ঢাকা অফিস
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে বাদানুবাদের জেরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তির আল্টিমেটাম দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ কথা জানান। মামুনুল হক বলেন, ‘শিরকের প্রতীক মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমি যখন জুলুমের শিকার, এক মজলুমের পক্ষে দাঁড়াতে হাজারো তৌহিদি জনতা রাজপথে নেমেছে। তাদের এ বিক্ষোভ ছিল তৌহিদি চেতনার বহিঃপ্রকাশ। ছিল একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা ও শিরকের প্রতীকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানানোর কর্মসূচি। এই সাহসী জনতাকে স্বশ্রদ্ধ সালাম! তাদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ ও নির্যাতনের দৃশ্য জাতি দেখেছে। বিক্ষোভকারী প্রায় অর্ধশত তৌহিদি জনতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে বিক্ষোভ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক জুলুমের প্রতিবাদে হাজার মানুষের বিক্ষোভ হলে পরবর্তী জুলুমের প্রতিবাদে লক্ষ জনতার বাঁধভাঙা বিক্ষোভ নেমে আসবে রাজপথে এটাই স্বাভাবিক। দায়িত্বশীল মহলের যথাযথ পদক্ষেপের প্রতীক্ষায় রইলাম।’
এর আগে শুক্রবার জুমার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর চরমোনাই পীর সৈয়দ ফয়জুল করীম এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের অনুসারী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। মিছিল থেকে সাত-আটজনকে আটক করে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রমনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজের পর হঠাৎ ১০০-১৫০ জনের মতো মুসল্লি ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে একটি মিছিল বের করেন। আমরা থামিয়ে তাদের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সে বিষয়ে কোনো জবাব না দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন। পরে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই। এ সময় কথা বলার মতো তাদের পক্ষে কোনো নেতা ছিলেন না। রমনা থানার এসআই মামুন জানান, ওই মিছিল থেকে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার জন্য সাত-আট জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।