কেএম রফিক, যশোর
যশোরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে এনে মামলা করেছেন ইস্পাহানি কোম্পানী লিমিটেডের নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার সরকার। রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইনের আদালতে এ মামলাটি করেছেন। বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি যশোর জোনকে আদেশ দিয়েছেন। একইসাথে আগামী ৩১ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে। মামলার বাদী পঙ্কজ কুমার সরকার ইস্পাহানি কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি যশোর শহরের বারান্দী মোলাপাড়ার বাসিন্দা।
পঙ্কজ কুমার অভিযোগে উলেখ করেছেন, তার স্ত্রী মীনাক্ষী নন্দীর বাবার বাড়ি ঝিনাইদহে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে হিন্দু ধর্মীয় রীতিমতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা যশোরের বাড়িতে শান্তিতে সংসার করছিলেন। তিনি ইস্পাহানি কোম্পানির লিমিটেডের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা। স্ত্রীকে চুয়াডাঙ্গায় কর্মস্থলে নিয়ে সংসার করতে চাইলে সে রাজি হয়নি।
একপর্যায়ে তার স্ত্রী তাকে বলেন, ‘আমি তোমার কর্মস্থলে ও তোমার মা-বাবার সাথে ঘর সংসার করবো না। তবে তুমি যদি আমার মা-বাবার বাড়ির কাছে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে দাও তাহলে সেখানে ঘর সংসার করবো।’
এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় রেগে গিয়ে তার স্ত্রী বাম হাতের শাখা পর্যন্ত ভেঙে ফেলেন। এরপর গত ৩ এপ্রিল তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গার ভাড়া বাড়িতে যান। সেখানে স্ত্রী মীনাক্ষী নন্দী মা-বাবার কু-প্ররোচণায় তার কাছে জমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণ বাবদ ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি স্ত্রীকে যশোরের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
কিন্তু যশোরে ফিরেও যৌতুক দাবির বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সৃষ্ট অশান্তি চলতে থাকে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মীনাক্ষীর মা-বাবকে ডেকে উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য বসলেও এর সমাধান হয়নি।
বরং মা-বাবার কু-প্ররোচণায় মীনাক্ষী নন্দী ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবিতে অনঢ় থাকেন। একপর্যায়ে বিয়ের সময় দেয়া সাড়ে ৯ ভরি সোনার অলঙ্কার নিয়ে মীনাক্ষী তার মা-বাবার সাথে ওইদিন বিকেলে যশোর থেকে চলে যান।
ফলে কোন উপায় না পেয়ে পঙ্কজ কুমার সরকার স্ত্রী মীনাক্ষী নন্দীর বিরুদ্ধে ১৯১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে আদালতে মামলা করেছেন।