ঢাকা অফিস
শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে (৫) হত্যা মামলায় মা আয়েশা হুমায়রা ওরফে এশা ও তার প্রেমিক শামসুজ্জামান বাক্কুর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
২০ ডিসেম্বর, রবিবার ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এশা ও বাক্কু বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আর শিশু সামিউলের বাবা ও বাদী কে আর আজম মামলার বিচার চলাকালেই মারা যান।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, এশা ও বাক্কুর সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারায় শিশু সামিউলকে তারা হত্যা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলা প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। তারা যে কাজ করেছেন, তার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যাপ্ত নয়। তাদেরকে মৃত্যদণ্ড দেয়াই সমীচীন।
মামলার তথ্য মতে, শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে এশার অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন শিশু সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে রাখা হয়। এরপর ২৪ জুন লাশ বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। পরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। সামিউল নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমে প্লে গ্রুপে পড়তো।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ওইদিনই আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন। এশা ও বাক্কু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। বিচারকালে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।