সারা খুলনা অঞ্চলের খবর

32
Spread the love

ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উপমন্ত্রীর পশ্চিম সুন্দরবন পরিদর্শন

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, খুব শীঘ্রই পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের ৪টি রেঞ্জে নতুন ইকোট্যুরিজম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য তিনি রবিবার পর্যটন স্পট বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পশ্চিম সুন্দরবন পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কলাগাছিয়া এবং সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাশিয়াবাদ ও দোবেকিতে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথাও জানিয়েছেন। এছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জেও তদরুপ নতুন ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র বৃদ্ধি করা হবে। এ সময় তিনি পশ্চিম সুন্দরবনের বনবিভাগের বিভিন্ন অফিস ও স্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং বনবিভাগের নানা সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। নতুন পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই ও সুন্দরবন পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন পশ্চিম সুন্দরবন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: মইনউদ্দিন খান, পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসীন হোসেন, খুলনা রেঞ্জের বানিয়াখালী ষ্টেশন কর্মকর্তা মো: আবু সালেহ, সাতক্ষীরা রেঞ্জের এসিএফ এম এ হাসানসহ বনবিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসীন হোসেন বলেন, পূর্ব সুন্দরবনের করমজল ও হাড়বাড়িয়ার মত পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে। যার ফলে স্থানীয়দের বন ভ্রমণে যেমন সুবিধা হবে, তেমনি পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে এখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। সেই লক্ষ্যেই রবিবার উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার পশ্চিম সুন্দরবন ঘুরে দেখেছেন বলেও জানান তিনি।

ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নাজিবুর রহমান। এ সময় বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়ার্দ্দার, সরদার আবু সাঈদ, শোভা রানী হালদার, গোপাল চন্দ্র দে, কাজী আলমগীর হোসেন, আবু বক্কার খান, সরদার আব্দুল গণি, মোল্যা সোহেল রানা, কেএম হজরত আলী, সাংবাদিক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, হিমাংশু বিশ্বাস, সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য, আছফর হোসেন জোয়ার্দ্দার, অধ্যাপক খান আমিনুর রহমান, শীলা রানী মন্ডল, অরিন্দম মল্লিক, আব্দুস ছালাম মাঝি, জামিল আক্তার লেলিন, শেখ ইকবাল হোসেন, কাজী মেহেদী হাসান রাজা, আছাদুজ্জামান মিন্টু, কামরুল ইসলাম, সুমন সরদার, এরশাদ মোল্ল্যা, খান আবুল বাশার, শেখ মাসুদ রানা প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে উপজেলার চুকনগর, সাহস, শাহপুর, মাগুরখালিসহ অন্যান্য স্থানে মিছিল ও সমাবেশ হয়।

ডুমুরিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আ’লীগ নেতা সাংবাদিক জাহাঙ্গীরের গনসংযোগ

ডুমুরিয়া  প্রতিনিধি

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর আলম দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন। সকাল ১০ টায় খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধনে অংশ নেন। সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেছেন আরাজি ডুমুরিয়া গ্রামের পরিতোষ কুমার কুন্ডু (৬৮)। মৃত্যুর খবর পেয়েই ছুটে যান তার বাড়িতে। সান্তনা দেন তার শোক সন্তপ্ত পরিবারকে। বিকেলে দেশব্যাপী দলীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। রাতে তালার জিয়ালায় কালিপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এছাড়া সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ডুমুরিয়া গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি যেয়ে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন। সুলতান খান, রেজাউল ইসলাম, পলাশ রায়, মোজাম্মেল হক মোহন, হারুনুর রশীদ বাবু, বাধন মন্ডল প্রমুখ।

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

বেনাপোল প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার সর্বত্র বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গা ও মৌলবাদী চক্রান্তের উত্থানের প্রতিবাদে বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার সর্বত্র আজ রোববার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেনাপোলে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের নেতৃত্ব দেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান। বিকাল ৩ টায় বিক্ষোভ মিছিলটি আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস থেকে বন্দরনগরী বেনাপোলের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন ।       পরে পার্টি অফিসের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান বলেন, যতদিন এ দেশে মৌলবাদীরা  অরাজকতা সৃষ্টি করবে  আওয়ামীলীগের কর্মীরা ততদিন রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।মৌলবাদীদের দেশ থেকে পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবে না। তিনি আরো বলেন, মৌলবাদীরা এদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে দেশে অরাজগতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই। এসব স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদীরা শনিবার রাতে কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙ্গে নতুন করে আবারো ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় তাদের কোন আশ্রয় দেয়া যাবে না তাদেরকে শক্ত হস্তে দমন করা হবে।পরে পার্টি অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান, এনামুল হক মুকুল, জুলফিকার আলী মন্টু, পৌর কাউন্সিলর বকুল, জসীমউদ্দীন ,ইমরান হোসেন প্রমুখ।

খানজাহান আলী থানা যুবলীগের উদ্যোগে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচী, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুর এবং জঙ্গি-মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে খানজাহান আলী থানা যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল রবিবার দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসুচি এবং বিকাল ৫ টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০টা থেকে ফুলবাড়ীগেট দলীয় কার্যায়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি শেষে বিকাল ৫ টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি ফুলবাড়ীগেট আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে খুলনা যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট-মাইলপোষ্ট এবং মীরেরডাঙ্গা পেট্ট্রোলিয়াম পাম্প সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তি সমাবেশ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও খানজাহান আলী থানা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের সভাপতিত্বে এবং  যুগ্ম-আহবায়ক মিজানুর রহমান রুপমের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন, সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম নেতা আবু হেনা বাবলু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুজ্জামান মনির, নোমানুর রহমান রাজা, জাহিদ আল মামুন, মেম্বর আরিফ হোসেন, আঃ আওয়াল, থানা শ্রমিকলীগ নেতা বায়জিদ সরদার, যুবলীগ নেতা জাহিদুর রহমান বাবু, রেজাউল ইসলাম, রুবেল, আলামিন, হারান, আশিক, সাথি, ইকতিয়ার হোসেন, মওলা, হাসিবুর,  বাপ্পি, জসিম, শেখ ইমরান, ছাত্রলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম মেজবা, ফয়সাল, সোহান, হাফিজুর রহমান, আলামিন, সুমন, মোঃ নাসির, মোঃ রানা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

