অ্যালোভেরার স্বাস্থ্য উপকারিতা

5
Spread the love

মিলি রহমান

ত্বক আর চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। বাহ্যিক ব্যবহারের পাশাপাশি যদি রান্নায় বা পানীয়ে সরাসরি অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আরও বেশি উপকার পাবেন। অ্যালোভেরায় সামান্য গন্ধ থাকলেও এর আলাদা কোনো স্বাদ নেই। তাই উপকার পেতে ডায়েটে রাখতে পারেন একে। অ্যালোভেরার রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ-

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: অ্যালোভেরা মানেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার অন্যতম উপাদান পলিফেনল রয়েছে এর মধ্যে। তাই সরাসরি এর রস ব্যবহার করলে বা ডায়েটে থাকলে আপনার চুল হবে রেশম কোমল।

হজমশক্তি বাড়ায়: হজমশক্তি বাড়াতেও সিদ্ধহস্ত অ্যালোভেরা। ডি.কে পাবলিশিং হাউসের হিলিং ফুড বইতে আছে, এর মধ্যে থাকা ল্যাক্সেটিভ উপাদান পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফলে, খাবার হজম হয় দ্রুত। একই সঙ্গে এটি অন্ত্রের খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমায় এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। এতে স্বাভাবিকভাবেই হজমক্ষমতা বাড়ে।

ওজন কমায় দ্রুত: এর রসে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লমেটারি এবং ডিটক্সিফাইং উপাদান। ফলে, অ্যালোভেরার রস মানেই শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়ে তরতাজা আপনি। পেট পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে হজমশক্তি বাড়ালেই দ্রুত ঝরবে মেদ। একই সঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

কীভাবে ডায়েটে থাকবে অ্যালোভেরা:

১. জুস বানিয়ে: সবচেয়ে সহজ উপায় হল যদি পানীয় হিসেবে অ্যালোভেরার রসকে কাজে লাগাতে পারেন। এর জন্য পাতার কিছুটা অংশ কেটে নিন। তারপর ওপরের সবুজ অংশ সরিয়ে চামচ দিয়ে বের করে নিন অ্যালো জেল। দেখবেন, হলদেটে আঠা যেন না থাকে। এবার সেই জেল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ডাবের জল বা এমনি জলের মধ্যে দিয়ে, অল্প মধু মিশিয়ে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে পছন্দের ফলের রসও মেশাতে পারেন।

2. স্যালাডে অ্যালোভেরার পাতা মিশিয়ে: রসের পাশাপাশি অ্যালো পাতাও স্যালাডে মিশিয়ে খেতে পারেন আপনি। তার জন্য গাছ থেকে পাতা নিয়ে ভালো করে সেটা ধুয়ে নিন। দেখবেন, আঠা যেন না থাকে। এবার ছোট ছোট টুকরোয় কেটে মিশিয়ে নিন স্যালাডের সঙ্গে। অ্যালো পাতা স্যালাডে মিশলে আরও স্বাদু হবে আপনার ডিশ।

৩. স্যালাড ড্রিসিংয়ে জেল: অ্যালো জেল স্যালাড ড্রেসিংয়েও ব্যবহার করা সম্ভব। এই জেল খুব হালকা হওয়ায় সহজেই অলিভ অয়েল বা ভিনিগারের সঙ্গে মিশে আপনার ডিশকে করে আরও টেস্টি এবং পুষ্টিকর।

৪. আইস কিউবে অ্যালো জেল: গরম মানেই অসহ্য সূর্যের তাপ আর ত্বকে সানবার্ন। ফ্রিজের আইস কিউব তৈরির পাত্রে পানির সঙ্গে জেল মিশিয়ে ভরে রেখে দিন। কিউব তৈরি হলেই তা ঘষে নিন ত্বকে। পোড়াভাব কমে দ্রুত আরাম পাবেন। এ ছাড়া, স্মুদি বা শরবতেও মিশিয়ে নিতে পারেন এই কিউব।

তবে সব সময় একটা কথা মাথায় রাখবেন, গাছের আঠা যেন কোনোভাবেই শরীরে প্রবেশ না করতে পারে। এতে হিতে বিপরীত হবে। কারণ, এই আঠার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। ডায়েটে রাখার আগে পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়াই উত্তম।