পুরো সুন্দরবনকে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে: মোংলায় হাবিবুন নাহার

4
Spread the love

আগামী বছরের প্রথমেই বননির্ভরশীলরা পাবে ভাসমান হাসপাতাল

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, সুন্দরবনের সব জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, তাই শীঘ্রই পুরো বন জুড়ে টেলিটক নেটওয়ার্ক সেবা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এছাড়া প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটায় বনের অভ্যন্তরের পযর্টন এলাকার রাস্তাঘাট ও স্থাপনা তলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে আসছে। তাই সেগুলোকে সংরক্ষণের জন্য প্রায় ২৭ কোটি টাকার ইকোট্যুরিজম প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর যারা সুন্দরবনের উপর জীবন জীবিকা নির্বাহ করে তাদের জন্য আগামী বছরের প্রথম দিক থেকে ভাসমান হাসপাতাল সুুবিধা দেয়া হবে। সুন্দরবন ও সাগরে যাওয়া প্রত্যেকে জলযানে একটি করে ডিভাইস দেয়া হবে, যাতে দুযোর্গের সময় পথ ভুলে তারা হারিয়ে না যায়। এছাড়া সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প ২০১১-২০১২ সাল থেকে আজও পর্যন্ত ঝুলছিলো। এটি আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন হয়ে যাবে। যার ফলে সুন্দরবন সুরক্ষায় বড় ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা সহজ হবে। এ প্রকল্পের বাহিরে বনের প্রত্যেকটি চরে বন নির্ভরশীলদের এবং বন্যপ্রাণীর সুপেয় পানির চাহিদা মিটাতে মিষ্টি পুকুর খনন করা হচ্ছে। সুন্দরবনকে ঘিরে নানা প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী বনকে আরো বেশি পর্যটন আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। শুক্রবার বিকেলে মোংলার শেহলাবুনিয়ার সেন্ট পলস হল রুমে আয়োজিত এক নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। যাকে নিয়ে এই শোকসভা তাকে উদ্দেশ্য করেই উপমন্ত্রী আরো বলেন, হিমেল বরকত তার লেখনির মাধ্যমে সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। তাই তিনি যুগ যুগ ধরে আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন। হিমেলের মতই সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের সকলকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। হিমেলের যে সকল কর্মকান্ড যা সমাপ্ত করে যেতে পারেনি, সে সমস্ত অসমাপ্ত কর্মকান্ড আমরা যাতে সুন্দর একটা সমাপ্তের পথে নিয়ে যেতে পারি সেই প্রচেষ্টাও থাকবে আমাদের।

হিমেল বরকত নাগরিক শোকসভা কমিটি আয়োজিত শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওালাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সুনীল কুমার বিশ্বাস, নাগরিক শোকসভা কমিটির আহ্বায়ক মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম সরোয়ার, সেন্ট পল্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ফ্রান্সিস সুদান হালদার, গণশিপী সংস্থার সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যক্ষ তুষার গাইন, কবি মুশফিকুর রহমান টুকু, কবি জেম্স শরৎ কর্মকার, সেন্ট পল্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনীন্দ্র নাথ হালদার, অধ্যাপক শেখ নজরুল ইসলাম, কবি হিমেল বরকতের বন্ধু জানে আলম বাবু প্রমূখ। শোক সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক শোকসভা কমিটির সদস্য সচিব সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ। শোক সভা পরিচালনা করেন মোংলা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস ও গীতিকার মোল্লা মামুন।

উল্লেখ্য, কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ছোট ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, কবি ও গবেষক ড. হিমেল বরকত সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা যান। এরপর তাকে মোংলার মিঠাখালীতে নিজ গ্রামের বাড়ীতে দাফন করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তারই শোকসভার আয়োজন করে হিমেল বরকত নাগরিক শোকসভা কমিটি।