শীতের মৌসুমে তালায় খেজুরের রস সংগ্রহের ব্যস্ত গাছিরা

ইলিয়াস হোসেন :

গ্রীষ্মকে বিদায় জানিয়ে শীত এসেছে। শুরু হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ তোলার কাজ। সারা দেশের ন্যায় তাই যেন বসে নেই সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল দক্ষিণ জনপদের তালা উপজেলার  গাছিরাও, প্রতিটি মুহূর্ত রস সংগ্রহের কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তারা। জানাযায়, তালা উপজেলা বর্তমানে মাছে সমৃদ্ধশালী। ফসলী জমির সিংহভাগ এখন মাছ চাষীদের দখলে। এক সময় এ অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ খেজুর গাছ থাকলেও আজ তার সংখ্যা অনেকটা কম, তার পরেও যে একেবারে কম তা ঠিক নয়। যে গাছগুলো রয়েছে সেগুলোর থেকে রস সংগ্রহের জন্য পরিচর্যা করতেই যেন হিমশিম খাচ্ছেন গাছিরা। যারা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ করে তাদের বলা হয় গাছি। খেজুর গাছের অগ্রভাগের একটি নির্দিষ্ট অংশ চিরে বিশেষ ব্যবস্থায় ছোট মাটির পাত্র (কলসি, ভাঁড়) বাঁধা হয়। ফোঁটায় ফোঁটায় রসে পূর্ণ হয় সে ভাঁড়। তাই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে গাছ তোলা কাটাসহ বিভিন্ন রকমের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা। ছোট বড় বিভিন্ন রকমের খেজুর গাছে অত্যান্ত ঝুঁকি যেমন কাঁটা, বিষাক্ত পোকামাকড়, এর ভয়কে জয় করে রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করা হয় গাছটি । কোমরে মোটা রশি বেঁধে গাছে ঝুলে গাছ তোলার কাজ করতে হয়। বর্তমানে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে খেজুর গাছকে ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয় ও ফসলী জমির একটা মোটাংশ মৎস্য ঘের হওয়ায় বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা বহুলাংশে কম গেছে। তাই যেন খেজুর গাছে বিলুপ্তির সুর বাজছে। তাছাড়া আগের মতো মাঠও নেই, নেই সারি সারি এই খেজুর গাছও। তারপরও গ্রামের মাঠে আর গ্রাম্য মেঠো পথের ধারে কতক গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে।

সরজমিনে দেখা যায়, আমাদের গ্রাম বাংলায় অতীতে খেজুর রসের যে সুখ্যাতি ছিল তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। খেজুরের রস শীতের সকালে বসে মুড়ি মিশিয়ে গ্লাস ভরে খেতে বেশ মজা লাগে। সন্ধ্যা রস আরো মজাদার। বেশ লোভণীয় নলেন পাটালি ও গুড়। খেজুর গুড় বাঙালীর সংস্কৃতির একটা অঙ্গ। ক’দিন পরেই প্রতিটি ঘরে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা পুলি পায়েস তৈরীর ধূম পড়বে। ঢেঁকি ঘরে চাল কুটার ধুম পড়ে যাবে, শোনা যাবে ঢেকির ঢক ঢক শব্দ। মুড়ি, চিড়া, পিঠা খাওয়া কৃষক পরিবার থেকে শুরু করে সবার কাছে বেশ প্রিয়। এসব আশা নিয়ে শীত মৌসুমে গাছ কাটার কাজে গাছিদের বেশ ব্যস্ত সময় পার হয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার গাছির সারা বছরের রুটিরুজির নির্ভর করে এ পেশার উপর।

উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের  হরিহরনগর গ্রামের রফি গোলদার গাছি জানান, শীতের শুরুতেই আমরা খেজুর গাছ তোলার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করি। এভাবেই খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে তা জ্বালিয়ে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে বেশ আর্থিক সচ্ছলতা আসে আমাদের।

তাই খেজুর গাছ তোলার মৌসুম এলেই গাছিদের মুখে ফুটে ওঠে রসালো হাসি। সংগৃহীত রস নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাকিটা বিক্রি করে যে অর্থ পান তা দিয়েই চলে গোটা বছর। এখনো শীত জেঁকে না বসলেও গাছ তোলা, ঠুঙি, দড়ি ও মাটির কলস (ভাড়) প্রস্তুতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তারা। আগের মতো আর খেজুর গাছ না থাকলেও ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গাছিরা ।

ডুমুরিয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খুলে দেয়া হল বাড়ি প্রবেশের পথ

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘেরা-বেড়া খুলে দেয়ায় মুক্ত হল অবরুদ্ধ পরিবার। ডুমুরিয়ায় এক পরিবারে বাড়ী প্রবেশের পথ ঘিরে দিয়েছে প্রতিপক্ষ,মানবেতর জীবন যাপন করছে ভুক্তভোগী পরিবারটি শিরোনামে একাধিক পত্রিকায় এমন খবর প্রকাশের পর টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের। সংবাদটি আমলে নিয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানর এজাজ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি প্রবেশের পথ উন্মুক্ত ও সম্পূর্ন ঘেরা-বেড়াটি সরকারী জায়গায় এমনটি উল্লেখ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে।উল্লেখ্য উপজেলার গজেন্দ্রপুর এলাকার মৃত কালিপদ মন্ডলের পুত্র উপজেলা প্রকৌশল অফিসে কর্মরত পলাশ কুমার মন্ডল স্থানীয় রমেন্দ্র চ্যাটার্জী দম্পতির নিকট থেকে ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করে প্রায় ৩ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। থুকড়া-রংপুর ইউনিয়ন পরিষদ অভিমুখী এলজিইডি সড়কের পাশে থাকা বসতভিটায় আম,পেয়ারাসহ নানা প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করেছে পরিবারটি। সম্প্রতি একই এলাকার বিধান চন্দ্র মন্ডল নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই বাড়ির সামনের জমি নিজের দাবি করে জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তারই জের ধরে গত শনিবার সকালে প্রতিপক্ষে ১০/১৫ জন দা,লাঠি,শাবল নিয়ে বাড়ির সামনে সড়কে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির ২৫/৩০টি বৃক্ষ কেটে সাবাড় করে দেয়। সাথে সাথে পলাশের বাড়িতে প্রবেশের একমাত্র পথ ঘেরাবেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেয়। এতে ওই পরিবারে লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ বলেন,দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমলে নিয়ে গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি প্রবেশে পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরকারী জায়গায় থাকা ঘেরা-বেড়া অপসারনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ডুমুরিয়ায় কাজের বিনিময় টাকা কর্মসূচীর উদ্বোধন

