সারা খুলনা অঞ্চলের খবর

9
Spread the love


জনগণ ও দেশের কল্যাণে ভাল সংবাদ প্রকাশ করুন: সিটি মেয়র

খবর বিজ্ঞপ্তি


‘দৈনিক খুলনা’ পত্রিকার উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা শুক্রবার বিকালে জেলা পরিষদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথি সিটি মেয়র বলেন, গণমাধ্যমেরকর্মীরা সমাজের বিবেক। বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ^াসী। দেশ ও জনগণের স্বার্থে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এমন সংবাদ প্রচার করবেন না যাতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। জনগণ ও দেশের কল্যাণে ভাল সংবাদ প্রকাশ করুন। তিনি বলেন, এই পত্রিকাটি খুলনার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে। পত্রিকাটি দেশব্যাপী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে খুলনা মহানগীরসহ জেলা, উপজেলা ও প্রত্যান্ত অঞ্চলের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বেশি তুলে ধরবে বলে মেয়র আশা করেন।
খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দৈনিক খুলনা পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী রায়হান ফরিদ প্রমুখ। এসময় খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রকাশক মোঃ আছাদুজ্জামান, খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ বশির উদ্দিন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মোঃ মাহবুব আলম সোহাগ, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহিদ হোসেন, পত্রিকাটির খুলনাসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দৈনিক খুলনা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মিনা অছিকুর রহমান দোলন। উল্লেখ্য, পত্রিকাটি ১৯৮১ সাল থেকে সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে চালু হয়েছিলো।

কমরেড আজিজুর রহমানের মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক


খবর বিজ্ঞপ্তি
কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম প্রতিকৃত, আজীবন মার্কসবাদী কমিউনিস্ট নেতা, রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু, তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠক ও রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তোলার রূপকার, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সাবেক সদস্য এবং বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড আজিজুর রহমান (৭৭) গত ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১টায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেনÑওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমান, মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনসার আলী মোল্লা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, জেলা ও মহানগর সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, কমরেড গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কমরেড শেখ মিজানুর রহমান, কমরেড মনির আহমেদ, কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য শেখ সাহিদুর রহমান, কমরেড মনিরুজ্জামান, কমরেড সন্দীপন রায়, কমরেড রেজাউল করিম খোকন, কমরেড আঃ হামিদ মোড়ল, কমরেড কৌশিক দে বাপী, কমরেড মোঃ আলাউদ্দিন, কমরেড মনির হোসেন, কমরেড বাবুল আখতার, কমরেড আরিফুর রহমান বিপ্লব, কমরেড অজয় দে, কমরেড এড. কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার, কমরেড হাফিজুর রহমান, কমরেড গৌরী ম-ল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

বাগেরহাটে অযত্নে পড়ে থাকে বধ্যভূমি-স্মৃতিস্তম্ভ গুলো


বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক-হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকারবাহিনী সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালায় রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের ডাকরা গ্রামে। ওই বছরের ২১ মে গুলি ও গলাকেটে দুই শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এছাড়া কচুয়া উপজেলার শাঁখারীকাঠি, জেলা শহরের ডাকবাংলো ঘাট ও সদর উপজেলার কান্দাপাড়ায় নিরস্ত্র বাঙালিদের একইভাবে হত্যা করে তারা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এসব স্থানে বধ্যভূমি ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলেও বছরের অধিকাংশ সময়ই সেগুলো অযতেœ-অবহেলায় পড়ে থাকে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, শুধু স্বাধীনতাবিষয়ক জাতীয় দিবসগুলোতে এগুলো ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়, বকি সময়ে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ময়লা জমে থাকে।
১৯৯৭ সালে বাগেরহাট শহরের ভৈরব নদের তীরের একটি জয়গাকে ‘ডাকবাংলো বধ্যভূমি’ হিসেবে চিহ্নিত করে একটি স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়। ফলক উন্মোচনের ২১ বছর পর ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছয় লাখ টাকা ব্যয়ে বধ্যভূমিটিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।

অবহেলিত বাগেরহাটের একটি বধ্যভূমি বীর মুক্তিযোদ্ধা নকীব সিরাজুল হক বলেন, ‘পাক হানাদারদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সেদিন বাগেরহাটের মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাসহ বাগেরহাটের অসংখ্য মানুষ রাজাকারদের হাতে খুন হন। তাদের আত্মত্যাগের জন্য আজ আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাদের স্মৃতির উদ্দেশে সরকার বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে সেখানে স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছে। কিন্তু এই সব স্থানগুলো, বলতে গেলে সারাবছরই পড়ে থাকে অযতেœ-অবহেলায়।’
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘ডাকবাংলোর বধ্যভূমিটি অন্যতম কসাইখানা হিসেবে পরিচিত। রাজাকারেরা এখানে অসংখ্য মানুষকে গুলি ও গলাকেটে হত্যা করে মরদেহ ভৈরব নদে ভাসিয়ে দেয়। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় প্রশাসন এখানে একটি স্মৃতিফলক উন্মোচন করে। কিন্তু ওই ফলক উন্মোচনের ২০ বছর পার হলেও জায়গাটি এখনও উন্মুক্ত পড়ে আছে। এখন সংরক্ষণ করা হয়নি।’ আগামী প্রজন্মের তরুণদের জন্য এই স্থানে অবিলম্বে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার দাবি জানান এই নেতা।

খাঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুদ্ধকালীন প্রায় পুরো সময়জুড়ে বাগেরহাট শহরের মদনের মাঠের ওয়াপদা রেস্টহাউজ চত্বর, সুপারি পট্টির রসিক পরামাণিকের বাসভবন, মোজাম ডাক্তারের চেম্বারের পিছনে নদীর ঘাট, কচুয়া উপজেলার শাঁখারীকাঠি, মঘিয়া, কান্দাপাড়া বাজার, দেপাড়া, মুক্ষাইট, বিষ্ণুপুর, রণজিতপুর, চুলকাঠি; মোরেলগঞ্জের তেলিগাতি, তেঁতুলবাড়ীয়া, লক্ষ্মীখালী, চিতলমারীর দশমহল; শরণখোলার বগীসহ অর্ধশতাধিক স্থানে গণহত্যার ঘটনা ঘটে। এসবের বেশিরভাগ জায়গায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এগুলো নিয়মিত দেখাশোনা করার লোক নেই বললেই চলে।
রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ডাকরার যে স্থানে গণহত্যা চালনো হয়েছিল সেখানে ৭-৮ বছর আগে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। যা নিয়মিত দেখাশোনা করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে।
অযতেœ বধ্যভূমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বাগেরহাট জেলা কমান্ডার শাহীনুল আলম ছানা বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাগেরহাটে অন্তত সাতশ’ মানুষকে গুলি ও গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। বাগেরহাটের প্রায় সব বধ্যভূমি ও স্মৃতিস্তম্ভগুলো সারাবছর অবহেলায় পড়ে থাকে। কোনও দিবস এলেই কেবল সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।’

