খুমেক’র আয়া নুরনাহার হত্যা মামলার দু’আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি

19
Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আয়া নুরনাহার বেগম (৪০) হত্যা মামলার দু’আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। গতকাল বুধবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম তাদের দেয়া ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। নুর নাহার বেগম সোনাডাঙ্গা আর ফারুক সোসাইটির অগাস্টনের বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং বটিয়াঘাটা থানার গাওঘরা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান শেখের স্ত্রী।

আসামিরা হলেন হরনিটানা থানাধিন হোগলাভাঙ্গা আসাদরে মোড়ের মৃত. হাবিবুর রহমানের ছেলে জামাল হাওলাদার ও ফারুক মহাজন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি খুলনার পুলিশ পরিদর্শক মোছা. মাহমুদা খাতুন আসামিদের আদালতে হাজির করে ৫দিনের রিমা-ের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদের ২দিনের রিমা- মঞ্জুর করেছিল।   

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মোছা. মাহমুদা খাতুন জানান, গত ২৮ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন আসামি ফারুক ওরফে জামানকে রমিান্ডে এনে জঞ্জিাসাবাদ করা হয়। জঞ্জিাসাবাদে জামাল হাওলাদার হত্যার ঘটনা বর্ণনা করনে। হত্যাকান্ডে তার সহযোগী ফারুক মহাজনকে ২৯ ডসিম্বের ৫ নম্বর ঘাট এলাকা থকেে গ্রফেতার করা হয়। পুলশিি জঞ্জিাসাবাদে ফারুক মহাজন হত্যাকান্ডে নজিকেে জড়তি থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে উক্ত জামাল ও ফারুকরে দখোনো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রশ,ি হত্যাকান্ডরে কাজে ব্যবহার করা বাইসাইকলে উদ্ধার করা হয়। গতকাল ফারুক মহাজন ও জামাল হাওলাদার  আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছেন। 

তিনি আরও জানান, জামাল হাওলাদার ও ভকিটমি নুরনাহার পূর্ব পরচিতি। জামাল হাওলাদাররে কাছ থকেে নুরনাহার বভিন্নি সময়ে টাকা পয়সা নলিওে জামালরে সাথে ভাল ব্যবহার করতনে না। একাধকিবার জামালকে হয়রানী করনে। এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে জামাল তার গ্রাম সর্ম্পকরে দুলাভাই ফারুক মহাজনকে সাথে নয়িে নুরনাহারকে হত্যার পরকিল্পনা করনে। ফারুক মহাজন ৫ নং ঘাট এলাকায় সমিন্টে এর বস্তা থকেে ব্যাগ বানানোর কাজ করে জীবকিা নর্বিাহ করনে। ফারুককে  ৫ হাজার টাকা দতিে প্রতশ্রিুতি দয়িে জামাল তাকে সহযোগী হসিবেে রাজি করান। সইে মোতাবকে গত ২২ নভম্বের জামাল বাইসাইকলে চালয়িে ফারুকরে ৫ নম্বর ঘাটরে বাড়তিে গয়িে সমিন্টেরে ব্যাগের মুখ সলোই করার কাজে ব্যবহার করা সূতা সংগ্রহ করনে। তারপর ফারুককে সাইকলে এ উঠয়িে নয়িে জামাল সোনাডাঙ্গায় এসে সাইকলেটি ১টি গ্যারজেে রখেে দুজন মলিে অটোরক্সিায় গল্লামারি মোড়ে যান। সখোনে গয়িে নহিত নুরনাহারকে ফোন দয়িে ডকেে নয়িে ৩জনে  মলিে অটোরক্সিায় করে ছাচিবুনয়িা মোড়ে যান। সখোনে গয়িে জামাল টাকা দয়িে ফারুককে ২টি জুস ও আপলে কনিে আনতে বলনে, ফারুক জুস ও আপলে কনিে আননে। পরে ৩ জনে মলিে হাটতে হাটতে ডসেটনিরি মাঠ বলে পরচিতি নির্জন এলাকায় নিয়ে জুস ও আপেল খান। জুসের মধ্যে জামাল ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়ায় নুরনাহার কিছুক্ষন পর অচেতন হয়ে পড়েন। তখন জামাল সাথে থাকা সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। ফারুক নুরনাহার এর পা চেপে ধরে রাখেন। এভাবে মৃত্যু নিশ্চিত করে দু’জন পায়ে হেটে রাস্তায় এসে অটোরিকশা যোগে শিববাড়ি মোড় এলাকায় আসেন। তখন জামাল তাকে ৪৭০০ টাকা ফারুককে দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য বলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আয়া নুর নাহার বেগম ২২নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুরে মেয়ে বৃষ্টির বাসায় যায় এবং বিকেল ৫টার দিকে বাসায় আসার জন্য রওনা দেয়। কিন্তু বাসায় ফিরে আসেনি। পরের দিন দুপুর সোয়া ১টার দিকে লবণচরা থানাধিন খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে খোলাবাড়িয়ার ডেসটিনির পরিত্যক্ত জমির ঝোপ-ঝাড়ের মধ্যে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এঘটনায় নিহতের ছেলে মো. নাঈম শেখ বাদী হয়ে লবণচরা থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-১৫।       

নগরীতে কেএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ৬

স্টাফ রিপোর্টার

মহানগর পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ২১ পিস ইয়াবা ও ৩৬০ গ্রাম গাঁজাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন নগরীর টুটপাড়া সরকার পাড়ার ইলিয়াস হাওলাদারের ছেলে হৃদয় বাবু (২২), মৃত. সেলিম শেখ এর ছেলে নুরে আলম (২৭), দৌলতপুর মহেশ্বরপাশার মৃত. সুরত আলীর ছেলে শফিউল্লাহ ওরফে শফি (৫০), আঞ্জুমান  রোডের  হিরু মিয়ার ছেলে রিশাদ মোল্যা (২৫), পাবলা দত্তবাড়ীর মৃত. আব্দুল মতিন শেখের ছেলে রবিন শেখ (১৯) ও নড়াইল জেলার কালিয়া থানার গাজীর হাট গ্রামের  মৃত. আবু বক্কর সরদারের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক সরদার (৬০)। 

কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) কানাই লাল সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মহানগর পুলিশ। এসময় ২১ পিস ইয়াবা ও ৩৬০ গ্রাম গাঁজাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় ৫টি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।