বিষটোপ-ফাঁদে অতিথি পাখি শিকার

38
Spread the love

মাগুর প্রতিনিধি

প্রতি বছরের মতো এ বছরও মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় এসেছে অতিথি পাখি। মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। অথচ বিষটোপ-ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার করায় হুমকির মুখে পড়েছে এসব স্থানের নৈসর্গিক সৌন্দর্য।

জানা যায়, পৃথিবীতে প্রায় পাঁচ হাজার প্রজাতির পাখির মধ্যে অনেক প্রজাতির পাখি নির্দিষ্ট সময়ে শীতপ্রধান দেশ থেকে ছুটে আসে এ দেশে। একটু উষ্ণতা, আশ্রয় ও খাবারের জন্য পাড়ি দেয় হাজার মাইল পথ।

এলাকা ঘুরে জানা যায় একশ্রেণির পাখি শিকারি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব পাখি শিকার করছেন।

নহাটা ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া বলেন, আমাদের দেশে যেসব অতিথি পাখি আসে সেগুলো আমাদের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অথচ কিছু অসাধু চক্র বিষটোপ, ফাঁদ পেতে এদের হত্যা করে। আমাদের এ উপজেলায়ও অতিথি পাখি শিকার হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।

হোফ অব মহম্মদপুরের ফাউন্ডার রেজোয়ান আহমেদ রোজেল বলেন, পাখিগুলোকে অচেনা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাদের বন্ধুসুলভ আচরণ করা দরকার। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। অতিথি পাখি শিকার বন্ধে আমরাও সচেতনতামূলক বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।

ঘোপ বাওড়পারের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তি জানান, শীতের শুরুতেই অতিথি পাখির দেখা পাওয়া যায়। অতিথি পাখির ঝাঁক বেঁধে বিচিত্র স্বরে ডাকতে ডাকতে উড়ে চলা আমাদের মুগ্ধ করে তোলে। আমি এ সময় পাখিমেলার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, এসব পাখি শুধু প্রকৃতির শোভাবর্ধনই করে না, ভারসাম্যও রক্ষা করে। পাখি শিকারিদের ধরিয়ে দিলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।