সরকারের মন্ত্রীরা অধিকাংশ ব্যবসায়ী এবং আলোচিত বাজার সিন্ডিকেটের হোতা

19
Spread the love

খুলনায় মানববন্ধন কর্মসুচিতে মঞ্জু

খবর বিজ্ঞপ্তি

জনসমর্থনহীন লুটেরা সরকারের শাসনামলে জনগণের দুর্ভোগ আর যন্ত্রণা বহুপূর্বেই সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়েছে। আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। গত কয়েকমাস ধরেই চালের বাজার অস্থিতিশীল, অথচ সরকার নির্বিকার। কিছুদিন পূর্ব পর্যন্ত পেঁয়াজের ঝাঝে নাকাল মানুষ এখন ভোজ্যতেলের বাজারের উত্তাপে পুড়ছে। নিত্যপণ্যের বাজারের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে নাগরিকদের এখন ত্রাহি অবস্থা। সরকার ব্যস্ত রাজনৈতিক আনন্দ আয়োজনে। নানাবর্ষ পালনে সরকারের সমস্ত প্রশাসনযন্ত্র এতটাই ব্যতিব্যস্ত যে, জনদুর্ভোগ তাদেরকে স্পর্শ করে না। যেহেতু সরকার জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নয় অথবা সরকার গঠনে জনগণের ভোটের তোয়াক্কা করতে হয় না, যারকারণে জনগণের জীবনযাপন নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। সরকারের মন্ত্রীরা অধিকাংশ ব্যবসায়ী এবং বহুআলোচিত বাজার সিন্ডিকেটের হোতা। সরকার সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগী অসাধু ব্যবসায়ীগণ। যার ফলে যে যেমন পারছে, অবাধে জনগণের পকেট কেটে নিজেদের আখের গুছিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

সাধারণ ক্রেতা দ্বিগুন দামে পণ্য ক্রয় করলেও মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পণ্য উৎপাদনকারী কৃষক কিন্তু সর্বক্ষেত্রে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। সংকটকালে ভারত কোন পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিল, অথচ বাজারে যখন পেঁয়াজের মূল্য খানিকটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসছে তখন আবার ভারতের আবদারে সেখান থেকে বানিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে দেশের পেঁয়াজ চাষীদের সমূহ ক্ষতির ঝুকিতে পড়বে। সরকারের মন্ত্রীরা কার স্বার্থে কখন কোন কাজ করেন তা বোঝাই মুশকিল। এই ব্যর্থ অপদার্থ বাণিজ্যমন্ত্রীকে আর একমুহুর্তও দায়িত্বে রাখা যাবে না।

সয়াবিন তেল আমদানি গুটিকয়েক সরকারের সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারা তাদের ইচ্ছেমত মূল্য বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে। দেশের চিনিকলগুলি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মাত্র কয়েকজন আমদানিকারকের স্বার্থে। মাঝেমাঝে লোকদেখানো ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে খুচরা পর্যায়ে বিক্রেতাদেরকে বলির পাঠা বানানো হচ্ছে, অথচ নাটের গুরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ তারা মন্ত্রী, এমপি এবং সরকার সমর্থক ব্যবসায়ী।

সর্বক্ষেত্রে সরকারের দুর্নীতির উদ্দামতাও পণ্যবাজার অস্থিতিশীল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ। সরকার সমর্থক চুনোপুঁটিদের কাছেও এখন হাজার কোটি টাকা সাধারণ বিষয়। তাদের সিন্দুক, বিছানার তোষক, ঘরের আনাচে কানাচে কোটি কোটি টাকা। এ অর্থের উৎস কী ? চুনোপুঁটিদের অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে রাঘব-বোয়ালদের পরিস্থিতি কী হতে পারে তা কারোরই বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এই দুর্নীতিবাজ, লুটেরা সরকার যতক্ষণ ক্ষমতায় আছে, ততক্ষণ জনদুর্ভোগ লাঘব হওয়ার কোন কারণ নেই। জনগণের যাবতীয় সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হল একটি জনরায়ের মাধ্যমে গঠিত গণতান্ত্রিক সরকার । দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশকে বিদ্যমান মহাসংকট থেকে মুক্তি দেয়ার একমাত্র উপায়।

বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সামনে খুলনা মহানগরীর থানা পর্যায়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের প্রতিবাদে এবং বানিজ্য মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