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বাগেরহাটে শহীদের স্মৃতি রক্ষায় নির্মিত বধ্যভূমি ও স্মৃতিস্তম্ভগুলো সংরক্ষিতই রয়েছে। এসব বধ্যভূমি ও স্মৃতিস্তম্ভগুলোর প্রতি জেলা প্রসাশনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।’ জেলার সবগুলো বধ্যভূমি সারাবছর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সরগরম সুপারির বাজার, দামে খুশি চাষি-ব্যবসায়ীরা


বাগেরহাট প্রতিনিধি
নারকেল ও সুপারির জন্য প্রসিদ্ধ জেলা বাগেরহাট। তবে বিভিন্ন কারণে দিন দিন জেলার প্রধান দুই অর্থকরী ফসলের ফলন কমে যাচ্ছে। এ বছর জেলায় সুপারির মৌসুমেও আশানুরূপ সুপারি উৎপাদন না হলেও করোনাকালীন সময়েও জেলার বিভিন্ন বাজারে সুপারি ক্রয়-বিক্রয় জমে উঠেছে। দামও বেড়েছে কুড়িতে (২৩১টি) ২০০-৩০০ টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্পানের কারণে সুপারির ফলন কম হলেও দামে খুশি গৃহস্থরা। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই অর্থকরি ফসল সুপারির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা চেয়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দাবি উপজেলার সীমান্তে তালেশ্বর সুইচ গেট থেকে লবনাক্ত পানি প্রবেশ বন্ধ করা গেলে সুপারির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
বাগেরহাটের কচুয়ায় সরগরম সুপারির হাটে গিয়ে দেখা যায়, হরদম কেনা-কাটা চলছে সুপারির। প্রতি কুড়ি সুপারি আকার ভেদে ৫০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বিক্রেতা ও ক্রেতার সমাগম চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, নছিমন, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলে গৃহস্থরা সুপারি নিয়ে আসছেন এই হাটে। সুপারির পাইকাররা সুপারি ক্রয় করে নিজেদের গদিতে (ভাড়া করা ঘর) স্তুুপ করে রাখছেন। এখান থেকে সুপারি আবার বাছাই এবং চূড়ান্ত গণনা করে বস্তা ভর্তি করতে কাজ করেন শতাধিক শ্রমিক। সাপ্তাহিক এই হাটে কোটি টাকার উপরে সুপারি বিক্রি হয়। হাটের দিনে প্রায় অর্ধশতাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী সুপারি ক্রয় করেন। এদের সহযোগী হিসেবে শতাধিক মানুষ কাজ করেন এখানে। এই সুপারি জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, সৈয়দপুর, দিনাজপুরসহ প্রায় ২০টি জেলায় যায় এই সুপারি। শুধু বৃহস্পতিবার নয় সোমবারও কচুয়ায় বাজারে একই পরিমাণ সুপারি বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়াও উপজেলার বাধাল, তালেশ্বর, টেংড়াখালি, গজালিয়া বাজারেও সুপারি বিক্রি হয়। কচুয়া উপজেলায় ১ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৪ হাজার ১১৪ মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদন হয় বছরে। কচুয়া ছাড়াও জেলার মোরেলগঞ্জ ও বাগেরহাট সদর উপজেলায় বেশ সুপারি উৎপাদিত হয়। ফকিরহাট, চিতলমারীসহ অন্য উপজেলায়ও সুপারি উৎপাদিত হয়। তা পরিমাণে নগন্য। সব মিলিয়ে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৬ হাজার টন সুপারি উৎপাদিত হয়।

কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের সুপারি বিক্রেতা তারক বৈরাগী বলেন, আমরা এক সময় প্রচুর পরিমাণ সুপারি পেতাম। কিন্তু এ বছর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সুপারির মঞ্জুরি (ফুল) পড়ে যাওয়ায় এবার আমাদের সুপারি কম হয়েছে। তবে এবার দাম বেশি হওয়ায় পুষিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর যে সুপারির দাম থাকবে তাতো নয়। এজন্য সুপারির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করা উচিত।

কচুয়া উপজেলার পদ্মনগর গ্রামের সালাম শেখ, লতিফ, আবুল হোসেন, নুরুসহ কয়েকজন বলেন, আমাদের এলাকাটা ছিল মিষ্টি পানির। একারণে সুপারির ফলন ভাল হতো। বর্তমানে খালগুলে ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে জলাবদ্ধতা ও লবনাক্ত পানি প্রবেশ করায় সুপারির উৎপাদন কমে গেছে।

সুপারি গণনা ও বাছাই কাজে নিয়োজিত শ্রমিক শহিদ, ইউনুস ও মোবারেক বলেন, সপ্তাহে দুইদিন এই কাজ করার সুযোগ পাই। ফজরের নামাজ পরেই হাটে চলে আসি রাত ১০টার সময় বাড়িতে যাই। এক কুড়ি সুপারি বাছাই শেষে গণনা করে বস্তাায় ঢুকালে আমরা পাই ৫ টাকা। প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬শ’ টাকা আয় হয় আমাদের। সুপারির মৌসুমে এই করেই আমাদের সংসার চলে।

কচুয়া বাজার সুপারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নারায়ন বাওয়ালী বলেন, আমরা এই সুপারি ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে থাকি। কিছু সুপারি মদাই (৬০-৭৫ দিন পানিতে ভিজিয়ে উঠানো হয়) এবং কিছু সুপারি শুকানোও হয়। সুপারির মৌসুম শেষে মদা ও শুকনো সুপারিরও চাহিদা রয়েছে। আমরা মোটামুটি এই বাজারে সুষ্ঠভাবে ব্যবসা করে থাকি।

কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান বলেন, আমাদের কচুয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সুপারির উৎপাদন হয়। উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলায় এই সুপারি রপ্তানি হয়। এই এলাকার প্রত্যেকটা পরিবারের সুপারির গাছ রয়েছে। সুপারি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে সুপারি গাছের যতœ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া কথা বলেন তিনি।

কচুয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোছা. লাভলী খাতুন বলেন, কচুয়া উপজেলায় আঠারো হাজার কৃষক সুপারির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। এবার ঝড় ও লবনাক্ততার কারণে সুপারির উৎপাদন কমে গেছে। তবে যদি কচুয়া উপজেলার সীমান্তে তালেশ্বর সৃুইজ গেট থেকে লবনাক্ত পানি প্রবেশ বন্ধ করা যায় তাহলে সুপারির উৎপাদন বাড়বে।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় দাস বলেন, সুপারি এবং নারকেলের জন্য বাগেরহাট জেলা প্রসিদ্ধ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে সুপারির উৎপাদন কমে গেছে। সুপারির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বাগান কুপিয়ে গোবর সার দেওয়া যেতে পারে। এজন্য আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

যশোরে নির্বাচনী সহিংসতা নিহত টিটোর হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

যশোর অফিস
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বেতালপাড়ার আওয়ামী লীগ কর্মী খালেদুর রহমান টিটো হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জহুরপুর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
খালেদুর রহমান টিটো বাঘারপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনী সহিংসতায় বুধবার রাতে আহত হন। বৃহষ্পতিবার সকালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জহুরপুর ইউনিয়নের দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। এসময় স্থানীয় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা, ওই ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিলু পাটোয়ারী ও তার নূর মোহাম্মাদ পাটোয়ারীসহ জড়িতদের দ্রুত আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই বদরউদ্দিন, উপজেরা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইষলাম,জামদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল¬াহ রানা, প্রমুখ।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যে দিলু পাটোয়ারী ও তার ভাইসহ ১৭জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে আটকও করেছে পুলিশ।

