গিলাতলায় রাস্তার বেহাল দশা, নেই পানি নিষ্কাশনের ড্রেন: প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

3

 ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি

খানজাহান আলী থানার আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড এলাকার চলাচলের রাস্তা দুইটির বেহাল দশা এবং বৃষ্টির মৌসূমে পানি নিষ্কাশনের জন্য উপযুক্ত পাকা ড্রেন না থাকায় নিচু জমি এলাকার ঘরবাড়ী তলিয়ে  সাধারণ মানুষের বসবাসের অনুযোগী হয়ে পড়ে। দির্ঘদিন ধরে গুরুত্বপুর্ন এ রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে কার্পেটিং ওঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দে, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর পানি জমে থাকে, জমে থাকা পানি উপযুক্ত ড্রেনের অভাবে নিষ্কাশন হতে পারে না, বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের এই পথে চলতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে,রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্দ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। চরম ভোগাািন্ততে পড়তে হয়  গ্রামের চলাচলরত হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও সকল প্রকার যানবাহন, আর তখনি ঘটে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।

 দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর গিলাতলা ইউনিয়নের বসবাসরত খেটে খাওয়া মানুষ বৃষ্টির মৌসূমে হাটু পানিতে রাত যাপন করতে হয়। ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পাকার মাথা হতে সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আব্দুর রউফ এর বাড়ীর পাশ দিয়ে গাজী পাড়া রোড় খেয়া ঘাট সহ গাজী মেছের আহম্মেদ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬নং ওয়ার্ডের পালপাড়া রোড থেকে বারাকপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে ভ্যান চালকেরা নিজেরা চাঁদা তুলে ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে খানা খন্দে ভরা সড়কটি মেরামত করলেও বর্তমানে গুরুত্বপুর্ন এ সড়কটি দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না।  

 রাস্তাটি প্রায় ১২ বছর পূর্বে কার্পেটিং দেয়ার পর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার উপর পানি জমে  রাস্তটি খানাখন্দে ভরে গেছে। উক্ত রাস্তাটি দির্ঘ্যদিন ধরে  চলাচলের অনুপযোগী হলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এব্যাপারে গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলামকে বারবার তাগিদ দেয়া সত্বেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি বলেন গিলাতলা এলাকায় কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কাজ ইতি মধ্যেই করা হয়েছে,বাকী সড়কগুলির ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করানো হয়েছে, বরাদ্দপেলে অতিদ্রুত বাকী সড়কগুলির কাজ সম্পন্ন করা হবে।