খবর বিজ্ঞপ্তি
পাটকল শ্রমিকদের ১৪দফা দাবিতে আন্দোলন দমাতে গতকাল (১৯ অক্টোবর) খুলনার আটরা শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের শান্তিপুর্ণ কর্মসূচিতে দফায় দফায় পুলিশী হামলা, লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও নাগরিক নেতা এ্যাড. কুদরতে খুদাসহ ১০জন শ্রমিকনেতা গ্রেপ্তার ও মিল কলোনীতে শ্রমিক নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের একযোগে ২৫টি পাটকল বন্ধ করার সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত জনগন মেনে নেয়নি। ঐতিহ্যবাহী পাঠের দেশ, বাংলাদেশে পাটকল থাকবে না তা হয় না। আন্তর্জাতিক পার্যয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণকরণের প্রতিবেশী একটি দেশ এক তরফাভাবে নেবে তা দেশের শ্রমিক সমাজ কখনোই মেনে নেবে না। কোটি মানুষকে কর্মহীন করে সরকার কাকে খুশী করতে চায়? শ্রমিকদের সম্পুর্ণ পাওনা পরিশোধের মিথ্যা আশ^াস দিয়ে পাটকল বন্ধ করায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক আজ নিরান্ন ও আশ্রয়হীন। সরকারের অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে লোকসান হওয়া পাটকল রক্ষায় সরকারের কোন বাস্তব পদক্ষে না থাকায় আজ চরম মুল্য দিতে হচ্ছে পাটকল শ্রমিকদের। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ প্রশাসনকে আক্রমনাত্মক ভূমিকায় না যেয়ে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব না করে তাদের ন্যায় সঙ্গত্ব দাবি আদায়ের সংগ্রামে বলপ্রয়োগে দমন না করার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নাগরিক নেতাসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি ও দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিদাতারা হলেন-বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ভাষাসৈনিক এম নুরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউলাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।