মণিরামপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ দুই যুবকের বিরুদ্ধে

1

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥

যশোরের মণিরামপুরে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে জোরকরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কিশোরীর খালা বাদি হয়ে বুধবার (২৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে মণিরামপুর থানায় মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত দুই যুবক হলেন, উপজেলার এড়েন্দা বিলপাড়া এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে বাবু (৩০) এবং যশোর সদর উপজেলার ম-লগাতী গ্রামের মোমিনুর রহমান (৩৫)। মোমিনুর মণিরামপুরের এড়েন্দা পশ্চিমপাড়ায় ঘরজামই থাকেন।

পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা ইটভাটা শ্রমিক। মেয়েটি এড়েন্দা গ্রামে খালার সাথে থাকে। কয়েক বছর আগে তার পিতা মারা যান।

থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ওই কিশোরী যশোরের দিকে যায়। সন্ধ্যারপর সদর উপজেলার ম-লগাতী গ্রাম থেকে সে বাবু ও মোমিনুরের সাথে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে মোটরসাইকেল থামিয়ে বাবু তাকে জোরপূর্বক এড়েন্দা কালিচরনের কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করে মোমিনুর। এসময় আসামিরা তার পরনের জামাকাপড় ছিড়ে দেয়। পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে কিশোরী বাড়ি এসে তার খালাকে ঘটনা খুলে বলে।

আসামিরা কিশোরীর ওড়না দিয়ে তার হাত পা বেধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দিয়ে ধর্ষণ করে বলে দাবি করেন মামলার বাদী।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটার পর বুধবার (২৫ নভেম্বর) ভিকটিমকে নিয়ে তার স্বজনরা যশোর কোতয়ালী থানায় যান। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশ আমাদের বিষয়টি জানান। আমরা রাতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। রাতেই ধর্ষণ মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, বলেন শিকদার মতিয়ার।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন এড়ন্দা গ্রামে গিয়ে জানাযায়, কিশোরীর পিতা মারা যাওয়ার পর তার মা ইটভাটায় কাজ নেন। মেয়েটি তার খালার কাছে থাকে। মাঝেমধ্যে মায়ের কাছে যায়। মা-বাবা কেউ কাছে না থাকায় মেয়েটি এলোমেলো চলাফেরা শুরু করে। খালার কথা শোনে না।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকমাস আগে কবিরাজবাড়ি যাওয়ার সময় মামুন নামে এক ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় হয়। সোমবার বিকেলে সে মায়ের কাছে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে চড়ে মামুনের সাথে যশোরের দিকে যায়। রাতে ম-লগাতী এলাকায় একটি দোকানে তাকে দেখতে পেয়ে বাবু ও মোমিনুর মোটরসাইকেলে তুলে বাড়ি নিয়ে আসে। এরপর মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে খবর রটে।