পাইকগাছায় প্রান্ত ঘোষের মৃত্যুর তিন দিন পর ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের

6
Spread the love


পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥


পাইকগাছায় প্রান্ত ঘোষের মৃত্যুর তিন দিন অতিবাহিত হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ মেয়ে ও পিতাকে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি শেষে ছেড়ে দিয়েছে। এলাকার সাধারণ জনগণ আতংকিত। প্রকৃত অপরাধিদের শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।


ভুক্তভোগী পরিবার, থানার অভিযোগ ও সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় উপজেলার গোপালপুর গ্রামের অচিন্ত কুমার ঘোষের পুত্র প্রান্ত ঘোষ গড়ইখালী গ্রামের জনৈকা ছাত্রীকে মটরসাইকেলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তার বাড়ীর সামনে নামিয়ে দিয়ে সে পাইকগাছায় চলে আসার সময় পিছন থেকে কয়েকটি মটরসাইকেল তাকে ধাওয়া করে। সে পাইকগাছার দিকে আসতে থাকলে জনৈক রুবেল নামে এক যুবক বিভিন্ন জায়গায় মটরসাইকেল চোর বলে মোবাইল করে সকলকে জানিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে লস্কর ইউপির উত্তর খড়িয়ার সুকুমার ডাক্তারের মোড় নামকস্থানে এলাকার লোকজন দুটি মটরসাইকেল ও একটি বাঁশ রাস্তায় বেরিগেট দেয়। প্রান্ত উক্ত স্থানে এসে পাশ কেটে চলে আসার চেষ্টাকালে রাস্তায় রাখা অধির মাষ্টারের বালির উপর পড়ে যায়। ধাওয়াকৃত মটরসাইকেলে থাকা লোকজন এসে তাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য অরবিন্দু মন্ডল জানান, আমি পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে বসেছিলাম। লোকজনের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে প্রান্ত ঘোষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাইকগাছা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। তার অবস্থার অবনতি হলে তার পরিবার তাকে খুলনার একটি কিনিকে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় ৫জনকে আসামী করে নিহতের ভাই অনুপ ঘোষ শুক্রবার বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মামলা করেছে। যার নং- ১২। এলাকাবাসী জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে কোন নিরীহ ব্যক্তি যাতে হয়রানীর শিকার না হয় এবং প্রকৃত অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছে। ওসি এজাজ শফী জানান, উক্ত ঘটনায় মেয়ে এবং পিতাকে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি শেষে মুক্তি দেয়া হয়েছে। কোন নিরীহ ব্যক্তি হয়রানীর শিকার হবে না।