ঢাকা অফিস
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা মামলায়ও জামিন পেয়েছেন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।
আজ ১৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি করে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন মামলাতেই জামিন পেলেন কাজল।
আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যরিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তার মুক্তিতে আর বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর কাজল জামিন পান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্য একটি মামলায়। যে মামলায় কাজল জামিন পেলেন, সেটি দায়ের করা হয়েছিল শেরেবাংলা নগর থানায়।
যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেলকেন্দ্রিক কারবারে ‘জড়িতদের’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত ৯ মার্চ ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
ওই মামলা হওয়ার পর আসামির তালিকায় থাকা শফিকুল ইসলাম কাজল প্রায় দুই মাস নিখোঁজ ছিলেন। পরে গত ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর গত ২৩ জুন কাজলকে শেরেবাংলা নগর থানার ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকের মুখোমুখি করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সেদিন কাজলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে।
এরপর গত ২৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতও কাজলের জামিন আবেদন নাকচ করলে তিনি ৮ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট গত ১৯ অক্টোবর রুল জারি করে।
কেন কাজলকে জামিন দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় সেই রুলে। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই সঙ্গে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মামলার কেইস ডকেট (সিডি) নিয়ে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা শোনার পর আদালত রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে সাংবাদিক কাজলকে জামিন দিল।
এদিকে সাংসদ শিখর মামলা করার পর ১০ ও ১১ মার্চ হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীর চর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়; যার মধ্যে একটির বাদী যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা ওরফে বেলী।
মুক্তি পাওয়ার জন্য এ দুটি মামলায় জামিনের অপেক্ষায় থাকতে হবে ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে।