স্টাফ রিপোর্টার
যশোর জেলার বাঘারপারা থানাধীন দরাজাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২.৮ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফাতার করেছে র্যাব-৬। গতকাল সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে গোপন সংবাদের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ী হলেন যশোর জেলার বাঘারপারা থানার দরাজাট মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত. সিদ্দিক মোল্যার ছেলে মো. আজিজুল মোল্যা (৪৮)।
র্যাব-৬ জানায়, গতকাল সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে যশোর জেলার বাঘারপারা থানাধীন দরাজাট গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে র্যাবের একটি আভিযানিক দল। এসময় আজিজুল মোল্লা এর পূর্ব দুয়ারী চারচালা টিনের বসত ঘরের মধ্যে থেকে ২.৮ কেজি গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বাঘারপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
রামপালে র্যাবের অভিযানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি মুসা গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধীন জাড়িয়া মাইটকুমড়া গ্রামের ভাড়াবাসায় এক এনজিও কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অন্যতম আসামি ইব্রাহিম ওরফে মুসা নিকারী (৩০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন ৫নং রাজনগর ইউনিয়নের বড় দূর্গাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মুসা নিকারী বাগেরহাট জেলা সদরের ভট্টকনকপুর এলাকার মুজিবর নিকারীর ছেলে। তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ৯ অক্টোবর এক নারী এনজিও কর্মী (২৫) বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধীন জাড়িয়া মাইটকুমড়া গ্রামের ভাড়া বাসায় ঘুমিয়েছিল। রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে মামুন শেখ রুমের দরজায় ধাক্কা দিয়ে জরুরী কথা আছে বলে তাকে ওঠার জন্য বলে। সে দরজা খুললে আসামী মামুন শেখসহ আরও তিনজন আসামী জোড় পূর্বক ঘরে প্রবেশ করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে এবং মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারন করে নগদ ২৬হাজার টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুষ্ঠন করে নিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী ১১ অক্টোবর ফকিরহাট মডেল থানায় ৪জনের বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানার মামলা দায়ের করেন যার নং-৭। আসামিরা হলেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধীন জাড়িয়া মাইটকুমড়া গ্রামের শের আলী শেখের ছেলে মো. মামুন শেখ (৩০), সিরাজ নিকারীর ছেলে ফিরোজ নিকারী (২৯), রাজু নিকারী (২৬) ও মুজিবর নিকারীর ছেলে ইব্রাহিম ওরফে মুসা নিকারী (৩০)। এ মামলার পলাতক অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চাঁদাবাজি-প্রতারণার ডজন মামলার আসামি লিটন শিকদার গ্রেপ্তার
ফরিদপুর প্রতিনিধি
অসংখ্য প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি ফরিদপুরের লিটন শিকদার অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের প্রতারণার পাশাপাশি সাইবার অপরাধের সঙ্গেও জড়িত লিটন শিকদার এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন। জেলার ভাঙ্গা উপজেলার একটি ভাড়া বাসা হতে গতকাল সোমবার ভোরে লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৮ (সিপিসি-২) এর কমান্ডার দেবাশীষ কর্মকার নিশ্চিত করেছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের সিদ্দিক শিকদারের ছেলে লিটন শিকদার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ আছে। অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।
র্যাব কর্মকর্তা দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘সোমবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে ভাঙ্গা উপজেলা সদরে থানার সন্নিকটে একটি ভাড়া বাসা থেকে লিটন শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলার চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এসব মামলায় সে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল।’
দেবাশীষ কর্মকার আরও জানান, ‘ফরিদপুর, খুলনা ও পাবনা জেলায় চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকি, সাইবার অপরাধসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে লিটন শিকদারের বিরুদ্ধে। ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অপপ্রচার করে ব্ল্যাকমেইলিং এবং গ্রামের সহজসরল অনেক মানুষের সঙ্গে সরাসরি প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামি তিনি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।’
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছে প্রতারক ও ছদ্মবেশী অপরাধী হিসেবে পরিচিত লিটন শিকদার এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নিজেকে তিনি একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।’ ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার লিটন শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় সিআইডির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।