তালায় সড়কে আশার আলো দেখছেন গ্রাম বাসী

35
Spread the love

ইলিয়াস হোসেন, তালা

তালার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হচ্ছে নতুন সড়ক। আশার আলো দেখছে গ্রাম বাসী। উপজেলার খেশরা ইউনিয়নে নির্মান করা হচ্ছে এ সড়কটি। বর্তমানে সড়টির ডব্লিউ.বি.এম এর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সড়কটির নাম করণ করা হয়েছে খেশরা ইউপি অফিস টু শালিখা বাজার ভায়া দক্ষিণ শাহজাতপুর বাজার এবং কেএসডি গার্স স্কুল।

সূত্রে জানাযায়, অনলাইন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালার স্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বসু ট্রেডার্স এর কর্তৃপক্ষ রাস্তাটির ঠিকাদার নির্বচিত হন। কার্যাদেশ পেয়ে সড়টির নির্মান কাজ শুরু করেন তারা। বর্তমান নির্মিতব্য সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটির প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে কার্পেটিং এর কাজ। অতিদ্রুত শেষ হবে বলে আশা করছে স্থানীয়রা।

দক্ষীণ শাহজাতপুর গ্রামের শাহবুদ্দিন মোড়ল জানান, জন্মলগ্ন থেকে এ রাস্তাটির বেহাল দাশায় আমাদের জনজীবন বেহাল ছিলো। বর্তমান সড়কটি নির্মান হওয়ায় আমদের মনে আশার সঞ্চর হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের রাস্তাটির কারণে কেউ অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না। তাছাড়া বর্তমান এই প্রত্যান্ত রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন করা খুবই কষ্টকর। আমার মনে হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের কর্তৃপক্ষের নিজ একলার কাজ ভেবেই এতো দ্রুত সময়ের মধ্যে সফল ভাবে কাজটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এখানে মালামাল বহন করা অত্যান্ত কষ্ট সাধ্য ব্যাপার।

খেশরা গ্রামের কামাল মোড়ল জানান, এখানে রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে এটায় আমদের বড় পাওয়া। এখনে জীবনে পিচের রাস্তা হবে এটা আমরা কল্পনাও করিনি।

এব্যাপারে মেসার্স বসু ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারী কল্যান বসু এ প্রতিবেদক কে জানান, তালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলো দুরে অজোপাড়া গায়ে অবস্থিত সড়টির নির্মান কাজের প্রায় ৭৫শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছি। বাকি কাজ অতিদ্রুত শেষ  করে দিবো। এখানে কাজ করতে যেয়ে হাজারো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। সকল চড়াই উতরায় পেরিয়ে আজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। তবুও কিছু মানুষ আমার ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে লেগে আছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান রাজীব হোসেন জানান, রাস্তাটি নির্মানে স্থানীয় হাজারও মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। কিছু দিন আগে এখানকার কিছু ইট নিয়ে কথা উঠলেও আমি সরেজমিনে যেয়ে দেখি ইটের রং একটু খারপ থাকলেও ইটের স্ট্রেন্থ বা পোড় ভালো ছিলো। তারপরও স্থানীয় লোকজনের আপত্তির কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সে ইঠগুলো অপসারণ করে নতুন ইট এনে কাজ বাস্তবায়ন করছেন।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার জানান, গ্রামরে ভিতর সড়কাটি নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সড়টির নির্মান কাজ শেষ হলে অত্র এলাকার তথা খেশরা ইউনিয়নের হাজারো মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। তাছাড়া অত্র এলাকার মানুষ তাদের কৃষিজাত পণ্য অতি সহজে বাজারজাত করতে পারবে।