সাবজাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ – যশোর মহাসড়কের দু’পাশে অপ্রয়োজনীয় গাছপালা গজিয়ে উঁচু জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে। যেটা রাতের বেলায় ডাকাতসহ দুষ্টু প্রকৃতির মানুষের কাজে সহায়ক। যে কারনে গভীর রাতে মহাসড়কের পাশের ঝোপঝাড় সৃষ্টিতে ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে। প্রায়ই ঘটে ডাকাতির মত ঘটনা। পথচারীদের হারাতে হয় কাছে থাকা মালপত্র। পরিবহন চালকসহ পথচারীদের কাছে এটা আতঙ্ক বিরাজ করে। এমন অবস্থা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের রঘুনাথপুর হইতে কেয়াবাগান পর্যন্ত সড়কে। এ থেকে বাঁচাতে এবং নিরাপদ সড়কের পরিবেশ সৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয় গাছ ঝোঁপঝাড় কাটার উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা পরিষদ ঝিনাইদহের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল। রোববার দুপুর পর্যন্ত তিনি নিজে থেকে এ কাজে সহযোগীতা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশের ওসি মেসবাহ উদ্দীন।

পথচারী সাইদুর রহমান জানান, সড়কের পাশের ঘন বন জঙ্গলের মধ্যে রাতের বেলায় ডাকাতরা মাঝে মধ্যে বসে থাকে। পথচারীদের প্রায়ই মালামাল ছিনতাই করে। সড়কে টহল নিরাপত্তা পুলিশ দেয়া হলেও ডাকাতরা জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থাকলে আর দেখা যায় না। এরমধ্যে বসে হঠাৎ করে বেরিয়ে শিয়ালের মত থাবা দিয়ে বাই সাইকেল মটর সাইকেলসহ পথচারীদের মালামাল নিয়ে চম্পট দেয়। ফলে রাস্তার পাশের বাগান জঙ্গল কেটে দিলে চোর ডাকাতদের আস্তানা দুর্বল হয়ে যাবে। ফলে জঙ্গল কাটার উদ্যোগটা পথচারীদের জন্য খুবই মঙ্গলজনক হয়েছে।
ট্রাকের চালক সদস্য আব্দুস সবুর জানান, ডাকাতরা এ রাস্তার পাশের জঙ্গলের মধ্যে বসে নিরাপদে করাত দিয়ে গাছ গাছ কাটে। চলন্ত গাড়ির লোকজন কিছুই দেখতে পান না। কারন গাড়ীর আলো দেখলেই করাত টানা বন্ধ করে দেয়। আবার গাড়ি চলে গেলে সুযোগ বুঝে মহাসড়কের উপরে ফেলে পরিবহন ডাকাতি করে বেরিয়ে যায়। এমন জঙ্গল যেখানে আছে সেখানে গেলে তারা আতঙ্কে থাকেন। ফলে সড়কের পাশের বনজঙ্গল কাটার উদ্যোগটা প্রশংসনীয়।

জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল জানান, মহাসড়কের পাশের জঙ্গলের কারনে তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন কেটে নিরাপদ সড়কের জন্য। রাতে এ জঙ্গলের মধ্যে ডাকাতরা বসে থাকলেও বোঝার উপায় থাকে না। যে কারনে প্রায়ই ঘটে ডাকাতির ঘটনা। ইতোমধ্যে প্রায় ্১ কিলোমিটারের মত জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়েছে। বাকিটাও তাড়াতাড়ি শেষ হবে।
বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশের ওসি মেসবাহ উদ্দীন বলেন, রাতের বেলায় ডাকাতি ঠেকাতে প্রশাসনের সদস্যরা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেক সময় রাতের টহল পুলিশেরও নিরাপত্তা থাকে না। ফলে মহাসড়কের দু’পাশের জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করার একটা ভালো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।