নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ বন্ধ এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে খুলনায় বিএনপির মানববন্ধন পালিত

4
Spread the love

খবর বিজ্ঞপ্তি

সারা দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের প্রতিবাদে এবং শাসক দলীয় সন্ত্রাসী ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে খুলনায় বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।

রবিবার বেলা ১১ টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সভাপত্বি করেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা।

সমাবেশে বক্তারা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, লুটপাট, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং নারীর প্রতি সহিংসতার জন্য অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ি করে বলেন, এই দলটি যতোবার ক্ষমতায় থেকেছে ততবারই নারীর প্রতি সহিংসতা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ধর্ষণকারীদের রক্ষা করার পাশাপাশি শততম ধর্ষণের পর সেঞ্চুরি উদযাপনকারীকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকরা কারাঅভ্যন্তরে বসে খোশমেজাজে দিন কাটাচ্ছে, যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ৭২ থেকে ৭৫, ৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি দিন ধর্ষিতা নারীর আর্তনাদ আহাজারিতে রিদ্ধ। ৫ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা কেউই রেহাই পাচ্ছেনা।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের কেউ অপকর্ম করলে প্রথমে তাকে বাঁচানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। এরপর তার সাথে বিএনপি-জামায়াতের কানেকশন খুজে অপকর্মের দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপানোর চেষ্টা চলে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারা দেশ আজ ক্ষোভে ফুসছে। শুধু বিএনপিই নয়, সচেতন ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ধর্ষকদের বিচার দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছে। এতে সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে। জনভিত্তিহীন এই সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে ছাত্রলীগ নামধারীদেরকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। কিন্ত এভাবে তারা গদি রক্ষা করতে পারবেনা। সরকারের পাপের ষোলকলা পূর্ণ হয়ে গেছে। এখন তাদের বিদায় নেওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।

মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলের একাধিক মিছিল সমাবেশস্থলে পৌছায়। হাজারো নেতাকর্মীর পদচারণায় এবং মুর্হুমুর্হৃ শ্লোগানে সমাবেশস্থল প্রকম্পিত হতে থাকে। ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় ধর্ষকদের ঠাই নাই, ধর্ষক লীগের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হুশিয়ার সাবধান, এসো ভাই এসো বোন গড়ে তুলি আন্দোলন’, ইত্যাদি শ্লোগান দেন মিছিলকারীরা। রাস্তার দুপাশ দিয়ে সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধ ভাবে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। জনসমাগম বেড়ে যাওয়ায় এক সময় ওই সড়ক দিয়ে কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন শফিকুল আলম তুহিন, এহতেশামুল হক শাওন, আজিজা খানম এলিজা, মাসুদ পারভেজ বাবু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, শফিকুল ইসলাম হোসেন, আব্দুল আজিজ সুমন, হেলাল আহমেদ সুমন, সেতারা বেগম, সজীব তালুকদার, আল জামাল ভূইয়া, তরিকুল ইসলাম তারেক, মেহেদী মাসুদ সেন্টু, মোঃ মইদুল হক টুকু, ইয়াজুল ইসলাম এ্যাপোলো, নিঘাত সীমা, মুনতাসির আল মামুন, শামসুন নাহার লিপি, আসাদুজ্জামান আসাদ, মিজানুর রহমান বাবু, মুজাহিদুল ইসলাম টনি, ফারুক হোসেন, সোহরাব হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান হাওলাদার, হোসনে আরা চাঁদনী, নাসরিন হক শ্রাবণী, মাহমুদ হাসান বিপ্লব, জোবের আলম তোয়াজ, বেল্লাল হোসেন, ইমরান বিশ^াস, ইশতিয়াক আহমেদ, তাজিম বিশ^াস, শাকিল আহমেদ, আজমাইন হোসেন রাসেল, খান রাজিব, কে এম হেলাল উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম সনি, খান মুরাদ, সৈয়দ ইমরান, শেখ মোঃ শাহিন, বাবুল গাজী, শাহানাজ সরোয়ার, লাভলী, মহিদুল ইসলাম, এস এম শফি, সাইজ উদ্দিন সাজু, আল আমিন হোসেন, কামরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম রাসেল, রাজু আহমেদ, জাবির হক, মোঃ সোলাইমান মোল্লা, সোহেল মোল্লা, সামাদ বিশ^াস, মাহমুদ হাসান, মাহবুবুর রহমান, মদিনা আক্তার, সোনিয়া খান, সুমা, লাকি, আকলি, শাহান বেগম প্রমুখ।