করোনায় মারা গেলেন রথি খাঁন


যশোর অফিস
যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাসিন্দা কুদরত ই গনি খাঁন রথি মারা গেছেন। ইন্না লিল¬াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকালই তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয় বলে জানান ভাই সাংবাদিক সাজ্জাদ গনি খাঁন রিমন।
কুদরত ই গনি খান রথি ‘পাঠকের কথা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। এছাড়া তিনি ব্রোকারেজ হাউজসহ বেশকিছু ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রথি খাঁন আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন। এরপর সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতা বোধ করছিলেন তিনি। লক্ষণ থাকায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠান চিকিৎসকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব থেকে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এদিন গভির রাতেই তিনি মারা যান।
রথি খাঁন স্ত্রী, দুই সন্তান, অনেক আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
শুক্রবার ঘোপ পিলখানা জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে রথি খাঁনকে ঘোপ গোরস্থানে দাফন করা হয়।
রথি খানের বড় ভাইয়ের চলি¬শা ছিল আজ। এরই মধ্যে তার মৃত্যুতে চলি¬শার আয়োজন বাতিল করা হয় বলে জানান রিমন খাঁন।
এদিকে প্রেসক্লাব যশোরের সদস্য সাজ্জাদ গণি খাঁন রিমনের ভাই, সাপ্তাহিক পাঠকের কথার সম্পাদক কুদরত এ গণি খান রথির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি ও সম্পাদক যথাক্রমে জাহিদ হাসান টুকুন ও আহসান কবীর।
এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

যশোরে আরো ১১ করোনা রোগী শনাক্ত


যশোর অফিস
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারের পরীক্ষায় আরো ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এরা যশোর ও মাগুরা জেলার বাসিন্দা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ল্যাবে ৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮৩টির ফল নেগেটিভ এসেছে।
এদিন যশোর জেলার মোট ৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১টি পজেটিভ ফল দিযেছে। আর মাগুরার ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করে একটি পজেটিভ পাওয়া যায়। নড়াইলের পরীক্ষিত দুটি নমুনাই নেগেটিভ ফল দেয়।
পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সকালেই তিন জেলার সিভিল সার্জনদের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত যশোর জেলায় মোট চার হাজার ৫১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে চার হাজার ১৯১ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মারা গেছেন ৫২ জন। হাসপাতালে তিন এবং বাসাবাড়িতে ২৫২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

যশোরে অস্ত্রসহ যুবক আটক


যশোর অফিস
যশোর শহরতলীর চাঁচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ রাশেদুল ইসলাম রাহুল (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে একটার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক রাশেদুল ইসলাম চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. এম সারোয়ার হুসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী চাঁচড়া এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে তাকে যশোর কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

ফুলতলার বেজেরডাঙ্গা ব্লাড ব্যাংকের ক্যাম্পেইন ও মাস্ক বিতরণ


ফুলতলা প্রতিনিধি
“এসো মিলি রক্তের টানে” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ফুলতলার বেজেরডাঙ্গা ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্থানীয় বেজেরডাঙ্গা রেলষ্টেশন চত্বরে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সিহাব উদ্দিন ওমর। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব ফুলতলা সভাপতি তাপস কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেকেন্দার আলী রাজু, ইউপি সদস্য ফেরদাউস মোল্যা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, আবু সাঈদ আকাশ, আজিজুল শেখ, মুক্তার হোসেন, মফিজুর রহমান, টেকনোলজিষ্ট এস এম পলাশ, আবু সাঈদ, মুস্তাফিজুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, বশির আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। এ সময় এলাকার ৩শতাধিক সাধারণ মানুষকে ব্লাড গ্রুপিং ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।

ফুলতলায় ভোগ দখলীয় জমি জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা


ফুলতলা প্রতিনিধি
খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রামের মৃতঃ আব্দুল গনি শেখের ১১১ শতক জমি জালিয়াত চক্র বিভিন্ন কায়দায় ভুয়া কাজগপত্র তৈরী করে অন্যাত্র বিক্রির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত এক অভিযোগে জানা যায়, দক্ষিণডিহি গ্রামের মৃতঃ আঃ গনির পুত্র শেখ কাবিল উদ্দিন গং ১৯৮৫ সালে বিনিময় ও কবলা সূত্রে ১৩৮৮ নং দলিল মূলে দক্ষিনডিহির ৪নং মৌজার ৯৯০ খতিয়ানের ৮৫২ দাগের ১১১ শতক জমি ভোগ দখল করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬/৮৭ সালে নামপত্তনের মাধ্যমে জমির খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু পার্শ্ববর্তী উত্তরডিহি গ্রামের ইলিয়াজগংরা জাল দলিল ও অন্যান্য ভূয়া কাজগপত্র তৈরী করে ভোগ দখলকৃত জমি অন্যাত্র বিক্রির চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে কাবিল উদ্দিন শেখ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

“রেজা সভাপতি ও সুকুর সম্পাদক”
ফকিরহাটের লখপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি গঠন

ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ২নং লখপুর ইউনিয়ন শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মোঃ রফিকুল ইসলাম রেজা-কে সভাপতি ও এ সুকুর আলী খান-কে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধায় পিলজংগ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক শেখ ইমরুল হাসান উক্ত কমিটি ঘোষনা প্রদান করেন। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, মোঃ জাহাংগীর হোসেন ১নং সহ-সভাপতি ও মোঃ এনায়েতুল্লাহ শেখ ২নং সহ-সভাপতি এবং মোঃ জিসান শেখ-কে যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, সাধারন সম্পাদক শিরিনা আক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন-আহবায়ক সরদার আব্দুল কাদের সহ উর্দ্ধতন বিভিন্ন নের্তৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ফকিরহাট মানবন্ধন


ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাংচুর এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ফকিরহাটে সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ (পিএফজি) উদ্যোগে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় শুক্রবার সকাল ১০টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিএফজি এর উপজেলা কো-অর্ডিনেটর খান মাহমুদ আরিফুল হকের পরিচালনায় উক্ত মানবন্ধন কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিএফজি এর এ্যাম্বাসিডর শেখ আ: ছালাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজি ইসমাইল সিদ্দিক খোকন, প্রধান শিক্ষক মল্লিক আ: সাত্তার, ফকির মনিরুজ্জামান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক শেখ ফারুক হোসেন, সাংবাদিক, মান্না দে, লালন ফকির, শিউলি বেগম সোনিয়া আক্তার কারিমা, সুফিয়া বেগম, বেল্লাল খান, রুমি বেগম, মুনরা বেগম, আ: হামিদ, মিলন, শেখ শামিম প্রমূখ।

ডুমুরিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আ’লীগ নেতা সাংবাদিক জাহাঙ্গীরের গনসংযোগ

