কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বৃদ্ধি

120
Spread the love

মোঃ রেজাউর রহমান তনু, কুষ্টিয়া

সাম্প্রতিক সময়ে উন্নত হয়েছে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান। ২০০৫ সালে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। বর্তমানে এই হাসপাতালে বহিঃবিভাগ, জরুরী বিভাগ ও অন্তবিভাগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। বহির্বিভাগে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত সকাল ০৮০০ হতে দুপুর ০২৩০ ঘটিকা এবং জরুরী বিভাগ ও অন্তবিভাগে দিনরাত ২৪ ঘন্টা দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়। বিপুল সংখ্যক রুগী চিকিৎসা সেবা গ্রহনের জন্য হাসপাতালে আসছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় প্রতিদিন আউটডোরে গড়ে ৫০০-৭০০ জন রোগী নানা ধরনের সেবা গ্রহণ করেরে।সকাল থেকেই শুরু হয় রিসেপশনে অর্থাৎ টিকেট দেবার স্থানে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। ৫ টাকা দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করে রোগীরা নিয়মমাফিক প্রয়োজনীয় ডাক্তারকে দেখাচ্ছেন, প্রয়োজনীয় ঔষধ পাচ্ছেন বিনামূল্যে।

হাসপাতালটিতে দিন রাত ২৪ ঘন্টা জরুরি প্রসূতি সেবা ও প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী সুবিধা চালু আছে। এছাড়াও জরুরি রোগী পরিবহনের জন্য রয়েছে জরুরীএ্যাম্বুলেন্স সেবা। প্যাথলজি বিভাগে বিভিন্ন প্যাথলজি পরীক্ষাসহ ইসিজি, এক্স-রে এবং আলট্রাসনোগ্রাফি হচ্ছে নিয়মিত। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের সকল বিভাগ প্রস্তুত। দক্ষ জনবল দিয়েই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চলেছি আমরা। তিনি আরও বলেন ভেড়ামারা উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নূরুল আমিনের দক্ষ নেতৃত্বের কারনে ইতোমধ্যে টেলিমেডিসিন সেবায় দেশ সেরার স্বীকৃতি মিলেছে। কোভিড মহামারী নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ অবদান রেখেছেন ডাঃ মোঃ নূরুল আমিন। তিনি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন তিনি করে দেখিয়েছেন বলে মনে করেন হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক।

হাসপাতালের বিভিন্ন সেবার মান নিয়ে ডাঃ মোঃ নূরুল আমিন বলেন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিক। মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্য খাত এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ। হাসপাতালের চিকিৎসক সহ সকল কর্মচারী আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান করছে এবং করবে। এই হাসপাতালে এখন রুগীরা চিকিৎসার জন্য আসছেন এবং চিকিৎসা পেয়ে তারা খুশি। সকলের সাহায্য এবং সহযোগিতায় ভেড়ামারাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।