মোঃ রেজাউর রহমান তনু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় হঠাৎ করেই শীত জনিত কারণে শিশুদের অসুখের বেড়েছে। গত কয়েকদিনে কুষ্টিয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের। তবে আক্রান্তের মধ্যে ০-৫ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যাই বেশী এবং তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (এআরআই), জ্বর, ঠান্ডা কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বলে ওয়ার্ড সুত্রে জানা গেছে । গত কয়েকদিনে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বর্হিরবিভাগসহ শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় হাজার খানেক শিশু রোগী । তবে ০-৬ মাসের কম বয়সী শিশুরা এআরআই রোগে অধিক সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
এদিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের মাত্র ২০ টি বেড থাকলেও সেখানে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২১ জন শিশু রোগী ভর্তিসহ বারান্দা ও মেঝেতে যত্র তত্র বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ জন শিশু রোগী। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু ও স্বজনদের ভীড়ে শিশু ওয়ার্ডটি যেন মেছোহাটে পরিণত হয়েছে। কর্তব্যর এক নার্স জানান,এখন মাত্র ২০টি শয্যার স্থলে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৮০ জন রোগী। তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে সিনিয়র নার্সসহ বেশ কয়েক ছাত্রী নার্স রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে । প্রতিদিন যত রোগী চিকিৎসা পেয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরছে তার চেয়ে দিগুন আবার ভর্তি হচ্ছে বলে জানান ওই নার্স।এছাড়া ও ওয়ার্ডের জায়গা না পেয়ে মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানাগেল, চিকিৎসাধীন রোগীদের বেশীর ভাগই জ্বর, কাশি, ঠান্ডা জ্বরে ভূগছে শিশুরা।
২০১২ সালে ৩ মার্চ ৫শ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই মেডিকেল কলেজ ৩ বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ৯ বছরে কাজ হয়েছে অর্ধেক। যা কুষ্টিয়াবাসীর জন্য হতাশার এবং মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার স্বপ্ন একন দুঃস্বপ্ন হতে চলেছে। ঠিক সময়ে কাজ শেষ হলে ২০১৫ সালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তিসহ চিকিৎসা সেবা পেতো কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলার রোগীরা।