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর আলম দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন। তিনি গতকাল শুক্রবার ডুমুুরিয়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদে জুম্মার খুদবার আগে আগত মুছাল্লীদের উদ্দেশ্যে বিশ্বের মুসলিম জাহানের জানমালের হেফাজতের জন্য সকলকে ঐক্যবন্ধ থাকার আহবান জানান। সকাল ৬ টায় আরাজি ডুমুরিয়া বায়তুর নূর জামে মসজিদে ৩ দিনের তাবলিগ জামায়াতের সাথীদের বিদায়ের আগে ইসলামী আলোচনায় অংশ নেন। সাড়ে ৬ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত পূর্ব ডুমুরিয়ার গাজীপাড়া ও শেখপাড়ার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দুপুর ১১ টায় মির্জাপুর বাছাড়পাড়া, মহালদারপাড়া ও পশ্চিমপার সরকারপাড়ায় সকল শ্রেনীর মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন। রাতে সাজিয়াড়ার শৈলেন দাসের বাড়িতে গীতাপাঠের উৎসবে এবং অনিমেশ সরদারের বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন। দুপুরে পূর্ব ডুমুরিয়ায় উপজেলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন গাজীর ভাই বিল্টুর বৌভাতের অনুষ্ঠানে আগতদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জিন্নাত মোড়ল, হারুন হাওলাদার, মোজ্জাম্মেল হক মোহন, জাকির মোল্লা, জাহাঙ্গীর মোড়ল, হারুনুর রশীদ বাবু, বাধঁণ মন্ডল, সৈকত মন্ডল, নওশের সরদার প্রমুখ।

তালায় আমরা বন্ধু ও দ্য এডিটরস এর উদ্যোগে শিশু-কিশোরদের দিনব্যাপী ফিচার লিখন কর্মশালা


ইলিয়াস হোসেন, তালাঃ
সাতক্ষীরার তালায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী ফিচার লিখন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) তালা সদর ইউপি হলরুমে তালা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা বন্ধু’ ও মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল দ্য এডিটরস এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় ফিচার লেখা নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের ধারণা দেন দৈনিক ইত্তেফাকের তালা প্রতিনিধি গাজী জাহিদুর রহমান ও দ্য এডিটরস এর নির্বাহী সম্পাদক তানজির কচি।

প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রনব ঘোষ বাবলুর সভাপতিত্বে ও কোর্স কো-অর্ডিনেটর এসএম নাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, দ্য এডিটরস এর ভিডিও এডিটর রিজাউল করিম ও তালা প্রতিনিধি ইলিয়াস হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে লেখালেখি বিশেষভাবে সহায়ক। সেজন্য এই ফিচার লিখন কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এসময় প্রশিক্ষণে ২৫জন শিশু-কিশোর অংশ নেন।

ঝিনাইদহে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম (পাভেল) ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে যুবলীগ নেতা বাসের আলম সিদ্দীকির নেতৃত্বে সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হাটগোপালপুর এলাকা থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও তার সফর সঙ্গীদের ৫ হাজার মোটর সাইকেলের শোভাযাত্রার মাধ্যমে অভ্যার্থনা জানানো হয়। পরে যুবলীগের আয়োজনে শহরের মুজিব চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম (পাভেল), জেলা যুবলীগের আহবায়ক আশফাক মাহমুদ জন, যুবলীগ নেতা বাসের আলম সিদ্দিকী, সদর থানা যুবলীগের আহবায়ক শাহ্ মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল রাজাসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি’র আদর্শ বুকে লালন করে যুবলীগকে সুসংগঠিত করে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

শৈলকুপায় আফতাব উদ্দিন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চশমা প্রদান


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের শৈলকুপার পিড়াগাতি গ্রামের আফতাব উদ্দীন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেড় শতাধিক চক্ষু রোগিকে বিনামূল্যে চশমা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার পিড়াগাতি গ্রামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আফতাব উদ্দীন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, এলাকার নারী পুরুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে চশমা প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও সমাজ সেবক আলমগীর হোসেন। উল্লেখ্য, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আফতাব উদ্দিন স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকার স্বাস্থ্যসেবা সহ সকল প্রকার উন্নয়ণমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন।

সিপিবি, বাসদ, ইউসিবিএল, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি, মুক্তি কাউন্সিল-এর পক্ষ থেকে কমরেড আজিজুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন


খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য, আজীবন মার্কসবাদী কমিউনিস্ট নেতা, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, খুলনা জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক, গণমানুষের সংগ্রামী নেতা কমরেড আজিজুর রহমান আজিজ (৭৬) গত ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১টায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন খুলনার বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেনÑবাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ, সাধারণ সম্পাদক এড. এম এম রুহুল আমিন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলÑবাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়কারী জনার্দন দত্ত নাণ্টু, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় পরিষদ সদস্য ও খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, সদস্য সচিব মারুফ গাজী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সমরেশ রায়, সম্পাদকম-লীর সদস্য মোস্তফা খালিদ খসরু, কাজী দেলোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান মিঠু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য মোজাম্মেল হক খান, সিপিবি মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় বিকল্প সদস্য গাজী নওশের আলী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল খুলনা সভাপতি সুভাষ সাহা, সম্পাদক এম হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

ব্যক্তিমালিকানাধীন জুটমিল শ্রমিকদের বকেয়া পওনা পরিশোধ সহ ৬ দফা দাবিতে ফেডারেশনের গণমিছিল অনুষ্ঠিত

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
নগরীর শিরোমণি ও মিরেরডাঙ্গা শিল্পাঞ্চলের বন্ধকৃত ব্যক্তিমালিকানাধিন মহসেন, সোনালী, এ্যাজাক্স, জুট স্পিনার্স, আফিল জুট মিলসহ সকল কলকারখানার শ্রমিক কর্মচারিদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও বন্ধকৃত কলকারখানা চালু সহ ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে বেসরকারি পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের পুর্বঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকাল ৪ টায় ফুলবাড়ীগেট জনতা মার্কেট এর সামনে থেকে গণমিছিল বের করে শ্রমিকরা । মিছিলটি খুলনা যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট এলাকার গুরুত্বপুর্নসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত পথ সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয় । বেসরকারি পাট ,সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের এর সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও শ্রমিক নেতা ওবায়দুর রহমান এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন , সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্বারী আছহাব উদ্দীন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, লিয়াকত মুন্সি, সেকেন্দার আলী, মোঃ বক্তিয়ার, নিজামউদ্দিন, মোঃ কাবিল হোসেন, আব্দুল ওহাব, বাবুল হোসেন, ফারুক চোকদার, আলাউদ্দিন,সাংবাদিক সাইফুল্লাহ তারেক , সাংবাদিক মিহির রঞ্জন বিশ^াস প্রমুখ। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের আশ্বাসে ভিত্তিতে নির্ধরিত কর্মসূচী ভুখা মিছিল , রাজপথ , রেলপথ অবরোধ কর্মসুচি স্থগিত করে । আমাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষে ধারাবাহিক ভাবে কর্মসুচি পালন করে আসছি । শ্রম পরিচালকের আশ্বাস অনুযায়ি ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যে শ্রমিকদের ৬ দফা দাবি আদায়ের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে ঐ দিন ফেডারেশনের বৈঠক থেকে কঠিন কর্মসুচি ঘোষনা করা হবে। এছাড়া আগামি ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিকাল ৩ টায় সংগঠনের পক্ষ থেকে এ্যাজাক্স শ্রমিক কলোনিতে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও শ্রমিকসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ ।

