৮৫ বছরের বৃদ্ধকে দোররা মেরে ১২ বছরের শিশুর সঙ্গে বিয়ে দিলেন মাতবররা

13
Spread the love

খুলনাঞ্চল রিপোর্ট

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বয়রাপাড়া গ্রামে ৮৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সঙ্গে ১২ বছরের এক শিশুর বিয়ে দিয়েছেন গ্রাম্য মাতবররা।  এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রাম্য সালিশে ওই বৃদ্ধের নাতি শাহিনের (১৮)  অপরাধের দায়ভার দাদার ওপর চাপানো হয়েছে। গ্রাম্য সালিশে বৃদ্ধ মহির উদ্দিনকে ১০ দোররা মেরে তার সঙ্গে শিশুটির বিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীরা জানায়, ভুক্তভোগী শিশুটি  স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার পঞ্চম শেণির ছাত্রী। একই গ্রামের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের নাতী শাহিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শাহীনের ধর্ষণে শিশুটি গর্ভধারণ করে। পরে গত ১০-১৫ দিন আগে তার গর্ভপাতও ঘটানো হয়। কিন্তু বিষয়টি ফাঁস হলে স্থানীয় মাতবররা সালিশ করে নাতী শাহিনের অপরাধের দায় ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের ওপর চাপিয়ে দেন। মহিরের প্রতিবেশীরা জানান, বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছে। তৃতীয় বিয়ে করেছেন ২৭ বছর আগে। শিশুটি তার চতুর্থ স্ত্রী। তিনি ৭ সন্তানের জনক। মহির এখন ঠিকমত কথাও বলতে পারেন না, দৃষ্টিও ঝাপসা। ১২ বছর বয়সী চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বৃদ্ধ মহির উদ্দিন বলেন, ‘আমি নির্দোষ। গ্রামের মাতবররা এই বুড়া বয়সে আমার গলায় মরণকাঠি ঝুলিয়ে দিয়েছে।’ সালিশের অন্যতম মাতবর স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন নাদু সমকালকে জানান, শিশুটির জবানবন্দির ভিত্তিতে বৃদ্ধ মহির উদ্দিনকে ১০ দোররা মেরে শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি এনএম মইনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমরা জানি না। কেউ অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।