দালালরা সক্রিয়: মহেশপুর সীমান্তে বেড়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশ

4
Spread the love

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

হঠাৎ করেই ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে নারী-পুরুষ ও শিশু। চলতি মাসে ১৫ দিনে ৯৭ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি)। যারমধ্যে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাও রয়েছেন ৫ জন। একইভাবে ভারত থেকেও বাংলাদেশে আসছে অনেকে। তবে চলতি মাসে ৯৭জনকে আটক করলেও প্রকৃত পক্ষে এ সংখ্যা আরো বেশি বলে জানান স্থানীয়রা। আটককৃতদের কারো কাছে কোন দেশেই বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। তাদের কেউ ৫ বছর, কেউবা তারও অধিক সময় কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে গিয়ে বসবাস করছিলো বলে জানান আটককৃতরা।

আটককৃত সকলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টার অভিযোগে পাসপোর্ট অধ্যাদেশ আইনে মহেশপুর থানায় মামলা করেছে বিজিবি। হঠাৎ করে অনুপ্রবেশ বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে, ৫৮বিজিবির পরিচালক লে. কর্লেন কামরুল আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গেল বছর ভারতের আসামসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নাগরিকপঞ্জি তৈরির পর অনেকে অবৈধ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসেছিলো। তারাই এখন আবার ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক ভাবে এটাই আমরা জানতে পেরেছি। তবে তাদের ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। মহেশপুর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্ত এলাকা রয়েছে ৫৭ কিলোমিটার। যার মধ্যে কাঁটাতার বিহীন এলাকা রয়েছে প্রায় ১১ কিলোমিটার। যে কারণে কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা বেশি যাতাযাত করেন বলে জানান বিজিবি ও পুলিশ। উপজেলার মার্ঠিলা গ্রামবাসীরা জানান, সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে লোক আসে ভারত থেকে। এসময় তারা সীমান্ত পার হয়ে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নেই। তবে এর সাথে বড় একটি দালাল চক্র কাজ করে। তারা আরো জানান, আসা যাওয়ার পুরো বিষয়টাই দালালের মাধ্যমে ঠিক হয়ে থাকে। দালালদের সাথে মোটা অংকের টাকার চুক্তি করেন অনুপ্রবেশকারীরা। দালালদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এপার থেকে ওপার, ওপার থেকে এপার করেন সহজেই। প্রসঙ্গ, চলতি বছরের জুুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ২২২জন জন বাংলাদেশিকে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ১০জন ভারতীয় কে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ৩৬৩জনেরও বেশি মানুষকে আটক করে ৫৮ বিজিবি।