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

ডুমুরিয়ায় জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার অর্থায়নে কৃষি,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কাজের বিনিময় টাকা কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন’র সহযোগিতায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামীণ রাস্তা মেরামতের জন্য গত শনিবার সকালে শরাফপুর বাজারস্থ সড়কে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ।এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি,মহিলা মেম্বর লাকি সুলতানা,ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক,মিজানুর রহমান খান,প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ কাজি তোবারেক হোসেন,সংস্থার সহকারী পরিচালক জিএম মনিরুজ্জামান,এফএও প্রতিনিধি শরীফ মাহমুদ,কামাল হোসেন,প্রকল্পের উপজেলা প্রতিনিধি শেখ তৈয়বুর রহমান প্রমূখ।

ডুমুরিয়ায় আজ থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরন শুরু

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

ডুমুরিয়ায় ২০১৯ সালে নুতন ভোটারদের স্মার্ট কার্ড জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরনের সময় সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শেখ জাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে এ সময় সূচী জানা গেছে। এতে ৭ ও ৮ ডিসেম্বর ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ,৯ ও ১০ শরাফপুর,১৩ ও ১৪ গুটুদিয়া,১৫ ও ১৭ আটলিয়া,২০ ও ২১ মাগুরাঘোনা,২২ মাগুরখালী,২৩ ও ২৪ শোভনা,২৭ ও ২৮ ডুমুরিয়া,২৯ ও৩০ খর্ণিয়া,৩১ ও ২ জানুয়ারী সাহস,৩ ও ৪ রুদাঘরা,৫ ও ৬ ধামালিয়া,৭ ও ৯ রঘুনাথপুর এবং ১০ জানুয়ারী রংপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সূচীতে ১৪টি ইউনিয়নে মোট ১২হাজার ৭শত ৬৫টি স্মার্ট কার্ড বিতরন করা হবে।

ফকিরহাটে সাংবাদিক জাকির হোসেনের খালার ইন্তেকাল

ফকিরহাট প্রতিনিধি :

দৈনিক যায়যায়দিন প্রত্রিকার বাগেরহাটের ফকিরহাট প্রতিনিধি এম জাকির হোসেনের খালা আমেনা বেগম (৬২) ক্যন্সার জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকাস্থ কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ার বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহী…….রাজিউন )। ৬ ডিসেম্বর সকালে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে হাদিপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন কার্যাদীসম্পন্ন হয়েছে। তিনি মৃত্যুকালে ১পুত্র ও ১কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি মৃত মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও খুলনার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের ঘাটভোগ গ্রামের মৃত সলেমান সরদারের বড় কন্যা। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকার্থ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ।

ফকিরহাটে পরিবার কল্যান সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধন

ফকিরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র, জাড়িয়ায় রবিবার সকাল ১০টায় পরিবার কল্যান সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে লাল ফিতা কেটে, বেলুন ও ফেষ্টুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তানভীর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহিদ সুজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তহুরা খানম ও মেডিকেল অফিসার ডা: অরিজম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেডিকেল অফিসার (মা ও শিশু) ডাঃ শাহরিয়ার শামীম। এফপিআই মোর্শেদুল আলমের পরিচালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দেবরাজ মিত্র, এসএসিএমও মো: রবিউল ইসলাম, এফপিআই শেখ মোস্তফা কামাল,সুমিত ঘোষ, সঞ্জয় নন্দী, উত্তম সেন, মো: কামরুজ্জামান সহ এফডাব্লিউএ ও এমএলএসগন উপস্থিত ছিলেন। 

 দেবহাটায় দুই সন্তানের এক জননী আত্মহত্যা করেছে

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা

সাতক্ষীরার দেবহাটায় শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় দুই সন্তানের এক জননী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার(৬ ডিসেম্বর) ভোরে পিতার বাড়ীতে অবস্থানকালে নিজের ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে স্বজনরা। নিহত কুলসুম উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে এবং বদরতলা গ্রামের আবুল হাসানের স্ত্রী। কুলসুমের নানি রাবেয়া খাতুন(৬৫) জানান, শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় প্রায় মাস তিনেক আগে কুলসুম তার দুই সন্তানকে নিয়ে ধোপাডাঙ্গায় পিতার বাড়ীতে চলে আসে। আজ রবিবার(৬ ডিসেম্বর) ভোরে ফজরের নামাজের পর কুলসুম নিজের ঘর থেকে বাইরে আসে এবং অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আবার নিজের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। দরজা খোলার জন্য বারবার তাকে ডেকেও কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে তার বৃদ্ধ নানি স্থানীয় প্রতিবেশী অপর এক মহিলাকে সাথে নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে কুলসুমের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে দেবহাটা থানায় খবর দিলে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুলসুমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, নিহত গৃহবধূর সুরতহাল পরবর্তী মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলাও হয়েছে বলে তিনি জানান।

কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

কয়রা প্রতিনিধি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ এবং ষড়যন্ত্রকারীদের  দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কয়রা প্রেসক্লাবের নিচে (তিন রাস্তার মোড়ে) পথ সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকুর সভাপতিত্বে ও রোকনুজ্জামান কাজলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম পাড়, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বাহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক এসএম হারুন অর রশীদ, সংস্কৃতি সম্পাদক ও কৃষকলীগের আহবায়ক প্রভাষক শাহাবাজ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, এ্যাডঃ আরাফাত হোসেন,  ইমদাদুল হক টিটু, আল আমিন খোকন, গনেষ চন্দ্র, মেজবাহ উদ্দীন মাসুম, রবিউল ইসলাম রবিন,জাকারিয়া, ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম সজিব, সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা, মাসুদ রানা,তরিকুল সাগর, মাসুদ রানা শেফার,রিজভী, ফেরদাউস, বিল্লু, বেল্লাল, নিতিশ, মোস্তাফিজ, আশিক তুহিন সহ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন থেকে উঠে আসা হাজার হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সহ আওয়ামীলীগ যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকের এই ডিসেম্বর মাসে কি দেখলাম,! যিনি তিলতিল করে তার জীবনের সবকিছু দিয়ে আমাদেরকে বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের অবমাননা করা হয়েছে।একাজ করতে পারে তারাই যারা একাত্তর সালে বাংলাদেশকে স্বীকার করেনি। তারা আজ বাংলাদেশ কে অস্থিতিশীল করার জন্য রাতের আধারে অন্ধকারে চোরের মত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা করেছে। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু বলেন, রাতের অন্ধকারে চোরের মত এসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হানেন সাহস থাকলে দিনের বেলায় আমাদের সামনে আসেন। আমরা ছাত্রলীগ কর্মীরা সবসময় রাজপথে আছি, মাঠে আছি। তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে চলে। সমাবেশে যড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

