প্রধান নির্বাচন কমিশনার অন্ধ, তবে শেখ হাসিনাকে দেখতে পান: মঞ্জু

3
Spread the love

খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির মানববন্ধন

খবর বিজ্ঞপ্তি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা অন্ধ তবে শেখ হাসিনাকে দেখতে পান বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেন, মি. হুদা অন্ধ না হলে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, কারচুপি, জালিয়াতি ও দিনের ভোট রাতে হওয়া উনি দেখতে পেতেন। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে সোমবার (১১জানুয়ারি) কে ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঞ্জু বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মাহবুব সাহেব বাদে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার ও কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছেন, তারা আজকে এদেশের সবচেয়ে ঘৃণিত ধিকৃত প্রতিষ্ঠান।

এদেশে বুদ্ধিজীবী ও বিদেশী সংস্থা গুলো স্পষ্টভাবে বলছেন এই নির্বাচন কমিশনকে সরাতে না পারলে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জু আরও বলেন, বিনাভোটে নির্বাচিত সরকার সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে হরহামেশা ও খুন ধর্ষন নিত্যদিনে ঘটনা। এক কথায় ১৯৭৫ সালে তারা যেটা করতে পারেনি আজকে তারা গায়ের জোরে সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা করছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্যই তারা রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

জাতীয় নির্বাচন গেছে এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো একই কায়দায় তারা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা। গণতন্ত্রের পক্ষে যে সব মানুষ কথা বলেছেন, তাদের অনেককেই গুম হতে হয়েছে।

অবিলম্বে এই অযোগ্য অথর্ব নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবী করেছেন। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, এড. শফিকুল আলম মনা, নগর সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মুশাররফ হোসেন, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, স ম আব্দুর রহমান, আবু হোসেন বাবু, সিরাজুল হক নান্নু, কামরুজ্জামান টুকু, মুজিবুর রহমান, নাজমুল হুদা সাগর, খায়রুল ইসলাম জনি, আবু সাঈদ শেখ, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মোল্লা কবির হোসেন, হেমায়েত হোসেনসহ আনেকে। আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওহিদুজ্জামান রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মাও. আব্দুল গফ্ফার।