টিকা সংরক্ষণে যে পরিকল্পনা সরকারের

6
Spread the love

ঢাকা অফিস

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে আসার পর সেটি কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে, সেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এসব টিকা কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি), মহাখালীতে অবস্থিত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয় এবং তেজগাঁওয়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির নিজস্ব সংরক্ষণাগারে রাখা হবে।’

উল্লেখ্য, বুধ বা বৃহস্পতিবার ভারতের উপহার দেওয়া সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড দেশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আসেন। ভারত থেকে আসা টিকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

অধ্যাপক খুরশীদ আলম জানান, সরকারের কেনা তিন কোটি ডোজ টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর সব জেলায় একইসঙ্গে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছু টিকা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এক সপ্তাহ পর সব জেলায় শুরু করা হবে। এটাই আমাদের পরিকল্পনা।’

অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ‘টিকা প্রয়োগের বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই সব চূড়ান্ত হবে।’

ভারতের উপহার ২০ লাখ ডোজ টিকা কখন কাকে দেওয়া হবে জানতে চাইলে খুরশীদ আলম বলেন, ‘এখনও এ বিষয়ে নির্দেশনা পাইনি। মন্ত্রণালয় আমাদের যেভাবে জানাবে, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে গত ১১ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ‘কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনা’ সম্পর্কে টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক জানান, এসব টিকা সংরক্ষণে ‘ওয়াক ইন কুল’ (ছোট ঘরের মধ্যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ) আছে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ২৯টিতে। বাকি ১৮ জেলায় ওয়াক ইন কুল তৈরি করা হচ্ছে। অনেক বেশি টিকা আসার আগে এসব জেলায় ওয়াক ইন কুল তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে এসব জেলায় আইএলআর (হিমায়িত বাক্সের মধ্যে সংরক্ষণ) রয়েছে। এছাড়া দেশের ৪৮৩টি ইপিআই সেন্টারে এই আইএলআর রয়েছে, সেখানেও টিকা রাখা হবে বলে জানান তিনি।

ডা. শামসুল হক জানান, ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণপূর্বক সেগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য দেশের সব জেলা ও সিটি করপোরেশনের ইপিআই স্টোরগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে জাতীয় পর্যায়ে কোল্ডচেইন ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিএডিসি ও অন্যান্য জায়গা থেকে কোল্ডরুম ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছিল, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে যে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনা হবে, সেটি দেশে আসছে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে। আর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে। সেজন্য ২৬ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হবে।