বাবার প্রেমিকার সঙ্গে ছেলের বিয়ে, মায়ের বিষ পান

1
Spread the love

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

বাবার পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ছেলে। তাই মা হনুফা বেগম ওই মেয়ের সঙ্গেই ছেলের বিয়ে দেন। এতে করে স্বামীর সঙ্গে বিবাদের সৃষ্ট হয়। আর এ কারণে বিষ পান করেন তিনি। ২ জানুয়ারি, শনিবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বর্তমানে সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন হানুফা।  

হনুফার স্বামীর নাম মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুল (৫০)। তিনি চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাই স্কুলের শিক্ষক।

জানা গেছে, ওই হাইস্কুলের সাবেক এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিক্ষক জহুরুল ইসলাম। সেই সুবাদে জহুরুলের শ্বশুরবাড়ি দৌলতদিয়াড়ে প্রায়ই যাতায়াত করতেন ওই ছাত্রী। এ থেকে জহুরুলের ছেলে শুভর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে যা প্রেমে পরিণত হয়। মা হানুফা বেগম বিষয়টি জানতে পেরে ছেলের সঙ্গে গোপনে ওই মেয়ের বিয়ে দেন। এরপর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তার বিবাদ শুরু হয়। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হানুফা বেগম।

হায়দারপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, জহুরুলের গ্রামের বাড়ি হায়দারপুরে কাজ করতেন হানুফা। এ সময় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এরপর বিয়েও করেন জহুরুল ও হানুফা। কিন্তু জহুরুলের পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। এ কারণে হানুফা তার বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলতদিয়াড়ে থাকতেন। সেখানে মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন জহুরুল। বেশিরভাগ সময় তিনি নিজ গ্রাম হায়দারপুরে অবস্থান করতেন। জহুরুল তার স্ত্রীকে তালাকের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক কাজ করতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, এর আগে ২০০৭ সালে নিজ গ্রাম এবং তার স্কুলের আরেক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন জহুরুল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে টাকার বিনিময়ে তা মিটিয়ে ফেলেন তিনি।

এ বিষয়ে হানুফা বেগমের মা বলেন, আমার মেয়ে স্বামীর পরকীয়ার কারণে অতিরিক্ত টেনশনে বিষপান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক জহুরুল সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, হানুফা নামে এক নারী সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন বিষপান করা অবস্থায়। তার পাকস্থলী ওয়াশ করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তিনি ঘাস নিধনের বিষ পান করেছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও উল্লেখ করেছেন ডা. সোহানা।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত সদর থানার এএসআই শাহিন বলেন, বিষপান করে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে তিনি অজ্ঞান অবস্থায় আছেন। বিষয়টি থানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।