কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ
কপিলমুনি শহরের গুরুত্বপূর্ন এলাকায় সরকারী মূল্যবান খাস জমি দখল হতে চলেছে। গত তিনদিন ধরে ৬ জন নির্মান শ্রমিক দিয়ে ভোরের সূর্য উঠার আগেই দিনভর বিরামহীন ইট বালু দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান কাজ চলছে। নির্মান প্রায় শেষের পথে।
কপিলমুনি শহরের বাইপাস সড়কের গা ঘেঁষে পুরাতন লঞ্চ ঘাটের পাশেই এই দখলবাজি চলছে। তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের আনন্দ পালের নেতৃত্বে একই গ্রামের আলাউদ্দিন গাজী ও মোস্তফা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের এই সরকারী খাস জমিতে পাকা ইমারত তৈরী করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দখলের বৈধতা জানতে চাইলে আনন্দ পাল তার ছেলে রোডস এ্যান্ড হাইওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও মেয়ে ৩৮ তম বি সি এস ক্যাডার হয়ে সহকারী ভূমি কমিশনার পরিচয় দিয়েই তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পর স্থানীয় সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের এক পর্যায়ে একটি তালিকা ভূক্ত কাগজ দেখিয়ে বলেন আমি এখান থেকে আধা শতক জমি বন্দোবস্ত পেয়েছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও এসিল্যান্ড সাহেবের নলেজে আছে। আর আলাউদ্দিন গাজী ও মোস্তাক জানায়, আনন্দ বাবু আমাদের সব করে দিয়েছেন। তবে আপনারা ৩ জন দেড় শতক জায়গা বন্দোবস্ত দাবী করলেও প্রায় ৩ শতক জায়গা জুড়ে কেন দখলে নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আনন্দ পাল জানান পাইকগাছা উপজেলা সার্ভেয়ার সাহেব এই জায়গা পরিমাপ করে দিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন।
এলাকাবাসী জানান, এখানকার প্রতি শতক জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। সরকারী এত মূল্যবান জায়গা ইচ্ছা মাফিক বেশি দখল করে রাতারাতি পাকা ইমারত নির্মিত হওয়ার ঘটনা চমকপ্রদ।
এ ঘটনায় কপিলমুনি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ হাসমত আলী জানান, সার্ভেয়ার সাহেব জায়গা পরিমাপ করে দিয়ে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকি বলেন বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তবে যেভাবে দানবীর রায় সাহেবের জায়গা ও মূল্যবান সরকারী জায়গা অন্য উপজেলার ভূমিগ্রাসীরা বিভিন্ন অজুহাতে বন্দোবস্ত দেখিয়ে দখল করছে তা আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কপিলমুনি শহরে সরকারী কোন স্থাপনা বা জনস্বার্থে কোন স্থাপনা নির্মানে এমনকি বাজার সম্প্রসারনের জন্য একচিলতে জায়গা অবশিষ্ট থাকবেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সূধিমহল।