গৃহবধূ লাবনীর খোঁজ মেলেনি এক মাসেও

3
Spread the love

বেনাপোল প্রতিনিধি

এক মাসেও খোঁজ মেলেনি যশোরের শার্শা উপজেলার কলেজ পড়ুয়া গৃহবধূ লাবনীর। উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইলের মাঠপাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ইমনের স্ত্রী সুমাইয়া ইসলাম লাবনীকে একই গ্রামের হুসাইন আহম্মেদ নামের এক যুবক এক মাস আগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগ। এই মর্মে শার্শা থানায় অভিযোগও দেওয়া হয়।

লাবনী শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।

লাবনীর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আর কোনও ছেলে-মেয়ে না থাকায় মেয়ে-জামাইকে বাড়িতেই রেখেছি। পাশের বাড়ির চাচা পরিচয়ের হুসাইন মাঝে-মধ্যে লাবনীকে নানা কুপ্রস্তাব দিতো। এর আগে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল হুসাইন লাবনীকে জোর করে নিয়ে পালিয়ে যায়। আমার মেয়ে কৌশলে পরদিন সেখান থেকে পালিয়ে আসে। গত ১৮ নভেম্বর আবারও আমার মেয়েকে নিয়ে হুসাইন পালিয়ে যায়। এবার অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে অবশেষে ২৫ নভেম্বর শার্শা থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ এলেও উদ্ধার কাজে কোনও অগ্রগতি হয়নি। নাশকতার মামলার আসামি, গাঁজাসেবী হুসাইন আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে হয়তো।’  তিনি আরও অভিযোগ করেন, লাবনীকে তুলে নেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেছেন হুসাইনের মা লতিফুন্নেছা।

সরেজমিনে খোঁজ নিতে হুসাইনের বাড়িতে গেলে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।

গ্রামের লোকজন জানান, হুসাইন এক বখাটে। নাশকতা মামলার আসামি। এর আগে সে নাশকতার মামলায় জেল খেটেছে। মেয়েটির স্বামী ইমনকে গ্রাম থেকে চলে যাওয়ারও হুমকি দেয় হুসাইন।

শার্শা থানার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘লাবনীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। হুসাইনের বাড়িতে ইতোমধ্যে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।’

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বলেন, বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়েটির মা। আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’