স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা সোনাডাঙ্গা থানার পশ্চিম বানিয়াখামার হাসিবুর রহমানের মেয়ে ফেরদৌস ঝুমা। ২০১৬ সাল থেকে প্রমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ঝিনাইদহ শৈলকুপার মোঃ ইকবাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে ঝুমাকে। বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় উধাও ইয়াসিন। তার পর থেকে ঝুমার সাথে কোন যোগাযোগ তো নাই বরং যোগাযোগের চেষ্টা করলেও বিভিন্নভাবে আসে হুমকি। গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এবং পরে ৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখে ২৭ নং ওয়ার্ড রেজিস্ট্রি অফিসের কাজীর মাধ্যমে বিবাহ করেন।
ভুক্তভোগী ফরদৌস ঝুমা জানান, মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত আমাকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এবং আমিও তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরি। আমি তার কর্মস্থল সোনাডাঙ্গা কাচাবাজারে সমিতির কালেকশনে যাওয়ার সুবাধে তার সাথে আমার পরিচয়। ইয়াসিনের সাথে আমার ২০১৬ সাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। এবং এক পর্যায়ে আমার স্বামীর সাথেও তালাক করায়। সে আমাকে বিয়ে করবে সে আশ্বাসে। আমি সেটি করি এবং মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাতের সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয় বহুবার। এক পর্যায়ে আমি গর্ভবতি হয়ে যাই এবং ইয়াসিন আরাফাতের ঔরশে আমার গর্ভে একটি সন্তান ধারন করি। কিন্তু সমাজে কি জবাব দিবো সে কারনে আমাকে এই ভ্রুণ নষ্ট করতে বাধ্য করে। এবং পরবর্তিতে বিবাহের কথা বলে ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে খুলনা নোটারী পাবলিক এর কার্যালয়ে ৫লাখ টাকা দেনমোহর ধরে বিবাহের ঘোষনা পত্র করা হয় এবং ৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখে ২৭ নং ওয়ার্ডে রেজিস্ট্রি অফিসে আমাকে সাক্ষীগনের সম্মুখে বিবাহ করে । কিন্তু বিবাহের পর হইতে ইয়াসিন আমার সাথে কোন যোগাযোগ করে না। এবং আমাকে কোন ভরন পোষন দেয় না। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেনা। মাঝে মাঝে ফোন রিসিভ করে রেখে দেয়। এবং লোক মারফত তার কর্মস্থল আড়তে খোজ নিতে পাঠালে আমাকে বিভিন্ন প্রাভাবশালীদের মাধ্যমে নানা হুমকি ধামকি দেওয়াচ্ছে। এছাড়াও আমি কাজী অফিসে গেলে কাজী সাহেব আমাকে কাবীন নামা দিচ্ছে না। বলে কিছু প্রভাবশালী লোক এসে তার অফিস থেকে বিবাহ রেজিস্ট্র এর খাতার পাতা ছিড়ে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে আমি সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেছি। গত ১১ অক্টোবর সাধারন ডায়েরী করেছি। যার নম্বও ৭৫১। র্যাবে ৬ অফিসে এবং মেয়র মহোদয় এর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আমি জানতে পারি বর্তমানে সে খুলনা থেকে চলে গেছে। এখন আমি খুব বিপদের মধ্যে আছি। সব সময় আতঙ্ক গ্রস্ত থাকি।
এ ঘটনায় ঝুমার পিতা হাসিবুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঝুমাকে বিয়ে করার কয়েক দিনের মাথায় ইয়াসিন লাপাত্তা হয়ে যায়। তারপর থেকে ঝুমার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সে আমরা জানতে পারি এই ইয়াসিন বিভিন্ন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারিত করে আসছে। আমার মেয়েকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটিয়েছে ইয়াসিন এর সঠিক তদন্ত করে শাস্তির জোর দাবি করছি। এছাড়াও আরো অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে যে জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তা আর কোন পরিবারে যাতে না ঘটে বলে তিনি কেঁদে ফেলেন।
এ ব্যাপারে সাচ্চু কাজী বলেন, এমন একটি ঘটনা আমি শুনেছি। আমার সহকারী জাকির হুজুরের মাধ্যমে এই বিবাহ হয়েছে বলে আমি জানি। পরবর্তিতে কিছু ঝামেলাও হয়েছে এ নিয়ে। ২৪নং ওয়ার্ড আ্ওয়ামীলীগ এর সভাপতি নাসির ভাই এটা ভাল বলতে পারবে আপনি তার সাথে কথা বলেন।
২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সভাপতি মঈনুল ইসলাম নাসির বলেন, কিছুদিন আগে ইয়াসিন আরাফাত এর বাবা আমার কাছে আসে এবং বলে তার ছেলেকে কারা জোর করে বিবাহ করায়। এখন কি করা যায়।পওে আমি সাচ্চু কাজীর সাথে কথা বলে খোজ খবর নেই। এর বাহিরে আমি আর কিছু জানি না।