যশোর মুক্ত দিবস আজ,  যশোর জেলা পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর

বেনাপোল প্রতিনিধি                       

যশোর মুক্ত দিবস আজ। যশোর জেলা পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর । যশোর সেনানিবাস ছেড়ে এদিন পালিয়ে যায় পাক হানাদার বাহিনী। প্রথম শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। যশোরেই প্রথম উড়েছিল বিজয়ী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স-মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) বৃহত্তর যশোর জেলার (যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইল) উপ-অধিনায়ক রবিউল আলম জানান, ১৯৭১ সালের ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচ- যুদ্ধ হয়। যশোর সেনানিবাসসহ পাক আর্মিদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে মিত্রবাহিনী। পরাজিত পাকবাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পালাতে শুরু করে। পালাবার সময় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলীর রাজারহাটে বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হয়। বিকেলে মিত্র বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল বারাতের নেতৃত্বে মিত্র ও মুক্তিবাহিনী সেনানিবাস দখল নেয়। মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহর জুড়ে। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ফেটে পড়েন মানুষ। উত্তাল একাত্তরের যুদ্ধ প্রস্তুতিকালে ৩ মার্চ যশোর কালেক্টরেটের সামনে শহরের রাজপথে বের হয় জঙ্গি মিছিল। মিছিলে হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন চারুবালা কর। স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনিই যশোরের প্রথম শহীদ। সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ব যশোরে সংগঠিত হতে থাকে প্রতিরোধ। সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে থাকে ছাত্র, যুবক ও মহিলাদের।

২৯ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী যশোর শহর ছেড়ে সেনানিবাসে চলে যায়। ৩১ মার্চ নড়াইল থেকে হাজার হাজার মানুষ শহরবাসীর সাহায্যে সশস্ত্র মিছিলটি হামলা চালায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সে সময় মুক্তি পান সব রাজবন্দি। ক্যাপ্টেন হাফিজের নেতৃত্বে ৩০ মার্চ যশোর সেনানিবাসের বাঙালি সৈনিকেরা বিদ্রোহ করে। পাকবাহিনীর সঙ্গে প্রচ- যুদ্ধে লেফটেন্যান্ট আনোয়ারসহ অনেকেই সেদিন শহীদ হন। জুলাই থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিধারা পাল্টে যায়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা যশোর শহর ও অন্যান্য এলাকায় পাকবাহিনীর অবস্থানগুলোতে প্রচ- আক্রমণ চালাতে থাকে কমান্ডার ছিলেন মেজর মঞ্জুর নেতৃত্বে। যশোর সেনানিবাস দখলে নিতে ২০ নভেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনী অভিযান শুরু করে। ২২ নভেম্বর রাতে যশোর সেনানিবাসের তিন দিকেই মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে। প্রতিরোধ যুদ্ধের শেষ অভিযান শুরু হয় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর কাছে টিকতে না পেরে ৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী পালিয়ে যায় খুলনায়। মুক্ত হয় যশোর জেলা। যুদ্ধবিধ্বস্ত যশোর জেলা শহরে উড়ে স্বাধীন দেশের পতাকা।

করোনার কারণে রবিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে পালন করা হয় যশোর মুক্ত দিবস।

মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে রূপসায় প্রস্তুতি মূলক সভা অনুণ্ঠিত

রূপসা প্রতিনিধি 

মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে রূপসা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এস প্রস্তুতি সভা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৬ ডিসেম্বর( রবিবার) বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আকতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুজ্জামান। এসময় বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন পারভিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোল্লা আবু বকর,  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তারেক ইকবাল আজিজ,অধ্যক্ষ আল মামুন সরকার, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মতিয়ার রহমান, সহকারী মমাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম উপজেলা ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী ইয়াইয়া, আইসিটি কর্মকর্তা রেজাউল করীম, মুক্তিযোদ্ধা আঃ মজিদ ফকির, বজলুর রশিদ আজাদ, আঃ মালেক, মনজিল শেখ, রূপসা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঃ রাজ্জাক শেখ, সাংবাদিক খান আব্দুল জব্বার শিবলী, ফ ম আইয়ুব আলী, ইউপি সদস্য মঈন উদ্দিন, বিনয় হালদার প্রমূখ।

মহেশপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহীনি দখলমুক্ত হয় ঝিনাইদহের মহেশপুর। দিবসটি উপলক্ষে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে, উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর এইদিনে মহেশপুর হানাদার মুক্ত হয়। রবিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে, আওয়ামীলীগ সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটনের পরিচালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড.শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন,মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ প্রমূখ।

ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে রোববার সকালে সরকারি কেসি কলেজ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে পোস্ট অফিস মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, প্রচার সম্পাদক মঞ্জুর পারভেজ তুষার, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শিমুল, কেসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রিপন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খায়রুল ইসলাম টিটন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন। বক্তারা, কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাস্কর্য ভাংচুরের সাথে জড়িত ও এই ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সেই সাথে ভাস্কর্য বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিদায় সংবর্ধনা

আলমগীর হোসেন,কেশবপুর

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানকে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কেশবপুরে যোগদান করেন। গত ১ বছর তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময়ের মধ্যে মধু মেলার আয়োজন, প্রথম ধাপে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে জনগণের সহায়তায় লকডাউনসহ সরকারি দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন বলে নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক জানান। এছাড়া এলাকার দুস্থ শিল্পীসহ করোনায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনও করেন। তার শেষ কার্য দিবসে কেশবপুর বাসির মঙ্গল কামনা করেছেন বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান।

