‘আব্বা গো ছাড়ি দে’ আর্তনাদ ও ক্ষমা-প্রার্থনায় মন গলেনি ওদের

7
Spread the love

বেগমগঞ্জে গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪

খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
‘আব্বা গো ছাড়ি দে’- নিজের সম্মান রক্ষার করুণ আর্তনাদ ছিল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গৃহবধূটির। কিন্তু আর্তচিৎকার, ক্ষমা-প্রার্থনা কিছুতেই মন গলেনি কিছু বখাটের। অট্টহাসি দিয়ে বিবস্ত্র করেছে গৃহবধূকে, নানাভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে নির্যাতন করেছে। নির্যাতন করার সময় ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে দেয়ার কথাও বলছিল। অবশেষে ফেসবুকে প্রকাশও করেছে। তিন মিনিটের ভিডিও হৃদয় নাড়ানো, বিবেক জাগানো। অসহ্য, অসহনীয় কেউ পুরো ভিডিওটি দেখতেই পারছেন না। ২০২০ সালের এমন আধুনিকতায় এসে দেখতে হচ্ছে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের দৃশ্য। আবার সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে ছাড়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশ থেকে বিদেশ মুহূর্তেই ভাইরাল। ৩৫ বছর বয়সী দুই সন্তানের মায়ের বিবস্ত্র ভিডিও দেখে বাকরুদ্ধ সবাই। ক্ষোভ জানানোর ভাষাও অনেকের স্তব্ধ! মানুষরূপী সেই সংঘবদ্ধ জানোয়ারগুলোর জন্য বিচারের দাবিতে সরব অনলাইন-অফলাইন।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড সমর্থন না করলেও এই একটি ঘটনায় অনেকেই বিচার নয়, একটি বন্দুকযুদ্ধ চায়। সব দাবি এক স্রোতে এসে মিশেছে, ‘বিচার চাই’, ‘একটি ক্রসফায়ার চাই’। ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিত ভিকটিমের পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ভিডিওটি অনলাইন মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনাটি গত মাসের দুই তারিখের হলেও প্রকাশ পেয়েছে ৩২ দিন পর। সেদিন ২ সেপ্টেম্বর রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। বার বার আকুতি জানিয়েও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি গৃহবধূ। নির্যাতনের ঘটনার ৩২ দিন পরে ৯ জনকে আসামি করে রবিবার রাত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন নির্যাতিত গৃহবধূ (৩৫)। মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেছেন, তার স্বামীকে বেঁধে রেখে আসামিরা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তারা এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণা করে। গত এক মাস ধরে তারা এই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছিল। তিনি এই অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা ফেসবুকে ভিডিওটি ছেড়ে দেয়। এদিকে, গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় সর্বশেষ চার জনকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আগে গ্রেফতার হওয়া মোঃ আব্দুর রহিম ও রহমত উল্লাহর দুই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
নির্যাতিত নারীর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি অনলাইন মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে বলা হয়েছে একটি ভিডিওর কপি সংরক্ষণে রাখতে। ২৮ অক্টোবর এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। একই সঙ্গে ভিকটিমের পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই নারীর নিরাপত্তা, জবানবন্দী নেয়া, দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণসহ সার্বিক ঘটনায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোন অবহেলা আছে কি না তা অনুসন্ধানে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে হাইকোর্ট। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। জেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চৌমুহনী সরকারী এস এ কলেজের অধ্যক্ষকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে ক্ষোভ তৈরি করা নির্যাতনের এ ঘটনা সোমবার নজরে আনার পর বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেয়। আদালতে আজ শুনানি করেন সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, এ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান, তানজিম আল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এ এম জামিউল হক ফয়সাল।
প্রধান আসামি বাদলসহ গ্রেফতার ৪: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মামলার প্রধান আসামি মোঃ নূর হোসেন বাদলকে (২০) ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার (২৬) কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। রবিবার রাত আড়াইটায় প্রথমে দেলোয়ারকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়গণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় (চিটাগাং রোড) থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন কামরাঙ্গীরচর ফাঁড়ির গলি এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার চারজন। এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে র‌্যাব-১১’র ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার বাহিনীর কয়েক সদস্য ভুক্তভোগী গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে তাকে বিবস্ত্র করে বিভিন্নভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে পরবর্তীতে টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে গত ৪ অক্টোবর ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক আরও জানান, দেলোয়ার বাহিনী উক্ত এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা এবং নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং দেলোয়ার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের ভয়ে এলাকার লোকজন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, র‌্যাব কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দেলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ‘দেলোয়ার বাহিনী’র প্রধান মোঃ দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় কামরাঙ্গীরচর থানাধীন কামরাঙ্গীরচর ফাঁড়ির গলি এলাকা হতে নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রধান আসামি মোঃ নূর হোসেন বাদলকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত অন্য অপরাধীদের গ্রেফতারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত দেলোয়ারকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও নূর হোসেন বাদলকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর আগে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে নোয়াখালী পুলিশ। এক আসামিকে রবিবার বিকেল ৪টায় এবং অপর আসামিকে রাত ১১টায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন- একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ রহমত উল্যাহ (৪১)।
সর্বশেষ খবরে জানাগেছে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ২ আসামি মোঃ রহিম ও রহমত উল্লাহকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার ৩নং বেগমগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক মাশফিকুল হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বিচারক রিমান্ড শুনানি শেষে উভয় আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলায় ৩ দিন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ৩ দিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। সরকারী রেজিস্ট্রার অফিসার (জিআরও) সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা বলেন, আসামি মোঃ রহিম ও রহমত উল্লাহকে ৩নং বেগমগঞ্জ আমলি আদালতে হাজির করা হলে, বিচারক মাশফিকুল হক আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে উভয় আসামিকে ২টি মামলায় ৩ দিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও, গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ জানাচ্ছে নোয়াখালীর জনগণ। সোমবার নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিও প্রতিষ্ঠান মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এসো গড়ি উন্নয়ন সংস্থা, এনআরডিএস, নারী অধিকার জোট, এফপিএবিসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে এই ক্ষোভ প্রকাশ করে শাস্তি দাবি করছেন সবাই। সোমবার এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নারী নির্যাতন-ধর্ষণের সঙ্গে যারাই যুক্ত থাকুক, যে পরিচয়ই ব্যবহার করুক না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা দুষ্কৃতকারী। তাদের অন্য কোন পরিচয় থাকতে পারে না। এ ধরনের দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। ইতিপূর্বে এ ধরনের ঘটনায় অনেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। সোমবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। ঘটনার শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা জাতীয় প্রেসকাবে মানববন্ধন করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের চেরাগি পাহাড় মোড়ে ‘সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকবৃন্দ’র ব্যানারে প্রতিবাদ হয়। অবিলম্বে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ধর্ষক ও নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার কথাও বলেন এসময়। বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনসহ সাম্প্রতিককালে দেশব্যাপী ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে পৃথকভাবে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সোমবার দুপুর থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।