দক্ষিণাঞ্চলের উৎপাদিত সবজির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

2
Spread the love

কৃষকদের কাঁচাপণ্য বহনে চালু হচ্ছে ল্যাগেজ ভ্যানের স্টপিজ

সাবজাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি ॥

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চালের উৎপাদিত সবজি ও মাছ সারাদেশে চাহিদা মেটাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। যা দীর্ঘদিন ধরে পাইকাররা কিনে সড়ক পথে বড় বড় গাড়ি ভরে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। সড়ক পথে মালামাল বহন করাটা অনেকটা ব্যয়বহুল কাজ। যে কারনে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। কিন্ত কৃষকদের বিক্রয়কৃত কম দামের সবজি চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। মাঝখানে সুযোগ ভোগ করছে অদৃশ্য মধ্যসত্বভোগীরা। শুধু গলাকাটা পড়ছে অসহায় কৃষক আর ভোক্তাদের। এ অবস্থা বয়ে আসছে দীর্ঘদিন। এ সিন্ডিকেট থেকে কৃষক ও ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্থানীয় সাংসদ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য করনীয় বিষয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলার বারোবাজার রেলস্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল জোনের মহাব্যবস্থাপক মহির কান্তি গুহের সভাপতিত্বে স্থানীয় কৃষক, পাইকার,জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মি সাথে নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামছুজ্জামান, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনের ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম,কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোঃ জাহাঙ্গীর সিদ্দিক, ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীসহ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৃষক জাহিদুল ইসলাম পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান, মিডিয়াকর্মি জামির হোসেন, টিপু সুলতান, সাবজাল হোসেন প্রমূখ। এছাড়াও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাংসদ আনোয়রুল আজিম আনার তার বক্তৃতায় বলেন, এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে সবজি মৌসুমী ফল, ফুল ও মাছ, মাংস ও দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশের মোট চাহিদার বড় একটি অংশ যশোর ও ঝিনাইদহ বিশেষ করে বারোবাজার এলাকা থেকে উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্ত শুধু পরিবহন খরচ ছাড়াও অন্যন্য কিছু কারনে খেটে খাওয়া এ সকল মানুষের কষ্টে অর্জিত সবজির ন্যায্যমূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হন। কৃষকদের উৎপাদিত মালামাল সহজ কম খরচে বহনের জন্য রেলওয়ের কর্মকর্তাদের বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামছুজ্জামান বলেন, উৎপাদন আর উন্নয়ন কৃষকদের রক্তে মিশে আছে। ফলে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যয্য মূল্য নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ। সরকার বাংলাদেশ রেলওয়েকে অনেক অত্যাধুনিক করেছে।

তিনি বলেন, অতি শীঘ্রই খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত ডবল লাইনের রেল পথের কাজ শুরু হবে। এ অঞ্চলের ডাবল লাইন চালু হলে কৃষি ও ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটবে। তখন রেল যোগাযোগ হবে এ এলাকার অন্যতম মাধ্যম। কিন্ত কৃষকদের কথা চিন্তা করে খুলনা থেকে ঢাকার পথে কয়েকটি স্টেশনে এই কাঁচাপণ্যবাহি ল্যাগেজ ভ্যানের স্টপিজ করা অচিরেই করা হবে। যেখানে টেন্ডারের মাধ্যমে এজেন্ট নিয়োগ করে কাঁচামাল বহনের সুযোগ করা হবে। যা কৃষকদের মালামাল, যাবতীয় সবজি সংরক্ষনযোগ্য হবে এবং বহন খরচও কম হবে। এতে করে এ অঞ্চলের কৃষকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরন হতে যাচ্ছে।