কেশবপুর বিশ্ব মর্যাদা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   

আলমগীর হোসেন, কেশবপুর

কেশবপুরে দলিত পরিষদ আয়োজিত বিশ্ব মর্যাদা দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে শহরের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দলিত পরিষদের সভাপতি সুজন দাসের সভাপতিত্বে ও শ্যামল দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্ত্তী, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমেশ চন্দ্র দত্ত, খেলাঘর আসরের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ, প্রভাষক কানাই লাল ভট্টাচার্য্য ও সাংবাদিক এস আর সাঈদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলিতের ভরত দাস ও গোপাল দাস।

ফুলতলায় ফেনসিডিল ইয়াবা ও গাঁজাসহ দু’মাদক ব্যবসায়ী আটক

ফুলতলা প্রতিনিধি

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শনিবার দিবাগত রাতে ফুলতলায় অভিযান চালিয়ে পার্থ কুন্ডু (২৩) ও মোঃ বোরহান উদ্দিন (২৮) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিল, ১০ পিচ ইয়াবা এবং ১শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ফুলতলা থানায় মামলা হলে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ জানায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সেখ কনি মিয়ার নেতৃত্বে শনিবার দিবাগত রাতে ফুলতলার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাজপুর গ্রামের মৃতঃ গৌর কুন্ডুর পুত্র পার্থ কুন্ডু কে  ১০ পিচ ইয়াবা ও ১শ’ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। এদিকে আলকা চৌদ্দমাইল এলাকা থেকে পয়গ্রামের মোঃ মহিউদ্দিন শেখের পুত্র মোঃ বোরহান উদ্দিন শেখ কে ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় ফুলতলা থানায় মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

ফুলতলার দামোদর ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড আবেদনের যাচাই বাচাই শুরু

ফুলতলা প্রতিনিধি

ফুলতলার দামোদর ইউনিয়ন পরিষদে দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের ভিজিডি কার্ড প্রদানের লক্ষে রোববার দিনব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদে যাচাই বাচাই শুরু হয়। বরাদ্দকৃত ৫৮৫ কার্ডের বিপরীতে ৯৬৯ টি আবেদন জমা পড়ে। যাচাই বাচাই কালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন,  ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুইয়া শিপলু, ইউপি সদস্য সরদার আঃ রহমান, মাসুদ পারভেজ মুক্ত, কেয়া খাতুন, ইব্রাহীম গাজী, কাজল রায়, কৃষ্ণা দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি’র সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি

নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক নওয়াপাড়ার প্রকাশক-সম্পাদক আসলাম হোসেন ঢাকা পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভয়নগর উপজেলা ইলেকট্রিশীয়ান শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে রবিবার বিকালে পীর বাড়ী খানকা শরীফে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলের পরিচালনা করেন নওয়াপাড়া পীর কেবলা হাফেজ শাহ্ আব্দুল্লা বোখারী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোজাফ্ফার আহম্মেদ, কোষাধক্ষ্য মো: মফিজুর রহমান, সদস্য জাকির হোসেন হৃদয়, দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকার জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম পারভেজ।আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ইলেকট্রিশীয়ান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাজাহান হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবু, ব্যবসায়ী আবু সাইদ প্রমুখ। ।

আশাশুনিতে দু’টি মোবাইল কোর্টে ৩১০০ টাকা জরিমানা

আশাশুনি প্রতিনিধি

আশাশুনিতে পৃথক দু’টি মোবাইল কোর্টে ১১ জনের কাছ থেকে ৩১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা আশাশুনি সদরের হাড়িভাঙ্গা বাজার ও খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় মাস্ক ব্যবহার না করায় হাড়ীভাঙ্গা বাজারের ছাত্তার মল্লিকের পুত্র আঃ লতিফকে ২০০ টাকা, মৃত নিরাপদ মন্ডলের পুত্র গনেশকে ২০০ টাকা, গদাইপুর গ্রামের আবু ছিদ্দিকের পুত্র গোলাম রসুল ও মৃত নওশের সানার পুত্র ছাত্তারকে ৫০০ টাকা, একই গ্রামের মৃত স্বপন মন্ডলের পুত্র তুফানকে ৫০০ টাকা এবং হাড়ীভাঙ্গা বাজারের প্রমথ দাশের পুত্র অসিতকে ধুমপান ও তামাক জাত দ্রব্য আইনে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা “আমার মাস্ক আমার সুরক্ষা” জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাতক্ষীরা এস এম মোস্তফা কামাল এর নির্দশনা মোতাবেক আশাশুনিতে মাস্কের উপর পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৫ টি মামলায় ১৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন।

আশাশুনির সহায় সম্বলহারা মাস্টার্স ডিগ্রীধারী রাম প্রসাদের চাকুরী ও সরকারি বাড়ি পেতে আকুতি

আশাশুনি প্রতিনিধি

মেধাবী রাম প্রসাদ সরকারি চাকরী পেয়ে প্রতিবন্ধী ভাইদের পাশে দাড়াবেন, পিতার দুঃখ ভরা সংসারকে শান্তিতে রূপান্তরিত করবেন এমন অদম্য ইচ্ছা বুকে ধারণ করে লেখা পড়া করেছেন। কিন্তু কাল হয়ে দাঁড়ানো ব্রেন স্ট্রোক তার স্বপ্নকে ভেঙ্গে চুড়মার করে দিল। আজ তিনি সহায় সম্বলহারা হয়ে দুর্বিসহ ব্যথা বুকে ধারণ করে সংসারে বোঝা হয়ে বসে আছেন। “বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসিয়াল চাকুরী ও বসবাসের জন্য সরকারি ভাবে একটি ঘর” পেতে পারে তার সুব্যবস্থা করার জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয়ের কাছে তার আকুল আকুতি।

