ঝিনাইদহে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাবদা মাছের চাষ

43

খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহ –

ঝিনাইদহে ভালো লাভ হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাবদা মাছের চাষ। আর প্রতিবেশী দেশ ভারত ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে এ মাচ। ২০১৬ সালে ২ জন চাষীর মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে এখন পাবদা চাষীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩০ জনে। গেল মৌসুমে ১৫০ মেট্রিকটনের বেশী পাবদা উৎপাদিত হয়েছে। সামনের উৎপাদন আরো বেশী হবে বলে আশা করছে মৎস্য বিভাগ।

বিল এলাকা এবং মাটি ও পানি উপযোগী হওয়ায় মহেশপুর উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাবদা মাছের চাষ। ময়মনসিংহের বিভিন্ন বে-সরকারী হ্যাচারী থেকে খামারীরা পোনা সংগ্রহ করে চাষ করে থাকেন। পরবর্তিতে সেগুলো পুকুরে মিশ্র ও দানাদার খাবার খাইয়ে বড় করা হয়। সাধারনত এক বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করা যায়। দেশেই নয় বিদেশেও রপ্তানী করা হচ্ছে পাবদা মাছ।

মৎস্য খামারি আব্দুর রহমান বলেন, এ মাছ বিক্রিতেও রয়েছে সুবিধা। দেড় শ’ কিংবা দুই শ’ মন যে পরিমাণই মাছ ধরা হোক না কেন তা পুকুর পাড় থেকেই কিনে নিয়ে যান ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বড় বড় ব্যাপারীরা। ফলে লাভ এবং বিক্রয় সুবিধা পাওয়াই পাবদা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে বলেন জানান তিনি।

মহেশপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, পাবদা মাছ চাষ লাভ জনক। এই চাষ বৃদ্ধিতে নিয়মিত খামারীদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিক্রিতেও সহযোগীতা করছে মৎস্য বিভাগ। এছাড়াও জেলার মহেশপুরে উৎপাদিত এসব পাবদা মাছ ভারতে এলসির মাধ্যমে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ঢাকা, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা সহ দেশীয় বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়। গড়ে ৩৩০ টাকা কেজি দরে পাবদা বিক্রি হয়। গত ১ বছরে প্রায় ৫ থেকে ৭ কোটি টাকার মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। সাধারনত মার্চ মাসের শুরুতে পুকুরে পাবদা পোনা ছাড়া হয় এবং ছয় মাস পর থেকে তা সংগ্রহের উপযোগী হয়।