শামীম খান, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)
৭ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে হাঁস পালনে সফলতা পেয়েছেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউপির উজ্জলপুর গ্রামে ইমদাদুল হক। শখের পাশাপাশি আর্থিক সফলতার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইউটিউব থেকে নানা কলা-কৌশল শিক্ষা নিয়ে নয় মাস আগে শুরু করেন হাঁস পালন। অতি অল্প সময়ে বড় সফলতার হাতছানিতে ইমদাদুলের। তার এই হাঁস পালন প্রকল্প এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে অন্য উদ্যোক্তাদের মাঝে সৃষ্টি করেছে ব্যাপক অনুপ্রেরণা।
জানা গেছে, পাঁচ শতক জমিতে টিনের সেড দিয়ে হাঁস পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে এক হাজারেরও বেশি পাতি হাঁস রয়েছেন। এ খামার থেকে এখন প্রতিদিন গড়ে ৮০০ এরও বেশি ডিম পাওয়া যাচ্ছে। যে ডিম ১০ টাকা ২০ পয়সা দরে বিক্রয় করে প্রতিদিন আয় হয় কমপক্ষে ৮০০০ টাকা।
সফল খামারি ইমদাদুল হক বলেন, মুরগির চেয়ে হাঁসের খাদ্যের দাম কম, রোগ বালাইও তুলনামূলক কম। প্রতিমাসে মুরগিকে রোগ দমনের ভ্যাক্সিন দিতে হয়। কিন্তু হাঁসকে দিতে হয় চার মাসে একবার। তাই মুরগির চেয়ে হাঁস পালনে ঝামেলা কম আর আমাদের এখানে ডিমের চাহিদা অনেক বেশি। একারণে ডিম বিক্রয়ে কোন কষ্ট নেই। ডিম গুলো প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা খামার থেকেই ১০.২০ পয়সা করে কিনে নিয়ে যান। এ ডিম এলাকার চাহিদা পূরণের পাশা-পাশি জেলার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। হাঁস পালনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এ খামার থেকে ভবিষ্যতে প্রচুর মুনাফা অর্জনের আশাবাদী তিনি। বিদেশ থেকে দেশই ভালো এমন প্রশ্নের জবাবে খামারি ইমদাদুল হক বলেন, হ্যাঁ। একটু চেষ্টা করলেই দেশের মাটিতেই অনেক কিছু করা সম্ভব। বর্তমানে দেশেই নিজেকে সাবলম্বী করার অনেক সুযোগ রয়েছে।