মোঃ রেজাউর রহমান তনু, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশি কান্ত সরকার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার আসামিকে আজ বেলা ১টা ১০ মিনিটে আদালতে নিয়ে আসেন। বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে সেখানে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিমের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে চার আসামির মধ্যে দুজন শিক্ষককে ৭ দিন করে ও দুই ছাত্রকে ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম বলেন, রিমান্ডের আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। কাল মঙ্গলবার রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে কড়া নিরাপত্তায় একটি সাদা গাড়িতে করে আসামিদের জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। গাড়িটির সামনে-পেছনে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের তিনটি করে গাড়ি ছিল। আসামিদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে আনা হয়। আদালত প্রাঙ্গণেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। রিমান্ড আবেদনের পর আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের জগতি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইবনি মাসউদ (রা.) মাদ্রাসার শিক্ষক ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের মো. আল আমিন (২৭), শিক্ষক ও পাবনার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি এলাকার বাসিন্দা মো. ইফসুফ আলী (২৬), একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠন (১৯) ও জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর (গোলাবাড়িয়া) এলাকার সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)।
এ দিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার পাবলিক লাইব্রেরির সামনে আজও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা।
শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।