয়। উক্ত কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিবাদী আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনি টাকাটা কিভাবে দেবেন। বিবাদী আলমগীর স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আপীল মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো টাকা দেবেন না। আলমগীরের জবানবন্দি অফিসিয়াল প্যাডে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং তাতে আলমগীরের স্বাক্ষর নেয়া হয়। বাদী লায়লা পারভীন জবানবন্দির একটি কপি চাইলে বলা হয় এটি আজ-কালকের মধ্যে কোর্টে পাঠিয়ে দেব। কোর্ট থেকে নিয়ে নেবেন। এ ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের স্টাফ রহিমা খাতুনের উপর বিষয়টির দায়িত্ব থাকায় লায়লা পারভীন কথা বলেন তার সাথে। জানতে পারেন প্রতিবেদন কোর্টে পাঠানো হয় নাই। বাদীর অভিযোগ প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোর্টে পাঠানো হয় নাই। তদবীরের কারণে অফিসে চাপা পড়ে আছে এই প্রতিবেদন। এ বিষয়টি নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সকিনা খাতুনের সঙ্গে দুই দফায় কথা হয় সাংবাদিকদের সাথে। প্রথম দফায় তিনি বলেন, আমি এখন খুলনায় ক্লাসে আছি। বেলা ২.০০ টার পর কথা বলব। দ্বিতীয় দফায় বলেন, আমি ট্রেনিং-এ আছি। যিনি বিষয়টির দায়িত্বে আছেন তিনিও ছুটিতে আছেন। এছাড়া অফিসের অন্য ২ জনকে আমি বলে দেবো রিপোর্টটি পাঠানোর জন্য। তা না হলে আমি নিজে এসে বিষয়টি দেখব।
যশোরে ফেনসিডিল উদ্ধার গ্রেফতার-১
যশোর অফিস
যশোরের শার্শা সীমান্তে মালিকবিহীন ১ হাজার ১শ’ ১৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা। এ সময় শাহীন নামে এক পাচারকারীকে আটক করা হয়। সে যশোর সীমান্তবর্তী রঘুনাথপুর গ্রামের ইয়ানূর রহমানের ছেলে। সোমবার ২৫ জানুয়ারী ভোরে শার্শার শিকারপুর সীমান্তের নারকেলবাড়িয়া গ্রামের একটি ভেড়িবাধ এলাকা থেকে ১হাজার ১৫ বোতল ফেনসিডিল মালিকবিহীন এবং রঘুনাথপুর সীমান্ত থেকে ১শ’ ৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহীন হোসেন (৩৫) নামে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল এনে শিকারপুর সীমান্তের নারকেল বাড়িয়া গ্রামের একটি ভেড়িবাধে অবস্থান করছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে। পরে বিজিবির হাবিলদার সাহিবুর রহমান সঙ্গীয় একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ১৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এর আগে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা ভারত সীমান্তে পালিয়ে যায়। অপর দিকে রঘুনাথপুর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা অভিযান অভিযান চালিয়ে ১৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহীন নামে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার ফেনসিডিল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল শার্শা থানায় জমা করা হয়েছে।
কৃষকনেতা মাষ্টার ইমান আলীর স্ত্রীর মোশারেফা’র মৃত্যুতে শোক
যশোর অফিস
বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রয়াত মাস্টার ইমান আলী’র সহধর্মিনী মোশারেফা খাতুন শেফালি (৮৫) সোমবার ২৫ জানুয়ারী সকালে বার্ধক্যজনিতক কারণে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৪ পুত্র সন্তান, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহি রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৩ ডিসেম্বর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। সোমবার ২৫ জানুয়ারী এশাবাদ জানাজা শেষে ঘোপ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত করে বিবৃতি দিয়েছেন মোহন কারাতে একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক মাহাবুবুর রহমান মোহনসহ একাডেমির সদস্যবৃন্দ। অনুরূপ বিবৃতিতে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট যশোর জেলার সভাপতি আব্দুল হক ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণা সরকার, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির জেলা সভাপতি ডাঃ আব্দুল খালেক লস্কর ও যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হক লিকু, জাতীয় ছাত্রদলের জেলা আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও যুগ্ম-আহ্বায়ক রাসেল রানা, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদের জেলা সভাপতি শাহরিয়ার আমির ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বাদল, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সভাপতি আমির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তাইজেল ইসলাম ও আলমসাধু, নছিমন, করিমন শ্রমিক সংঘের জেলা সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ আহাদ আলী লস্কর এবং গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির আহ্বায়ক ফরিদা পারভীনকে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক পারভীন সুলতানা।
যশোরে স্বজন সমাবেশের স্মরণসভায় বক্তারা: সাংবাদিক কিরণ সাহা আমৃত্যু সত্যের পথে অবিচল ছিলেন
যশোর অফিস
সাংবাদিক কিরণ সাহা বস্তুনিষ্ঠ, সাহসী সাংবাদিকতার পাশাপাশি দক্ষ সংগঠক হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। আমৃত্যু সত্যের পথে অবিচল ছিলেন। তার অকাল প্রয়াণে যশোরে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তার সেই শূণ্যতা আজও পূরণ হয়নি। তার নীতি ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে আছে। কর্মের মধ্যেই তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন। সোমবার দৈনিক যুগান্তর যশোর ব্যুরোর সাবেক প্রধান প্রথিতযশা সাংবাদিক কিরণ সাহা কচি’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিকেলে দৈনিক যুগান্তর যশোর ব্যুরো অফিসে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন স্বজন সমাবেশ যশোর শাখার সভাপতি জিএম জুলফিকার আব্দুল্লাহ। স্বজন সমাবেশ যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে) সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক এইচআর তুহিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) জেলা শাখার সহ-সভাপতি আহসান উল্লাহ ময়না, জেইউজে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তবিবর রহমান, প্রয়াত কিরণ সাহার জামাই (মেয়ের স্বামী) শুভংকর বিশ^াস, স্বজন সমাবেশ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রিপন, যুগান্তর যশোর ব্যুরো ফটোসাংবাদিক হাসফিকুর রহমান পরাগ, অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকা পোস্ট ডটকমের যশোর প্রতিনিধি জাহিদ হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুগান্তর যশোর ব্যুরো প্রধান ইন্দ্রজিৎ রায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদেহী আত্মর শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্মৃতিচারণ শেষে কিরণ সাহার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। অপরদিকে, শহরের পুরাতন কসবা আজিজ সিটির নিজ বাসভবনে তার আত্মার শান্তি কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তরের যশোর ব্যুরো অফিসে কর্মরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ওইদিন রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কিরণ সাহা যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও অবিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সভাপতি, যশোর প্রেসক্লাবের কয়েকবার সহসভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অবিভক্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, চাঁদেরহাট, পুনশ্চ যশোরসহ আরো কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।