মহানগর আ’লীগের বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই দায়িত্ব পালনে কখনও অবহেলা করি নি। জীবন বাজি রেখে শেখ হাসিনার নির্দেশিত কাজ সম্পন্ন করবো। তিনি আরো বলেন, দলের নির্বাহী প্রধানরা নীতিগত ভাবে রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য কাজ করলে সব ধরনের উন্নয়ণ করা সম্ভব। সেকারনেই মহানগরীতে কোন সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমি দস্যু মাথা চাড়া দিতে পারছে না। রাজনৈতিক অঙ্গিকারের কারনে খুলনায় সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমি দস্যু দমন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে অশান্ত করতে অপপ্রচার করে নানামূখী ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ওই সকল ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোর্পদ করতে হবে। তিনি পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যান সুন্দরভাবে স্থাপিত হওয়ায় প্রধান মন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি উন্নয়নের মহাসড়কে অংশ গ্রহণ করার জন্য খুলনার সকল স্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান।

এসময়ে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করে দলের যে গুরু দায়িত্ব অর্পন করেছেন আমি জীবন দিয়ে হলেও সে দায়িত্ব পালন করে যাবে। আমি কোন মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অনুপ্রবেশকারীর সাথে আপোষ করবো না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালনের মধ্যদিয়ে ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে একটি যুগোপযোগী সংগঠন তৈরী করে যাবো।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, নুরইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক এনাম, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, রফিকুর রহমান রিপন, শেখ মোশাররফ হোসেন, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, এস এম আকিল উদ্দিন, মো. আমির হোসেন, মো. মোতালেব মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, মীর বরকত আলী, এ কে এম শাজাহান কচি, মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ জাহিদ হোসেন, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. মোতালেব মিয়া, মো. জাকির হোসেন, হাসান ইফতেখার চালু, এমরানুল হক বাবু, কামরুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ টুটুল, শেখ আব্দুল কাদের, মো. শফিকুর রহমান, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, জেসমিন সুলতানা শাম্মি, আইরিন চৌধুরী, নাসরিন সুলতানা, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, মেহেদী হাসান, সুজন, মাহমুদুর রহমান রাজেস, সৈয়দ শাহারিয়র রাহুল, ওমর কামাল, ফেরদৌস নিশাত অনি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।