কাতারে ধরাশায়ী খোলসবন্দি বাংলাদেশ

3
Spread the love

 ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগে কাতারের কাছে ৫-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম লেগে ঘরের মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এই কাতারের বিপক্ষে ভালো খেলেও ২-০ গোলে হেরেছিল জেমি ডে’র শিষ্যরা। ফিরতি লেগে আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে অবশ্য রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে খোলসবন্দি হয়ে পরে জামাল-ইব্রাহিমরা। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি তারা। তাতে ভালো কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি। কাতারের মুহুর্মূহ আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। গোলও হজম করতে হয়েছে ৫টি।

যদিও শক্তিমত্তায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে কাতার। এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন তারা। ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক। যারা নিয়মিত বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলে থাকে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছে ৫৯তম অবস্থানে। তাদের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলেনি বাংলাদেশ। জেমি ডে’র শিষ্যদের লক্ষ্যই ছিল রক্ষণাত্মক খেলা। সুযোগ হলে ম্যাচটি ড্র করা। কিন্তু এশিয়ার চ্যাম্পিয়নরা সে সুযোগ দেয়নি।

ঘরের মাঠে ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় কাতার। আব্দুলআজিজ হাতেম গোল করে শুরুতেই এগিয়ে নেন দলকে। আকরাম আফিফ ৩৩ মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তাতে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।

বিরতির পর আরো তিনটি গোল করে তারা। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আলমোয়েজ আলীর গোলে ব্যবধান হয় ৩-০। ৭৮ মিনিটে আরো একটি গোল করেন তিনি। তার জোড়া গোলে কাতার এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। অবশ্য এই গোল করতে গিয়ে পোস্টের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাংলাদেশের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন আকরাম আফিফ। যোগ করা সময়ে (৯০+২) তিনি নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন। আর বাংলাদেশ হার মানে ৫-০ ব্যবধানে।

ম্যাচের ৭৩ শতাংশ বলের দখল ছিল কাতারের কাছে। এতেই বোঝা যায় কতোটা প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে এশিয়ার চ্যাম্পিয়নরা। গোল পোস্টের দিকে তারা ২৯টি শট নিয়েছিল। তার মধ্যে ৫টিতে গোল হয়েছে। ১০টি ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকো। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ গোলপোস্টে একটিও শট নিতে পারেনি। তাতে বড় হার ভিন্ন অন্য কোনো ফলকে সঙ্গী করতে পারেননি জামাল-জিকোরা।

এই জয়ে ৬ ম্যাচ থেকে ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ‘ই’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে কাতার। অন্যদিকে ৫ ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে বাংলাদেশ রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের এখনো তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। তিনটি ম্যাচই ঘরের মাঠে। প্রতিপক্ষ ভারত, আফগানিস্তান ও ওমান।