স্টাফ রিপোর্টার
প্রথমে বাঁশ-খুঁটি বা অন্য কোন নির্মাণ সামগ্রী রেখে দেয় ওরা; অথবা কোন ব্যবসায়ীর মালামাল রাখাও হয় সেখানে। কয়েকদিন পরে রাতের আধারে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ করা হয় কাঁচা ঘর। পরবর্তিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে কাঁচা ঘরকে পাকা ঘর তৈরী করে বিক্রি করে দেয়া হয় মোটাংকের টাকায়।

আর বিক্রিত টাকা ভাগাভাগি হয় দখলদার, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে। এ চিত্র খুলনার বড় বাজার, স্টেশন রোড বা রেলওয়ের অনেক জায়গার মিলবে। জায়গা দখলের খবর গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ গেলে প্রথমে একটু তোড়জোর চললেও পরবর্তীতে সবকিছু অজ্ঞাত কারণে শীতল হয়ে যায়। একটি ভুমিদস্যুচক্র গেল কয়েক বছর ধরে এ কাজ করে আসছেন অনেকটা নির্বিঘেœ।

শুক্রবার রাতেও এমনই একটি দখলের প্রাথমিক পর্ব শেষ করেছেন ভুমিদস্যুরা। এবার দখলে নিয়েছেন নগরীর বড়বাজারের সোহাগ হোটেল সংলগ্ন প্রমথনাথ দাশ নামক একটি ট্রাস্ট্রি সম্পত্তি। হোটেল সংলগ্ন কেসিসি নির্মিত ড্রেনের উপরের ওয়াল ভেঙ্গে একটি খাট রেখে জায়গাটি প্রাথমিকভাবে দখলে নিয়েছেন ভুমিদস্যুরা। সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা মিলেছে দৈনিক খুলনাঞ্চল-এর চোখে।

এছাড়া ওই ট্রাস্টি সম্পত্তি দেখভালের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার গোবিন্দ বাবু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন ট্রাস্টি সম্পত্তি দেখভালের দায়িত্বে থাকা আইনজীবীরা সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। আজ রবিবার যেকোন সময় আইনজীবীরা সরেজমিনে তদন্ত করবেন বলেও জানান তিনি ।

বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছেন ‘শ’ অধ্যাক্ষরের এক ব্যক্তি শুক্রবার রাতে ওই জায়গা দখলের প্রাথমিক পর্ব শেষ করেছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অনেক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে প্রমথনাথ দাশ স্টেট এর অনেক সম্পত্তি ইতঃমধ্যে বেদখল হয়েছে।

সুত্র জানিয়েছে, উল্লাসিনি হলের ভিতরের আগের অবকাঠামোর সাথে বর্তমান অবকাঠামোর মিল নেই। সেখানে কয়েকটি গোডাউন /দোকান ঘর তৈরী করে বিক্রি করা হয়েছে।