খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে নির্যাতন ও তার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার মোবাইল ও সিমকার্ড এখন মামলা তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনের (পিবিআই) কাছে। সিলেটের কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা ৪টি মোবাইল সিমকার্ড ও দুটি মোবাইল সেট বৃহস্পতিবার রাতে হাতে পেয়েছে পিবিআই। এর আগে সীমান্ত থেকে সেগুলো উদ্ধার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। গত ৯ নভেম্বর কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত থেকে আকবর গ্রেপ্তারের পর ৪টি সিমকার্ড, দুই নারীর ছবি, বাংলাদেশী একটি ২০ টাকার নোট ও আকবরের পাসপোর্ট সাইজ ছবি ভাইরাল হয়। কিন্তু সেগুলো তখন ভারতীয় খাসিয়া যুবকদের কাছে থাকায় তা উদ্ধার করা যায়নি। কানাইঘাট থানার ওসি শামসুদ্দোহা সমকালকে জানান, জব্দ সামগ্রীর মধ্যে দু’টি মোবাইল ফোন, চারটি সিম কার্ড, দু’টি গামছা, ১টি শার্ট ও সোয়েটার রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই মামলা তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দ করা জিনিসগুলো আকবর যেখানে পালিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন, সেখান থেকে খাসিরায়া উদ্ধার করেছিল বলে জানা গেছে। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালিদ উজ জামান বলেন, রায়হান হত্যা মামলার তদন্তকাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তদন্তে সহায়ক কোনো আলামত পেলে জব্দ করা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে জব্দ করা মোবাইল ও সিমকার্ড আকবরের ব্যবহৃত হলে সেক্ষেত্রে তদন্তে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমদকে সিলেট নগরীর কাস্টগড় এলাকা থেকে এএসআই আশেক এলাহীর আলীর নেতৃত্বে কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া ও হারুনুর রশিদ ধরে নিয়ে আসে। রাত ৩টার দিকে রায়হানকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আনার পর নির্যাতন করা হয়। ১২ অক্টোবর সকালে তিনি মারা যান। ওই দিন রাতেই রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়ায় ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত। এছাড়া ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয় তিন পুলিশ সদস্যকে। এ ঘটনার পরপরই গা-ঢাকা দেন আকবর। এরপর ৯ নভেম্বর সকালে সোমবার কানাইঘাট উপজেলার ডনা সীমান্ত থেকে আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার সিলেটের মুখ্য হাকিম আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আকবরকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়।