আশাশুনি সদরের সব্দলপুর গ্রামের রবীন্দ্র নাথ সরকারের পুত্র রাম প্রসাদেরা ৪ ভাই বোন। বড় দু’ভাই বাক প্রতিবন্ধী ও অস্বচ্ছল। তাই লেখাপড়া করার সুযোগ তাদের ছিলনা। অভাবের সংসারে মেধাবী রাম প্রসাদ শতকষ্ট করেও লেখাপড়া চালিয়ে এসেছেন। ভাল রেজাল্ট করায় সবাই তাকে ভাল বসতো ও সহযোগিতা করতো। খুলনা সরকারি আযমখান কমার্স কলেজে বিজ্ঞানে অনার্স করে ১৪৮২ নম্বর পেয়ে ফাস্টক্লাস ফাষ্ট হন। যা ফার্স্ট ক্লাস ছাড়াও ১০২ নম্বর বেশী ছিল। এবার স্বপ্নের শেষ শিড়িতে দাড়িয়ে মাস্টার্স পড়ায় মনোনিবেশ করেন। তার প্রবল ইচ্ছা ও আশা ছিল মাস্টার্স শেষে চাকুরীতে ঢুকবেন। পিতামাতার সংসারে ও প্রতিবন্ধী ভাইদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে চেষ্টা করেবন। কিন্তু মাস্টার্স শেষ করার আগেই তার স্বপ্নকে নির্মমভাবে ভেঙ্গে চুড়মার করে দিল “ব্রেন স্ট্রোক”। খুলনার বিভিন্ন কলেজ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়ে তিনি ভারতে গেলেন সুচিৎকার জন্য। কিন্তু শেষ তুলতে পারেননি। তাকে দেশে ফেরৎ পাঠান চিকিৎসকরা। বাড়ি ফিরে তার মামা নিমাই চন্দ্র ও কোদন্ডা হাই স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক বুদ্ধদেব সরকারকে নিয়ে তিনি ঢাকা শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (তৎকালীন পিজি হাসতাল) ভর্তি হন। তাকে তো বাঁচতে হবে। নিজের জন্য, পিতামাতা ও প্রতিবন্ধী ভাইদের জন্য তাকে লেখা পড়া শেষ করে চাকুরি নিতে হবে। তাই তার শেষ সম্বল ২ বিঘা জমি বিক্রয় করে দু’ দু’বার ব্রেন অপারেশ করা হয়। এরপর সে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে ফিরতে শুরু করলে আবার বন্ধু বান্ধবদের সহযোগিতা নিয়ে মাস্টার্স পরীক্ষা দেন। এবং আবারও ফার্স্টক্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তখন ব্রেনে চাপ না দিতে চিকিৎসকদের বিধি নিষেধ থাকায় সরকারি চাকুরীর চেষ্টা করতে পারেননি। অপারেশনের সময় তার বাড়িতে ১১টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ইন্টারভিউ কার্ড এসেছিল। যা কোন কাজে আসেনি। মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে বাধ্য হয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রকল্পে ২ বছর কাজ শেষ করেন। এরপর খুলনার একটি কোম্পানিতে এক বছর সহকারী হিসাব রক্ষকের চাকরী করেন। মালিকের মৃত্যুর পর তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি এখন সম্পূর্ণ বেকার ও অসহায় জীবন যাপন করছেন। পিতার ঘরেই তার বসবাস। কোন বে সরকারি প্রতিষ্ঠানে মাঠে দৌড়ানো নয় অফিসিয়াল পদে চাকুরী পেতে পারে সে জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে আকুল আকুতি জানিয়েছেন তিনি। সাথে সাথে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে বেসরকারি চাকুরীর পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীনের গৃহনির্মান প্রকল্পের আওতায় একটি বসবাসের গৃহ পেতে পারে সে ব্যাপারে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অসহায় রাম প্রসাদ সরকার।

ভাস্কর্য ইস্যুতে যশোরে মানববন্ধন

যশোর অফিস

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ‘ভাস্কর্য ভাংচুর ও ঢাকায় ভাস্কর্য নির্মাণে বিরোধিতার নামে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রতিবাদে’ যশোরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল বেলা ১১টায় শহরের দড়াটানা বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের পাশে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি লাইজু জামানের নেতৃত্বে মানববন্ধনে দুই শতাধিক নারী নেতাকর্মী অংশ নেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি দোসর বিএনপি-জামায়াত এখনো বাংলাদেশে ঘুরে  বেড়াচ্ছে। যে কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণে তারা বিরোধিতা করছে। বিরোধিতাকারীদের আইনের আওতায় এনে দেশের সকল জেলায় ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধন শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।

যশোরে চারশ’ পিস ইয়াবাসহ মহিলা আটক

যশোর অফিস

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা রোববার ৬ ডিসেম্বর দুপুরে ৪নং ওয়ার্ড লিচু বাগান এলাকা থেকে চারশ’ পিস ইয়াবাসহ মোছাঃ সোনিয়া আক্তার (২২) নামে এক নারী মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে। সে ও এলাকার ইছাহাক আলী ওরফে কাজলের স্ত্রী।

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্প সূত্রে জানাগেছে,৬ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর চেয়ে উক্ত এলাকার মেহেদী হাসান টাংকুর বাড়ির বাসনে থেকে মোছাঃ সোনিয়া আক্তারকে গ্রেফতার করে।

এ সময় সোনিয়া আক্তারের দখল হতে ৪শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে তাকে কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে।

যশোরে করোনা আক্রান্ত কমছে নতুন করে মৃত্যু ১জন

যশোর অফিস

যশোর জেলায় দিনদিন সংক্রমন করোনা ভাইরাস কমতে শুরু করেছে। রোববার ৬ ডিসেম্বর নতুন করে মাত্র ১ জন করোনা ভাইরাস ও এক জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীন। তিনি জানান, নতুন করে ১ জন মৃত্যু নিয়ে যশোর জেলায় এ যাবত মারা গেছে ৫২জন ও আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৪শ’ ৭৮জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৩জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩শ’ ৮৫জন নারী। এই রোগে আক্রান্ত হয়েও সুস্থ্য হয়েছেন ৪ হাজার ১শ’ ৪০জন। সিভিল সার্জন আরো জানান,নতুন করে মৃত্যুর ব্যক্তির নাম আব্দুস সামাদ গাজী (৬৫)। তিনি যশোর শহরের বেজপাড়ার বাসিন্দা। গত ১ ডিসেম্বর আব্দুস সামাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৩ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ৬ ডিসেম্বর রোববার মৃত্যু আব্দুস সামাদ গাজীর নমুনা রিপোর্ট প্রেরন করা হয় তিনি সংক্রমন করোনা পজিটিভ আক্রান্ত। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানাগেছে, রোববার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় থেকে ১৭টি নমুনার রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়। তার মধ্যে ১ জন সংক্রমন করোনা ভাইরাস পজিটিভ। অপরদিকে, একই দিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৬০টি নমুনার রিপোর্ট প্রেরন করেন। যার সব ক’টি নেগেটিভ। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানাগেছে,গত ১০ মার্চ থেকে এ যাবত যশোর জেলা থেকে ১৯ হাজার ৫শ’ ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে দু’টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ হাজার ২শ’ ২০টি নমুনার রিপোর্ট প্রেরন করেন। রোববার যশোরে করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত রোগী শার্শা উপজেলার বাসিন্দা।

নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা যশোরের আব্দুল্লাহ রানা সংবর্ধিত

যশোর অফিস

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার কৃতি সন্তান মো. আব্দুল্লাহ রানা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় পৃথক ভাবে সংবর্ধনা দিয়েছে বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। রোববার ৬ ডিসেম্বর  তাকে এ  সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন ঢাকা থেকে যশোর-মাগুরা সড়ক পথে বেলা ১২টায় যশোর সীমান্তের সীমাখালী বাজারে পৌঁছান তিনি। এ সময় বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও খাজুরা যুব সেবা সংঘ তাকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। এর আগে বেলা ১০টা থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফুলের মালা ও ফুল হাতে সড়কের দু’পাশে অপেক্ষা করেন । এ সময় তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ধ্বনিতে গোটা বাজার এলাকা মুখরিত করেন তোলেন। পরে হাজারো নেতাকর্মী-সমর্থক শত শত মোটর সাইকেল ও গাড়ি বহরে আব্দুল্লাহ রানাকে নিয়ে বাঘারপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাঘারপাড়ায় এসে তিনি সর্বপ্রথম উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রাজীব রায়, যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান লিটন, যুবলীগ নেতা রুবেল রানা প্রমুখ।

এর আগে বেলা ১টায় আব্দুল্লাহ উপজেলা সদরে পৌঁছালে ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন ও সম্পাদক বিএম শাহজালালের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের শত শত নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে দুপুর ২টার দিকে চিত্রা নদীর পাড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ছাত্রলীগের আয়োজনে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহীদুল্লাহ খন্দকার তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া আব্দুল্লাহকে শুভেচ্ছা জানান বাঘারপাড়া পৌর ও জহুরপুর, বন্দবিলা রায়পুর, নারিকেলবাড়ীয়া, ধলগ্রাম, দোহাকুলা, বাসুয়াড়ি, জামদিয়া, দরাজহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিকেলে বহরটি খাজুরা বাজার হয়ে তার নিজ ইউনিয়ন জহুরপুরে পৌঁছায়। এ সময় খাজুরা-জহুরপুর সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তান আব্দুল্লাহকে ভালোবাসা ও অভিনন্দন জানান। চলন্ত অবস্থায় তিনি একটি খোলা জিপ গাড়িতে দাঁড়িতে হাত নেড়ে এলাকাবাসীর সেই ভালোবাসার জবাব দেন। বিকেল ৫টায় ইউনিয়নের যুবলীগের আয়োজনে বেতালপাড়া বাজারে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মোল্যা, সহ-সম্পাদক ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম আল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত ডা. আবু সিদ্দিকের ছেলে আব্দুল্লাহ রানা। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

যশোর শহরের খড়কী বামনপাড়া থেকে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় মামলা

যশোর অফিস

সন্ধ্যারাতে শহরের খড়কী বামনপাড়াস্থ এক বাড়ির সামনে থেকে একটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। ৩ডিসেম্বর চুরি হওয়ায় মোটর সাইকেলের মালিক এসএম আশরাফুল আবেদীন শামীম বাদী হয়ে  ৫ ডিসেম্বর শনিবার রাতে মামলাটি করেন।

শহরের খড়কী বামন পাড়ার মৃত জয়নুল আবেদীনের ছেলে এসএম আশরাফুল ইসলাম শামীম মামলায় উল্লেখ করেন, গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় তার নিজের লাল রংয়ের ১৫০ সিসি পালসার মোটর সাইকেল (যশোর ল-১২-০৩৪১)  বাড়ির সামনে তালা মেরে ঘরের  মধ্যে যায়। সাড়ে ৬ টার সময় ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির সামনে এসে দেখে মোটর সাইকেলটি নেই। সংঘবদ্ধ চোরেরা মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে না পেয়ে মামলা করেন।

 উড়ালপঙ্খীর উদ্বোধন

খবর বিজ্ঞপ্তি

মেসার্স হোসনাবাদ রিভার সার্ভিসের নব নির্মিত লঞ্চ এম এল উড়ালপঙ্খীর উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় এর উদ্বোধন করা হয়।প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মহসীন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়নগঞ্জ বি আই ডব্লিউটিসি’র ওয়ার্কাস ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জুলহাস হোসেন, গৌরনদীর শরীকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.ফারুক হোসেন মোল্লা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মৃধা, নাতিরহাটের বিশিষ্ট সমাজসেবী ডা. মো. কবির উদ্দিন খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. খালিদ হোসেন শিকদার ও নগরীর শেখপাড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম খলিল। পরিচালনায় ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রশীদ হাওলাদার। উপস্থিত ছিলেন মো. রবিউল ইসলাম রানা ও মো. মেহেদী হাসানসহ বি আই ডব্লিউটিসি’র ওয়ার্কাস ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। উদ্বোধন শেষে মোনাজাত করা হয়।

বাগেরহাটে পিতার মুক্তির দাবীতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাহার তরফদারের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বজনরা। রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আতাহার তরফদারের স্ত্রী লকি বেগম, মেয়ে লিজা কবির, ভাই উজ্জল তরফদার, ভাতিজা জাহিদুর তরফদার উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে লিজা আক্তার বলেন, ১৯৯৬ সালে আমার বড় চাচা আকতার আলী তরফদার বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।বাগেরহাট শহর থেকে বাড়িতে আসার পথে দিনের বেলায় মির্জাপুর সড়কের পাশে টেম্পুর গতিরোধ করে বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী মকবুল মাস্টার, আবজাল মল্লিকসহ আরও কয়েক জন আমার চাচা আকতার আালী তরফদারকে জবাই করে হত্যা করে। পরবর্তিতে উপ-নির্বাচনে আমার বাবা আতাহার তরফদার ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে শেষ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। না পেরে তার নামে মিথ্যে মামলা দেয়। সেই মামলায় আমার পিতা আত্মসমর্পন করে জেল হাজতে প্রেরণ করে আদালত। এর মধ্যে ১৯৯৯ সালে গেলে আমার মেঝো চাচা আনোয়ার তরফদারকে গরু গোজা মৎস্য ঘেরের বাসায় কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে আমার পিতা জামিনে মুক্ত হয়ে সুন্দর ভাবে ডেমা ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করতে থাকেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি।মিথ্যে মামলা ও হামলা চলতে থাকে আমার বাবার উপর।

