কয়রায় অবৈধ ১০টি শুঁটকি ডিপো উচ্ছেদ

9
Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার

খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের শেখেরটেক এলাকায় গড়ে উঠা ১০ টি অবৈধ শুঁটকি ডিপো উচ্ছেদ করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই ডিপোগুলো উচ্ছেদ করে।

সুন্দরবন থেকে চিংড়ি মাছ ধরে জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করে আগুণের তাপে তা শুকানো হয়। যেসব জায়গায় ওই কাজ করা হয় সেগুলোকে বলা হয় শুঁটকি ডিপো। কয়রা উপজেলায় এমন কিছু অবৈধ শুঁটকি ডিপো গড়ে উঠেছিল। সাধারণত নদীর পাড়েই গড়ে ওঠে শুঁটকি ডিপোগুলো। ওই নদীর ওপর পাড়েই সুন্দরবন।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ বলেন, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের পেছনে একটি বড় ভূমিকা রাখে শুঁটকি ডিপোগুলোর মালিকরা। বিষ দিয়ে ধরা মাছ অন্য কোথাও বিক্রি হয় না। সেগুলো সাধারণত ডিপোগুলো কম দামে কিনে শুঁটকি করে বেশি দামে বিক্রি করেন। লাভজনক হওয়ায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই শুঁটকির ডিপোগুলো কখনো বন্ধ করা যেত না। তবে পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু নাসের মোহসিন হোসেন যোগদান করার পর থেকে ওই শুঁটকি ডিপোগুলো উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। তারই সার্বিক নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ডিপোগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এর ফলে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছেন তিনি।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনকে ভালো রাখতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহয়তায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. আবু সালেহ, কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাহারাম, নলিয়ান স্টেশন কর্মকর্তা শেখ মো. আনিছুর রহমান, বানিয়াখালী স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল, খুলনা রেঞ্জের স্মার্ট টিম লিডার মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

এর আগে গত অক্টোবর মাসে ওই উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়সিং এলাকা থেকে ১৪টির মতো অবৈধ শুঁটকি ডিপো উচ্ছেদ করা হয়।