ঢাকা অফিস
জাতীয় অর্থনীতিতে পাট খাতের অবদান বাড়ছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য মতে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ৪৩ দশমিক ৮৭ কোটি ডলার আয় করেছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বাড়ানো ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদফতরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটচাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষিদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এছাড়াও গুণগত মানসম্মত পাট ও পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ মেট্রিক টন পাট বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সবধরণের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাট শিল্পের সম্প্রসারণে সবধরনের সহায়তা দিচ্ছে। পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০’, ‘পাট আইন,২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি,২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে । এ সব আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।