শিরোমনি বাজারে ময়লার স্তুপের দুর্গন্ধে কলেজ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তী

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
শিরোমনি বাজার যেন এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে স্বাভাবিক সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পচা দূর্গন্ধে ঘটছে বায়ুদূষণ,স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন এলাকাবাসি স্থানিয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলা ও উদাসীনতার কারনে বাজারের সুইপার ও ব্যাবসায়ীরা যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। যা দিনের পর দিন স্তুপ হিসেবে জমা থাকে। এদিকে, সুইপাররা ময়লা আবর্জনা ফেলে যাওয়ার পর সেগুলোতে টোকাইদের নাড়াচাড়া ও কুকুরের খাবার খোঁজায় দুর্গন্ধ আরো চরম আকার ধারণ করে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে বাজার করতে আসা ক্রেতা সাধারণ। পার্শ্ববর্তী খানজাহান আলী কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা সাধারণ একাধিকবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী জনসাধারণ । সরেজমিনে দেখা যায়, খানজাহান আলী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সিমানা প্রাচীর ঘেষে বাজারের টয়লেট, চারপাশে ময়লা-আবর্জনা, জবাই করা পশুর মলমুত্র, দুর্গন্ধযুক্ত স্তুপের কারণে বাজারের সুস্থ পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। বাজারের ব্যাবসায়িদের অভিযোগ, ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে । ফলে বাজার করতে আসা ক্রেতা সাধারনের নাক ঢেকে শ্বাস বন্ধ করে বাজার করতে হয় । বাজার বনিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন ময়লা ফেলার জায়গার নির্দিষ্ট স্থান না থাকার কারনে দির্ঘদিন ধরে এমনটা হয়ে আসছে। তিনি আরোও বলেন কেডিএ কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে পূর্বে জানানো হয়েছে, আবারো আমরা বাজার বনিক সমিতি লিখিতভাবে কেডিএ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির নিরসনে জন্য জানান হবে। এ সমস্যা সমধানে লক্ষে কেডিএ চেয়ারম্যান এর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী বাজার ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণগণ।

এস.এম. মুশফিকুর রহমানের সংবর্ধনা সভা সফল করতে মহানগর জাতীয় পার্টির ৬টি থানার জরুরী আলোচনা সভা


খবর বিজ্ঞপ্তি
আগামীকাল এস.এম. মুশফিকুর রহমানের সংবর্ধনা সভা সফল করতে জাতীয় পার্টি খুলনা মহানগরের ৬টি থানার উদ্যোগে খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল কবির সাদীর সভাপতিত্বে জরুরী আলোচনা সভা গতকাল শুক্রবার বিকালে ডাকবাংরাস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে- মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর থানা আহ্বায়ক তৈমুর হোসেন শাহিন, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক ও দৌলতপুর থানা আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম সেলিম, খালিশপুর থানা আহ্বায়ক শরিফ মোঃ শাহজাহান, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক ও খানজাহান আলী থানা আহ্বায়কএস এম আনিসুর রহমান, আড়ংঘাটা থানা আহ্বায়ক রাসেল হোসেন, থানা সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম আজাদ, শেখ দেলোয়ার হোসেন, মকিম হোসেন মৃধা, শহিদুল কাদির উৎসব, কাজী হাসানুর রশিদ রাসেল, সেলিম শিকদার, নগর জাপা নেতা আসলাম শেখ, আবু আছালাত মোড়ল, আব্দুল মান্নান, মনির হোসেন, খায়রুল আলম মিলন, আব্দুর রশিদ, জান মোহাম্মাদ, মোঃ শামীম, মোঃ রশিদ প্রমুখ। সভায় আগামীকাল রবিবার সকাল ১০.০০ টায় ডাকবাংলাস্থ দলীয় কার্যালয়ে এস.এ.মুশফিকুর রহমানের সংবর্ধনা সভা সফল করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।


যশোরে মারপিট ও টাকা ছিনতাই ঘটনায় মামলা ধৃত-১


যশোর অফিস
মন্দিরের বারান্দায় গাঁজা সেবন করতে নিষেধ করায় সংঘবদ্ধ গাঁজা খোরেরা মিঠুন দেবনাথ (৩০) নামে এক যুবককে গতিরোধ পূর্বক মারপিট করে নগদ ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ গাঁজাখোর সন্ত্রাসী হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার জংগল বাধাল গ্রামের মৃত আবু হানিফ মোল্যার ছেলে।
যশোর সদর উপজেলার জংগলবাঁধাল গ্রামের জিতেন দেবনাথের ছেলে আনন্দ দেবনাথ শুক্রবার ১১ ডিসেম্বর সকালে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ওই এলাকার বিষ্ণু দেবনাথের ছেলে চন্দন দেবনাথ, শহিদুল ইসলামের ছেলের রাশেদ ও মৃত আবু হানিফ মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন এলাকার পূজা মন্দিরের বারান্দায় গাঁজা সেবন করে। মন্দিরে গাঁজা সেবন করতে মিঠুন দেবনাথ নিষেধ করায় গাঁজা খোরেরা সংঘবদ্ধ হয়ে মিঠুন দেবনাথকে মারপিটের সুযোগ খুঁজতে থাকে। ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মিঠুন দেবনাথ তার মোটর সাইকেল যোগে জংগল বাধাল স্কুল মাঠ হতে বাড়ি ফিরছিল। সকাল সাড়ে ৯ টায় জংগলবাঁধাল গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার বাড়ির উত্তর পাশের্^ মাটির রাস্তায় পৌছালে উক্ত আসামীরা তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় চন্দন দেবনাথ মোটর সাইকেল থেকে মিঠুন দেবনাথকে বাধ্য করে মারপিট শুরু করে। চন্দন দেবনাথের সহযোগী রাশেদ ও হাফিজুর রহমানসহ তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা লোহার রড দিয়ে মারপিট পূর্বক চন্দন দেবনাথ পকেটে থাকা নগদ ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় লোকজন ঘটনা দেখে এগিয়ে আসলে মিঠুন দেবনথেকে ছেড়ে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।