অন্যদিকে ২০০১  সালের ১৮ জুন মোড়েলগঞ্জ থানায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সোহরাফ নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়। ওই দিন আমার পিতা ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় ওই মামলায়ও আমার বাবাকে আসামী করা হয়।এজাহারে বলা হয় আমাদের লাইসেন্স করা ডবল ব্যারেল বন্দুক দিয়ে সে ভিকটিমের বুকে গুলি করেছে। অথচ আমার মায়ের নামে লাইসেন্সকৃত ডবল ব্যারেল বন্দুকটি বাগেরহাট সদর থানায় জমা ছিল।মামলায় আমার বাবা আত্মগোপনে থাকে।ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয় খুনি আবজাল মল্লিককে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা সাজাহান শরিফ তার রিপোর্টে উল্লেখ করেন সোহরাফ হত্যা কান্ডের সাথে আতাহার তরফদারের কোন সংশ্লিষ্টতা নাই সে ওই দিন কে অজ্ঞান ছিল।আমার মায়ের নামে লাইসেন্স বন্ধুকটি থানায় থাকা স্বত্তেও বিচারক ওই মামলায় আমার বাবাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।

এছাড়া মোংলার ইলিয়াস হত্যাকান্ডেও আমার বাবাকে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয়। হত্যাকান্ডের এজাহারে লেখা রয়েছে ১৯৯৮ সালের ১৮ নভেম্বর তারিখে ভিকটিমকে হত্যা করা হয়। ১৮ তারিখ প্রাকৃতিক দূযোগ থাকার কারনে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত চলছিল। সুন্দরবন ছিল তখন পানির নিচে অথচ ৪ দিন পর তদন্তে গিয়ে মাটিতে দা কুড়ালের কোপের দাগ,গাছের পাতায় রক্ত ও গাছের ডালে চুল পায় লাশ নাই কারো শিকারোক্তি নেই। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে দল ক্ষমতায় আসলে সাবেক আইন মন্ত্রী আমির খসরুর  মাধ্যমে জামিনে মুক্ত হন আমার আব্বু। কিন্তু উক্ত বানোয়াট মামলায় ২০১৪ সালে ১১ মে আগ্রুমেন্টে হাজির হলে জেলা জ্বজ আদালতের বিচারক আমার আব্বুর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সেই থেকেই আমার বাবা কারাগারে রয়েছেন। ১৮ মে আদালত কোন যুক্তিতর্ক না শুনে আব্বুকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। পরে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করলে উচ্চ আদালত মৃত্যুদন্ড কমিয়ে ৩২ বছর সস্ত্রম কারাদন্ড দেয়। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।

কান্না জড়িত কন্ঠে লিজা কবির আরও বলেন, আমার দুই চাচার হত্যার প্রকৃত আসামীরা আদালত থেকে খালাস পেয়েছে। অথচ আমার পিতা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যে মামলায় দীর্ঘ দিন কারাগার ভোগ শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।পাশাপাশি আমার মাসহ পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে আমার বাবার মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভিক্ষা চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লিজা কবির।

বাগেরহাটে দলিত সম্প্রদায়ের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে দলিত সম্প্রদায়ের দরিদ্রদের মাঝে শীত বস্ত্র (কোম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রামকৃষ্ণ আশ্রম চত্বরে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়। বাগেরহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমের অধ্যক্ষ গুরু সেবানন্দ মহারাজের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বাগেরহাট হিন্দু, বৈদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিব প্রসাদ ঘোষ, বাগেরহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমের উপদেষ্টা ডা. জ্ঞান রঞ্জন চক্রবর্তী, প্রদীব বসু সন্তু, তুষার কান্তি বসুসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমের আয়োজনে এবং রোটারী ক্লাব অব মতিঝিলের সহযোগিতায় ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে দলিত সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক মানুষের মাঝে এই শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

মোড়েলগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার লিপলেট বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জেলা পরিষদের সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদার সম্ভব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে লিপলেট বিতরণ করেছেন।

 শুক্রবার দুপুরে তিনি পৌরসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সুভরাজকাঠি, সোলমবাড়িয়া, সানকিভাঙ্গা এলাকায়  তিনি ভোটারদের  দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে লিপলেট বিতরণ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, মোড়েলগঞ্জ পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভায় রুপান্তিত করতে এলাকায় রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপশি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলার সুফল সাধারণ মানুষের মাঝে পৌছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  তিনি দীর্ঘদিনের আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।

মোড়েলগঞ্জে পরিবার কল্যান সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্ধোধন

এম.পলাশ শরীফ

‘করোনাকালে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন না করি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহন করি’  প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে পরিবার কল্যান সেবা ও প্রচার সপ্তাহ ২০২০ এর উদ্ধোধন করা হয়েছে। রবিবার বলইবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে এ পরিবার কল্যান সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্ধোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এ্যাড. শাহ-ই-আলম বাচ্চু। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্ধোধনীতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. দিলদার হোসেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বর্নাঢ্য এ উদ্ধোধনী শেষে মা সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

খুবির উপ-গ্রন্থাগারিক কাজী ফেরদৌসের পিতার মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক

খবর াবিজ্ঞপ্তি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের উপ-গ্রন্থাগারিক কাজী ফেরদৌসের পিতা কাজী গোলাম ছরোয়ার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গতকাল সকাল ৬টায় ইন্তোকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী এবং ৪ পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বাদ জোহর টুটপাড়াস্থ হাজীপাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।

খুলনা বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের উপ-গ্রন্থাগারিক কাজী ফেরদৌসের পিতার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বিবৃতিতে তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। অনুরূপভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দস, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোক প্রকাশ করেন।