সদর থানার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি। সভা পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান মুরাদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন শেখ মোশারফ হোসেন, রেহেনা ঈসা, অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দিপু, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, গিয়াস উদ্দিন বনি, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মুর্শিদ কামাল, একরামুল কবির মিল্টন, হাসানুর রশিদ মিরাজ, ইমতিয়াজ উদ্দিন লাভলু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, আবু সাইদ শেখ, হাফিজুর রহমান মনি, বদরুল আনাম খান, শেখ জামিরুল ইসলাম, শেখ ইমাম হোসেন, আফসার উদ্দিন মাস্টার, ইশহাক তালুকদার, আব্দুল মজিদ মাস্টার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, আকরাম হোসেন খোকন, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দিন টারজান, মোস্তফা কামাল, জাহিদ কামাল টিটো, নাসির খান, আব্দুল জব্বার, ওহেদুর রহমান দীপু, আসলাম হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, মেহেদী হাসান সোহাগ, মোল্যা ফরিদ আহমেদ, কবির মোল্যা, মোহাম্মদ আলি, আব্দুল আলিম, রিয়াজুর রহমান, বাচ্চু মীর, কাজী মাহমুদ আলি, সিরাজুল ইসলাম লিটন, ইকবাল হোসেন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, জামাল উদ্দিন মোড়ল, হুমায়ুন কবির, ডা. ফারুক হোসেন, জাবীর আলি, জাকারিয়া লিটন, নুরুল ইসলাম লিটন, জাহাঙ্গীর হোসেন, হাবিবুর রহমান কাজল, শরিফুল ইসলাম সাগর, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, কাজী নজরুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ, তরিকুল ইসলাম তুষার, লিটু পাটোয়ারী, হেদায়েত হোসেন হেদু, এম এ হাসান, মোস্তফা জামান মিন্টু, রাজু মোল্যা, হেদায়েত হোসেন হেদু, জয়নুল আবেদীন সাগর, এড. কামরুন নাহার হেনা, মুশফিকুর রহমান অভি, ইমরান হোসেন, শফিকুল ইসলাম বাদল প্রমুখ।

অনুরূপ মানববন্দন কর্মসূচি পালিত হয় সকাল ১১টায় খালিশপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে বৈকালী মোড়ে থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম জিয়ার সভপতিত্বে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, শেখ সাদী, নিজামুর রহমান লালু, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, জহর মীর, এইচ এম আবু সালেক, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, কাজী আব্দুল লতিফ, হাসানউল্লা বুলবুল, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ জাকির হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, লিটন খান, তসলিম উদ্দিন, খোদাবক্স কোরাইশি কাল্লু, মিজানুর রহমান খোকন, জাহিদুল হোসেন, কাজী ফজলুল করিম টিটু, শেখ শামীম, শহিদুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা ভুট্রো, হাসানউল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মেহেদী মাসুদ সেন্টু, জাহিদুর রহমান রিপন, সাইফুল ইসলাম সান্টু, মাহমুদুল হাসান শান্ত, মইনুদ্দিন নয়ন, শেখ নুরুল ইসলাম নুরু, মিজানুর রহমান টুলু, সামাদ বিশ্বাস, মাফিজুর রহমান, আব্দুল আলিম, নাজমুল হোসেন বাবু, পিয়ার সুমন, লিটন মোস্তফা, রনি, জাকির হোসেন, মুনতাসির আল মামুন, সিরাজুল ইসলাম, জাহিদুল হোসেন বাচ্চু, আলাউদ্দিন তালুকদার, সত্যনন্দ দত্ত, মফিজুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, আল মামুন সরদার, ফারুক হোসেন, কাজী সালমান, মেহেদী মিরাজ, হোসেন মানিক, রাব্বি, তাজউদ্দিন, আসিফ ইমরান, আনজিরা খাতুন, আপরোজা জামান, শাহানাজ পারভীন, পারুল, বুলি, আসমা, কাজল, বিউটি, খালেদা, নজরুল ইসলাম, হেলাল হোসেন, হাসিব, মুনসুর আলি প্রমুখ।

অপরদিকে সকাল ১১টায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বাণিজ্যমন্ত্রী’র পদত্যাগের দাবিতে মহানগর বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে খানজাহান আলী থানা কমিটির উদ্যোগে ফুলবাড়ীগেট বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খানজাহান থানা বিএনপির সভাপতি মীর কায়সেদ আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

থানা সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজানুর রহমানের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি শেখ ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, রফিকুল ইসলাম শুকুর, আলমগীর হোসেন, মিনা মোরাদ হোসেন, মোল্যা সোহাগ হোসেন, মীর মনিরুল ইসলাম সংগ্রাম, মিজানুর রহমান, কাজী সহিদুল ইসলাম, ইমদাদ হোসেন,জামাল হোসেন,দিদারুল ইসলাম লাভলু, আমজাদ হোসেন, শাহ আলম, গোলাম মোস্তফা, জামাল হোসেন, গোলজার হোসেন,মোল্লা সোহরাব হোসেন, আজম, খয়বার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আশরাফ ঢালী, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল হাই রুমী, আতাউর রহমান, নূরুল হক, মোল্লা সোলায়মান হোসেন, আলহাজ্ব আল আমিন, ফরহাদ হোসেন, নাসির উদ্দীন, সাহাদাত হোসেন সাজু, হেলাল শরিফ, শেখ বিল্লাল হোসেন, পলাশ, সহিদুল ইসলাম, মামুন হোসেন, লিমন মোল্যা, সিরাজ শিকদার, চমন আক্তার, চামেলী, রেশমী,সুলতানা, তুষার, মাসুম বিল্লাহ, রানা প্রমুখ।