যশোরে বাই সাইকেল চুরি: আটক ১


যশোর অফিস
মসজিদের ইমামের বাইসাইকেল নামাজ আদায়ের সুযোগে চুরি করে পালাবার সময় উক্ত ইমামসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চোর হানিফ হোসেনকে স্থানীয় লোকজন ধর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ইসহাক আলী হাওলাদারের ছেলে।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের আরজ আলীর ছেলে বর্তমানে যশোর কাশিমপুর উত্তর পূর্ব পাড়া মসজিদের ইমাম আব্দুল মোমিন বৃহস্পতিবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৫ টায় তার নিজস্ব সবুজ রংয়ের হিরো বাইসাইকেল যার মূল্য ৮ হাজার টাকা । তিনি উক্ত সাইকেল কাশিমপুর উত্তর পূর্ব পাড়া মসজিদের বারান্দায় তালা মেরে মাগরিবের নামাজ পড়াতে যায়। নামাজ পড়ানো শেষ করে ৫ টা ৫৫ মিনিটে বারান্দায় এসে দেখে তার রাখা বাইসাইকেল নেই। তিনি স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে সন্ধ্যায় সোয়া ৬ টায় নওয়াপাড়া ইউপি মধুগ্রামস্থ জনৈক জিল্লুর রহমানের মুদী দোকানের সামনে অবস্থানের সময় হঠাৎ দেখতে পান উক্ত ইমাম পরিষদের বাইসাইকেলটি চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য হানিফ হোসেন দ্রুত চালিয়ে আসতে। ইমাম আব্দুল মোমিসহ স্থানীয় লোকজন চলন্ত সাইকেল থেকে হানিফ হোসেনকে আটক করে কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করলে থানা থেকে পুলিশের একটি টিম যেয়ে বাইসাইকেলসহ হানিফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। ও তার কাছে থাকা বাইসাইকেল হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে শুক্রবার সকালে হানিফ হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করে।

গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


খবর বিজ্ঞপ্তি
শুক্রবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি, খুলনা জেলা শাখার এক আলোচনা সভা নিজস্ব কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি ডাঃ এস এম সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২ ডিসেম্বর শনিবার হতে আগামী ২৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ০৯ মাস হতে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে। টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সকল গ্রাম ডাক্তারগণ তাদের স্ব-স্ব এলাকার মানুষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়। সভায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ও মহান বিজয়ের মাসের তাৎপর্য আলোচনা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এ সময়ে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑসংগঠনের সহ-সভাপতি ডাঃ এম এ রশিদ, ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, ডাঃ মাহফিজুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ এইচ এম আবুল বাশার, সহ-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ রিয়াজুল কামাল, ডাঃ আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ জহুরুল হক, অর্থ সম্পাদক ডাঃ এস এম এমদাদুল হক, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ এ জেড এম কামরুল হাসান, প্রচার সম্পাদক ডাঃ মোঃ হোসেন আলী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ ফজলুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডাঃ সৈয়দ আলী হাফিজ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সম্পাদক শেখ আলতাফ হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজমা আকতার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওঃ ডাঃ এম এ জামান আজাদী, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ হাবিবুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মাওঃ সাইদুর রহমান, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ তারেুল আলম চৌধুরী, ডাঃ মোঃ অহিদুর রহমান সরকার, ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, ডাঃ সুজিত ঢালী শান্ত, ডাঃ সরদার আবু ইছা, রূপসা উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আতাউর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলার ডাঃ আঃ জলিল, বটিয়াঘাটা উপজেলা সভাপতি ডাঃ গোলাম হোসেন, পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি ডাঃ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বুধহাটা রামদেবকাটির ভূমিহীন বিধবা পুস্পরানী সরকারি গৃহ পাওয়ার আকুতি

আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের রামদেবকাটি গ্রামের ভূমিহীন বিধবা পুস্পরানী সরকারি গৃহ পেতে আকুতি জানিয়েছেন।
রামদেবকাটি গ্রামের মৃত ফটিক চন্দ্র দাশ পাগল প্রকৃতির ছিলেন। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করেছেন। সম্বল বলতে ছিল তাদের এক টুকরো (৪ শতক) বসবাসের জমি। স্বামী-স্ত্রী মিলে অন্যের বাড়িতে জন মজুর খেটে কোন রকমে খোলা (টালি) দিয়ে ছাউনি একটি মাটির ঘর করেছিলেন। ৮ বছর আগে ফটিক মারা যায়। সেই থেকে ছোট্ট একটি হাবলা প্রকৃতির পুত্র ও এক কন্যাকে নিয়ে সংসারের ঘানি টানতে টানতে হিমশিম খেয়ে আসছে বিধবা পুস্পরানী। মেয়েটিকে অর্থ ভিক্ষা ও ঋণ করে বিয়ে পিঁড়িতে বসিয়েছে। ছেলেটি তেমন ভাল কাজ করতে না পারায় কর্মহীন থেকে এসেছে। বর্তমানে মাছের সেটে কম মজুরির শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে। অন্যের বাড়িতে ও ক্ষেতে শ্রমিকের কাজ করে পুস্পরানী সংসারের খরচ মিটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই স্বামীর বেধে যাওয়া ঘরটি আর মেরামত করতে পারেনি। ঘরের মাটির দেওয়াল দুর্বল, খুটির অবস্থাও শোচনীয়। খোলার ভার সইতে না পারা চালের বাঁশের ফ্রেম অনেক স্থানে বসে গেছে। বৃষ্টির সময় ঘরের মধ্যে পানি ঢোকে। বিভিন্ন স্থানে খুঁটি দিয়ে পেলা দিয়ে ঘরটি টিকিয়ে রাখা হলেও ঝড়-বর্ষার দিনে যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। ভূমিহীন, বিধবা পুস্পরানীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার একটি গৃহ নির্মানের ব্যবস্থা করার আকুল আকুতি জানানো হয়েছে। মাননীয় জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সুনজর কামনা করেছেন পুস্পরানী দাশ।

অভিবাসীদের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে হবে : রাবাব ফাতিমার


ঢাকা অফিস
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, অভিবাসী ও তাদের পরিবারবর্গকে বিশ্বব্যাপী ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে হবে। শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানা যায় ।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ কালে অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে প্রদত্ত উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন । সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসমূহের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন (আইএফআরসি), আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগাল ও মরক্কো মিশন এবং ফ্রেন্ডস অভ মাইগ্রেশন গ্রুপ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বর্তমানে ফ্রেন্ডস অভ মাইগ্রেশন গ্রুপের কো-চেয়ার।
সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পরিধির প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বিবেচনায় নিয়ে কোভিড-১৯ এর টিকায় সবার সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১তম বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানানোর উলে¬খ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা নাজুক পরিস্থিতিতে পতিত অভিবাসীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের টিকা, ঔষধ ও সরঞ্জামাদির সহজলভ্যতা নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পুনরায় এ আহ্বান জানান।
এছাড়াও বিশ্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পরিধির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নাজুক পরিস্থিতির শিকার অভিবাসীদের সেবাপ্রদান ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। করোনাজনিত কারণে লাখ লাখ অভিবাসী ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘গত জুন মাসে গৃহীত ‘অভিবাসীদের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক যৌথ বিবৃতিতে সহ-নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ। ১০৩টি দেশ এই নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন ব্যাক্ত করে। বিবৃতিটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে জাতীয় ও স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা নীতি এবং পরিকল্পনায় অভিবাসীদের স্বাস্থ্য চাহিদার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। করোনা মোকাবিলা ও পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাতে অভিবাসী এবং বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসীদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লে¬খ করেন।
অভিবাসনের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবান অভিবাসীই কর্মক্ষম অভিবাসী’। তিনি আইওএম, আইএফআরসি ও ডবি¬উএইচও-কে এ বিষয়ক উত্তম অনুশীলন ও নীতিসমূহ পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও, সর্বত্র অভিবাসীদের অধিকার, কল্যাণ ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে তাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বর্ণবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ ও অসহিষ্ণুতা মোকাবিলার জন্য সুদৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছার আহ্বানও জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।সভায় অন্যান্যের মধ্যে আইএফআরসি’র সভাপতি ও আইওএম এর মহাপরিচালক বক্তব্য রাখেন ।

বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে : জয়ের আশাবাদ


ঢাকা অফিস
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল নেতা হবে। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যোগ দিয়ে এক ওয়েবিনারে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস বাংলাদেশ আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অন্যতম প্রধান নেতা হতে চলেছে। আমরা কেবল আশা করি না বরং আমরা পরিকল্পনা করি এবং আমরা বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রধান নেতা হওয়ার বিষয়ে আকাঙ্খা পোষণ করছি।’ আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০-এর অংশ হিসাবে ‘এমব্রেইসিং ডিজিটাল টেকনোলজিস ইন নিউ নর্ম’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারটি আয়োজন করে। জয় বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এটি সম্পূর্ণ সম্ভব। এটি কেবল স্বপ্ন নয়, এটি সম্ভব। আমরা জানি না পরবর্তী বড় প্রযুক্তিগুলো কী কী হতে চলেছে। তবে, আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে এর মধ্যে কয়েকটি প্রযুক্তি বাংলাদেশ থেকে আসবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের সক্ষমতা আছে। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে আমরা এটি করতে পারি। আমরা এখন ভবিষ্যতের প্রযুক্তির পরবর্তীর্ চ্যাপ্টার এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে প্রযুক্তি আনার পরিবর্তে এখন পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে চায়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উৎসাহের কেন্দ্র গড়ে তুলছি। আমরা কেবল অন্যের প্রযুক্তির উপর নয়, গবেষণার দিকে মনোনিবেশ করছি। আমরা পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তির অন্যতম নেতা হতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, এ বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে সরকার আইসিটি খাতের উন্নয়নের জন্য কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই, ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অফ থিংস, ন্যানো প্রযুক্তি, বায়োটকনোলজি, রোবোটিকস ও মাইক্রোপ্রসেসর এবং সফ্টওয়্যার ডিজাইনিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
সাইবার সুরক্ষা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন সাইবার সুরক্ষা আইন আছে। আমরা সাইবার সিকিউরিটি সেল এবং জাতীয় মনিটরিং সেল স্থাপন করছি। এই সব উদ্যোগ আমাদের দেশে অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।’
আইসিটি সেক্টরে উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে ডিজিটাইজেশনের ফলে সময় ও দূরত্ব এখন আর ফ্যাক্টর নয়। তিনি ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ওয়েবিনারে যোগ দিয়েছেন এবং অনেকে বিভিন্ন দেশ থেকে যোগ দিয়েছেন।
জয় বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন আইসিটি খাত অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বিভিন্ন দেশের আইসিটি বিষয়ক মন্ত্রীগণ এতে যোগ দেন।

বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতাতেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননার মত অপরাধ করেছে : সেতুমন্ত্রী


ঢাকা অফিস
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আস্কারা, প্রশ্রয় আর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননার মত ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন ধর্মীয় ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং দেশের প্রতিটি বিভাগীয় সদর দপ্তরে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। ‘গণতন্ত্রহীনতায় উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, আবার তারা গণতন্ত্রের কথা বলে? এদেশে উগ্রবাদের উত্থান ঘটে বিএনপির হাত ধরেই।
বিএনপি মহাসচিবের প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলা ভাই, সায়েখ আবদুর রহমান কাদের সৃষ্টি? সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে করা হয়েছিলো? ময়মনসিংহের অলকা, ছায়াবানী, পূরবী ও অজান্তা সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে হয়েছিলো?
বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের আমলে নাকি দেশে গণতন্ত্র ছিলো, এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে বিএনপির আমলে উগ্রবাদ কিভাবে সৃষ্টি হলো?
বিএনপিই ক্ষমতায় টিকে থাকতে আর দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে ধর্মীয় উগ্রবাদের সৃষ্টি করেছিলো জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উগ্রবাদীদের লালন পালন কওে সে বিষবৃক্ষকে বড় করেছে বিএনপি।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে নাকি কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুখে মানবাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী জেনে শুনে, যাচাই বাছাই করে মনোনয়ন দিতে হবে। যারা আগে বিদ্রোহ করেছে,দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে তাদের নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর অনুরোধ করছি। পিছনে থেকে এমপি,মন্ত্রী ও জেলা এবং কেন্দ্রীয় কোন নেতা যদি বিদ্রোহ প্রার্থীদের মদদ দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও দল কঠিন সিদ্ধান্ত নিবে বলেও জানান তিনি।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়ার আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যপি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে বদলে দিয়েছে জীবন প্রবাহ,জীবনের চলমান ধারা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, কোথাও কোথাও তৃতীয় ঢেউ আঘাত আনছে। বাংলাদেশে অতিসম্প্রতি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার আবার উর্ধ্বমূখী হতে চলেছে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়তে হবে।
এসময় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনায় করোনা রোগীর চাপ বৃদ্ধি: চিকিৎসক ও ওষুধ সংকট


স্টাফ রিপোর্টার
শীতের শুরুতে খুলনায় বাড়ছে করোনার প্রভাব। প্রতিদিনই খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্নার ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে বাড়ছে করোনা রোগী। রোগীর চাপ সামলাতে ইতোমধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবনে প্রত্যাশিত লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট চালুর প্রক্রিয়া চলছে। তবে সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি এবং ওষুধের সংকট রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
খুলনায় প্রধানত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা রোগীর সেবা দেওয়া হয়। করোনার প্রথম দফায় ৩৯তম বিসিএস এর মধ্যে দিয়ে খুলনায় ২৪ জন চিকিৎসক যোগ দেন। কিন্তু চিকিৎসা দিতে গিয়ে অসুস্থতা ও চিকিৎসকদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা মা থাকায় তাদের অনেককে কাজে লাগানো যাচ্ছে না । জরুরি মুহূর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক এনে সেবা চালানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্নার ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত কয়েকদিনে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত সপ্তাহে ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা কম ছিল। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট এবং কমপ্রেসড এয়ার মেশিন না থাকায় করোনা রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থাকলেও তা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। ফলে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জানা গেছে, করোনা রোগীর নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য সরকার সারাদেশে জরুরি ভিত্তিতে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালেও এ প্লান্ট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খুলনার এ দুটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট এখনও স্থাপিত হয়নি। এ কারণে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর করোনার চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দিঘলিয়ার এক রোগীর স্বজন মো. বাবু জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা তার বাবার শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তবে হাসপাতালে আসার পর অক্সিজেন দেওয়ায় কিছুটা ভালো হয়। সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে আসা মো. ফাহিম জানান, তার নানি করোনা পজিটিভ হওয়ায় ফ্লু-কর্নারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। ফ্লু-কর্নারের দায়িত্বে থাকা মো. জুম্মান বলেন, ‘এখানে সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত আছে।’ ফ্লু-কর্নারের দায়িত্বপ্রাপ্ত খুলনা মেডিক্যাল কলেজের আরএমও ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতের শুরুতে করোনা রোগী কিছুটা বেড়েছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে যেসব রোগী ফ্লু-কর্নারে আসছেন, তাদের সংখ্যা বাড়লেও করোনা পজিটিভের সংখ্যা খুব বেশি বাড়েনি।’ তিনি বলেন, ‘এখানে অক্সিজেন সংকট আছে। লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করতে পারলে এ সমস্যা দূর হবে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘আমাদের ভেন্টিলেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কমপ্রেসড এয়ার মেশিনও এখানে নেই। বর্তমানে ভেন্টিলেটর চালানো হচ্ছে সিলিন্ডার অক্সিজেনের মাধ্যমে। কমপ্রেসড এয়ার মেশিন স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসিয়েশন, খুলনার সাধারণ সম্পাদক খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানিয়েছেন, খুমেক হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট ডিসেম্বরে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। এ প্লান্ট স্থাপন হলেই খুমেক হাসপাতালের ফ্লু কর্নারের দোতলায় ৪০ বেডের আইসিইউ স্থাপন করা হবে। করোনার শুরুতে খুলনায় এ সংখ্যা ছিল ১০টি। তিনি বলেন, ‘খুলনায় এখন করোনা চিকিৎসার জন্য ২৯টি হাই ফ্লো রয়েছে। শুরুতে এ সংখ্য ছিল ১০টি। আর অক্সিজেন সাপোর্ট বেড রয়েছে ২৪টি। করোনার শুরুতে খুলনায় এ সাপোর্ট ছিল মাত্র ১০টি।’

ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সজাগ রয়েছেন। এ কারণে সারাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর বিশেষ নজর দিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় খুলনায়ও করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।’ ডা. নেওয়াজ আরও বলেন, ‘যেহেতু খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হচ্ছে, এ কারণে করোনা চিকিৎসায় এখানে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। যদি গতবারের থেকে রোগী বাড়ে, তাহলে দুই জায়গায় একই চিকিৎসক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ জন চিকিৎসক প্রয়োজন হবে। এছাড়া সদর হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় আলাদা শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে আরও ২০ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে। সব মিলিয়ে আরও ৩৫-৪০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হলে ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।’ খুলনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘দ্বিতীয় দফার করোনা মোকবিলার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে এবং প্রথম দফায় করোনা প্রতিরোদের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগানো হবে।’ চিকিৎসকরা জানান, স্বাস্থ্যগত ক্ষেত্রে করোনা রোগীর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা ও অক্সিজেন সিলিন্ডার যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট রয়েছে। সেইসঙ্গে ওষুধের ঘাটতিও রয়েছে। সরকারিভাবে করোনা চিকিৎসায় ওষুধ সরবরাহ করা হলে রোগীদের কাছে চিকিৎসাসেবা সাশ্রয়ী হয়ে আসবে। তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হলেও এখনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিকে, খুলনার প্রত্যন্ত এলাকায় করোনা চিকিৎসাসেবায় অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক ও হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা স্থাপনের কাজ চলছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ‘প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে জরুরি সেবা দিতে উপজেলা পর্যায়ে অক্সিজেন ব্যাংক, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা স্থাপন করা হচ্ছে। করোনা পরবর্তী সময়ও এই স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত থাকবে। এরই মধ্যে দাকোপ ও ডুমুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবা চালুর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাকি উপজেলাতেও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চালুর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।’

ঘুমের মধ্যেই পুড়ে অঙ্গার হলো ছোট্ট শ্রাবন্তি


নড়াইল প্রতিনিধি
নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পুড়ে অঙ্গার হয়েছে শ্রাবন্তি (৫) নামে এক শিশু। নড়াইলের কালিয়ায় বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে তার মৃত্যু হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রাজাপুর গ্রামে মিশান শেখের বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকা-ে একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শ্রাবন্তি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইন্দুরহাটী গ্রামের হেকমত শেখের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, শ্রাবন্তী বৃহস্পতিবার সকালে তার মায়ের সঙ্গে রাজাপুর গ্রামে নানা মিশান শেখের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওইদিন রাতে শ্রাবন্তিকে ঘুম পাড়িয়ে মা শাহিনুর বেগম অন্যদের সঙ্গে পাশের একটি ঘরে টিভি দেখছিলেন। রাত ১০টার দিকে বাতাসে পোড়া গন্ধ ছড়ালে শাহিনুর বেগমসহ বাড়ির লোকজন টিভির ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন আগুনে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় ওই ঘরে ঘুমিয়ে থাকা শ্রাবন্তিও পুড়ে মারা যায়। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কালিয়া আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম মো. মমিনুর রহমান বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, বিদ্যুতের অয়ারিংসহ বসতঘরটি পুড়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকা-ের সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব না। তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকা-ের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মোড়েলগঞ্জের হোগলাবুনিয়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের হোগলাবুনিয়ায় ইউনিয়নে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বসে প্রায় শতাধিক রোগী দেখছেন খুলনার নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতালের ৬ জন এমবিবিএস চিকিৎসক। শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার হোগলাবুনিয়ার নোমরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা গ্রহন করেছেন সাধারণ মানুষ। এ সময় হোগলাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আকরামুজ্জামান, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বাক অধ্যাপক শামীম আহসান মল্লিকসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ আহ্বায়ক চিকিৎসকদের ফুল দিয়ে বরন করে নেন।

বিজয়ের মাসে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত দেশের জনগন সফল হতে দিবে না: বাবুল রানা

খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা স্বাধীনতা এ মাসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভূলন্ঠিত করেছে । দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বালাদেশের জনগনের স্বপ্নের পদ্মা সেতরু কাজ যখন সম্পন্ন হচ্ছে তখন স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপি দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য দেশে নতুন ইস্যু তৈরি করেছে। বিজয়ের মাসে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত এ দেশের জনগন সফল হতে দিবে না। তবে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে দেশের জনগনকে সাথে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করবে। দেশের প্রত্যেকটা স্থানে আওয়ামী লীগ দেশের জনগনকে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী মিনহাজউজ্জামান সজল এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ওয়ার্র্ডের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন শেষে প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়। ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটোর পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল সিংহ রায়, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মোস্তাফিজুর রহমান মন্টু, রতন মিত্র, কামরুল ইসলাম, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, জব্বার আলী হীরা, বিপ্লব সাহা , রাজিব সাহা, মো. সাইফুল ইসলাম, রনবিড় বাড়ই সজল, আসাদুজ্জামান বাবু, প্রনব চত্রবর্তী, এম এ হোসেন সবুজ, সুমন ইসলাম, হাফিজুর রহমান, বাপ্পি রায়, মানিক শীল, বাবু শীল, রবিন দাস, সেতু সাহা, শ্যামল দত্ত, কমল দে, মো. ফয়সাল, মাসুমুর রশীদ, আশীয় সাহা, গোপাল দত্ত, আনোয়ার হোসেন, অশীম শীল প্রমুখ।