খবর বিজ্ঞপ্তি।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকল দলীয় কার্যালয়ে সর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোকসজ্জা এবং তোরণ নির্মাণ করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সকাল ৭ টায় গল্লামারী স্মৃতিসৌধে নগর ও জেলা বিএনপি পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পমাল্য অর্পন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। সকাল ১১ টায় খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় দিবসের সমাবেশ খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান মুরাদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর শহীদ, দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আঃ গফ্ফার ও মাওলানা আঃ মান্নান।
র্যালিপূর্ব বিজয় দিবসের সমাবেশে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমাদের প্রিয় এই দেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম গৌরব অর্জন ও অহঙ্কারের দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে এ জাতির বীরত্বের আত্মপ্রকাশের দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমেই ১৯৭১ সালের এদিনে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম হয় নতুন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র। তাই আজ আমাদের বিজয়ের গৌরবের বাঁধভাঙা আনন্দের দিন। একই সঙ্গে আজ লাখো স্বজন হারানোর শোকে ব্যথাতুর-বিহ্বল হওয়ারও দিন। কিন্তু এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশের শাশ্বত গণতন্ত্র আজ নিরুদ্দেশ। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য ৫০ বছর পরও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে নিজের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে টানা ১২ বছর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে আসেনি, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শুরু হয় চূড়ান্ত স্বাধীনতার যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অসহায় নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। ২৫ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতিকে কোনো দিক-নির্দেশনা না দিয়েই শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের কাছে বন্দি হন। ঐ অবস্থায় জাতি যখন দিশেহারা ঠিক এমনি এক অমানিশার ঘোর অন্ধকারে বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলসে উঠলো প্রকৃতি ও মানুষ। বাতাসের প্রতিটি তরঙ্গে কান পেতে সবাই শুনলো ‘উই রিভোল্ট’। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। গণতন্ত্র রক্ষায় সাধারণ জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় শুরু হওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের আজ বিজয়ের ৫০তম বর্ষে এসে ভূলুন্ঠিত জনগণের ভোটের অধিকার। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কূটকৌশলে হরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাজ করার আহবান জানান।
সমাবেশ শেষে বিজয় দিবসের বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালিতে মহানগর ও জেলা বিএনপি, থানা, ওয়ার্ড অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্ব স্ব সংগঠনের ব্যানার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ছবিম প্লাকার্ড, নিয়ে বাদ্যযন্ত্রসহকারে র্যালি দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পিকচার প্যালেস, ডাকবাংলা, ফেরীঘাট, শান্তিধাম রোড হয়ে রয়েল চত্বরে গিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন। এসকল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এড. এসএম শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আ: রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, এড. শরিফুল জোয়াদ্দার খোকন, এড. মোমরেজুল ইসলাম, মোল্লা সাইদুর রহমান মিন্টু, এড. মাসুম রশিদ, রেহানা ঈসা, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, আঃ রকিব মল্লিক, আবু হোসেন বাবু, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, কামরুজ্জামান টুকু, আশরাফুল আলম নান্নু, এড. শহিদুল আলম, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, জালু মিয়া, নিজাম উর রহমান লালু, গিয়াসউদ্দীন বনি, মুর্শিদুর রহমান লিটন, এড. গোলাম মওলা, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, আনিসুর রহমান, নাজমুল সাকিব পিন্টু, এড. আঃ সুবর, এড. মশিউর রহমান নান্নু, হাসানুর রহমান মিরাজ, মশিউর রহমান যাদু, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, আবুল বাসার, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, চৌধুরী নাজমুল হুদা সাগর, কামরান হাসান, শরিফুল ইসলাম বাবু, এড. সত্য গোপাল ঘোষ, ওয়েজউদ্দীন সান্টু, মোজ্জামেল শরীফ, আবু সাঈদ শেখ, ম শ আলম, নাজির উদ্দীন নান্নু, আবুল কালাম জিয়া, ইমাম হোসেন, শেখ জামিরুল ইসলাম, হাসান মেহেদী রিজভী, বদরুল আনাম খান, হাসান উল্লাহ বুলবুল, মাহবুব হোসেন, হাফিজুর রহমান মনি, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, এড. মোঃ আলী বাবু, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, শমসের আলী মিন্টু, তরিকুল ইসলাম, আঃ লতিফ, ইসহাক তালুকদার, আকরাম হোসেন খোকন, মেজবাউদ্দীন মিন্টু, রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দীন টারজান, ইমতিয়াজ আলম বাবু, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, নাসির খান, আঃ জব্বার, ওহেদুর রহমান দীপু, আঃ রহমান, লিটন খান, আনিসুর রহমান আরজু, মেহেদী হাসান সোহাগ, বাচ্চু মীর, শামসুর রহমান, রিয়াজুর রহমান, আসলাম হোসেন, জসিম উদ্দীন লাবু, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, রবিউল ইসলাম, জিএম আসাদ, শাহনাজ ইসলাম, আঃ আলিম, আঃ সালাম, শামসুল বারী পান্না, এড. আলফাজ, তানভীরুল আজম রুম্মন, জহুরুল হক, হারুন রশিদ, ডা: ফারুখ হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, হেমায়েত হোসেন, আবু সাঈদ, এমদাদ হোসেন, মাজেদা খাতুন, হাসনা হেনা, রোকেয়া ফারুক, সিরাজুল ইসলাম লিটন, আনজিরা খাতুন, কওসারী জাহান মঞ্জু, মুন্নি জামান, রবিউল, আঃ হালিম, মিসেস মনি, সাথী, কাকলি, মাহমুদা লাকি, রোজিনা পারভিন, রেহানা ইসলাম প্রমুখ।