বাগেরহাটের চিত্রা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

96
Spread the love

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ও বারুইপাড়া ইউনিয়নের চিত্রা ইউনিয়ন ভ’মি অফিসে দূর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূমি অফিসে কর্মরত নায়েবের পর্যপ্ত চাহিদা মেটাতে না পারলে তাকে পড়তে হয় চরম হয়রানিতে। নিজের ইচ্ছা ও খেয়াল খুশি মতোন অফিস করেন । সরকারী অফিসে নিজের প্রভাব ও ইচ্ছা অনুযায়ী  কখনও উওোলন করেন না পতাকা। এমন কি অফিসে জাতির জনকের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি  টানান না। এছাড়াও একাধিক অভিযোগ রয়েছে চিত্রা ইউনিয়ন ভ’মি অফিসে কর্মরত ইউনিয়ন ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগের পেক্ষিতে গত ১৫ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে চিত্রা ইউনিয়ন ভ’মি অফিসে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ভুমি অফিসের সামনে একাধিক দোকানদার জনান, এ অফিসের কখনোই জাতীয় পতাকা উত্তলোন করা হয়না । দুর দুরাস্ত থেকে মানুষ এসে বসে থাকে নায়েব সাহেবরে জন্য । প্রায় দিনই তিনি দুপুরের পর থেকে অফিস করা শুরু করেন । অফিসে কাজ করতে আসা লোক জন খুব হয়রানির শিকার হন । একটি কাজ করতে আসলে তাকে কম করে হলে ও দশ থেকে বারো বার আসা য্ওায়া করতে হয় । তারপর ও টাকার সমোযতা ছাড়া কিছুই হয় না ।

অত্র অফিসের অফিস সহায়ক খান মকবুল হোসেনের কাছে পতাকা দেখতে চাইলে তিনি সহ ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাস অফিসের বিভিন্ন জায়গায় ও আলমারিতে খোজাখুজির একপর্যায়ে সামনের দোকান থেকে জাতীয় পতাকা এনে তা বেলা দুই ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উওোলন করে। ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাসের অফিস রুমে জাতির জনকের ও প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি টানানো না দেখে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার আলমারির উপরে কয়েককটি কাগজের নিচ থেকে ছবি দুইটি বের করে দেখায়। উল্লেখ্য ২০১৮-১৯ সালের অর্থবছরে ভবনটি নির্মান করা হলেও এখনো পর্যন্ত এই ছবি টানানো হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, টাকা ছাড়া এ অফিসে কোন কাজই করেন না ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাস। তিনি এ অফিসে প্রায় ৫ বছর ধরে এখানে কাজ করে আসছে । ৫‘শত টাকার খাজনা এখানে ১০ হাজার টাকা দিয়েও করতে হয়। ভুমি সংক্রান্ত যে কোন তথ্য,মিস কেসের প্রতিবেদন,নাম জারি প্রতিবেদন,রেকর্ড হাল নাগাদ করন,সরকারের অনুকুলে দখল নিশ্চিত করনসহ বিভিন্ন দেওয়ানি মামলায় সরকার পক্ষের সাক্ষী ও প্রতিবেদন প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এখানে টাকা দিয়ে করতে হয়। টাকা ছাড়া নিস্পত্তি হয়না কোন কাজ। তাদের অসৎ কাজে জিম্মি হয়ে বাধ্য হয়েই হয়রানি থেকে বাচতে ঘুষ দিতে হচ্ছে সাধারন মানষকে।

এ বিষয়ে ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাস বলেন,এ অফিসে সবসময় জাতীয় পতাকা টানানো লাগে না। ড্রিল ম্যাশিনের লোক না পাওয়ায় জাতির জনকের ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি টানানো হয়নি। এ অফিসে কোন দূর্নিতী হয়না বলে জানান।

এ বিষয়ে বাগেরহাট সদরের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) প্রকৌঃ মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন,তার বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী প্রমানিত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান তিনি।